ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সোমবারে রোযা রাখাকে কেন্দ্র করে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।কেননা শুধু জন্ম হয়েছেন হিসেবে সেদিন রাসূলুল্লাহ সাঃ রোযা রাখেন নি।বরং অনেকগুলো কারণে সেদিন রোযা রেখেছিলেন।
বিজাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে জন্মদিন পালনের কোনো সুযোগ নেই।এবং এ হিসেবে কোনো অনুষ্টান মাহফিলেরও কোনো সুযোগ নেই।
এবং সে রকম অনুষ্টানে শরীক হওয়া ও জায়েয হবে না। তবে দিন তারিখ ঠিক না করে ঈসালে সওয়াব হিসেবে কারো জন্য কেউ কোনো দু'আর আয়োজন করলে সেটা মন্দ হবে না। এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের অবশ্যই দু'আ করা উচিৎ এবং এটাই কাম্য। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/7747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু হাদিয়া গ্রহণ করা সুন্নত। যদি ঐ আত্মীয় আপনাদের নিকট হাদিয়া প্রেরণ করে, তাহলে আপনি সেই হাদিয়া গ্রহণ করে নিতে পারবেন। তবে বার্ড-ডে প্রথার যাতে ব্যাপকতা না আসে, সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। যদিও এটা বার্থডের খাবার, কিন্তু যেহেতু প্রেরণকারী সে এই মালের মালিক, এবং সে আপনাকে হাদিয়া দিচ্ছে, তাই আপনার জন্য খাওয়া সুযোগ থাকবর। তবে কোনো মিসকিনকে দিয়ে দেওয়াই তাকওয়ার দাবী হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কম্পানির মালিকের জন্মদিন উপলক্ষে আপনার বাবার অফিস থেকে আসা মিষ্টি এবং নিমকি আপনাদের জন্য গ্রহণ না করাই উত্তম ও তাকওয়ার দাবী।