আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
58 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
closed by

আসসালাম আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। প্রিয় মুফতি সাহেব, আশা করি আল্লাহর রহমত এ ভালো আছেন। আমি অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি মুফতি সাহেব। একটু দ্রুত উত্তর টা দিলে মনে একটু শান্তি আসবে। [মূল প্রশ্ন শেষ এর দিকে লেখা আছে]

 

পরিচয়:

ছেলে(আমি): [নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক] ২১ বছর বয়স, বাংলাদেশ এ থাকি (ঢাকা, রামপুরা), ইউনিভার্সিটির বিবিএ এর ২য় বর্ষের ছাত্র। আপাতত কোনো চাকরি বাকরি নেই। হানাফী মাযহাব এর অনুসারী। ঠিকানা: রামপুরা।

 

মেয়ে: [নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক] ১৮ বছর বয়স, ইংল্যান্ড থাকে। মাদ্রাসার ছাত্রী। হানাফী মাযহাব এর অনুসারী। 

 

প্রাসঙ্গিক বিষয়: (মূল প্রশ্ন অংশ নিচে আছে)

৩ বছর আগে আমার সাথে একটি মেয়ের সোশাল মিডিয়া তে পরিচয় হয়। একটি মেসেজিং অ্যাপ এর মাধ্যমে। মেয়েটা থাকে ইংল্যান্ড এ। আমি থাকি বাংলাদেশে। মেয়েটি ঐখানকার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী। সে বর্তমানে হিফজ করছে। মেয়েটির বাবা ওখানকার একজন মাদ্রাসার শিক্ষক। আমরা দুইজন একটি গ্রুপ চ্যাট এ ছিলাম। তো আমরা একসাথে গ্রুপ চ্যাট থেকে আলাদা হয়ে একে অপরকে সরাসরি মেসেজ করতে থাকি। ওই মেয়েটি আমার সাথে তার অনেক ব্যক্তিগত ব্যাপার শেয়ার করে। তার পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আমার সাথে কথা বলতে থাকে। আমি তাকে নানান ভাবে শান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করতাম এবং তাকে নানান উপদেশ দিতাম। এরই মাঝে আমার ওই মেয়েটাকে ভালো লেগে যায়। এই ব্যাপার বোঝার পর মেয়েটি যাতে আমাকে ব্লক না করে দেয় এই কারণে দীর্ঘ ১.৫ বছর মেয়েটিকে কিছু জানায়নি আমি। কিন্তু গত মাসে আমি আর বিষয় টা সহ্য করতে পারি নি। আমার মনে অনেক খারাপ লাগতো এই বেপার টা। আমি দীন এর পথে চলার চেষ্টা করি। এবং এমন কাজ আমি আর করতে চাচ্ছিলাম না যেটা আল্লাহ অপছন্দ করবেন। আমি ভেবেছিলাম যে মেয়েটি আমাকে বিশ্বাস করে এত কথা বলেছে। আমি আর তাকে এই অন্ধকারে রাখবো না। আমি গত মাস এ মেয়েটাকে বলি যে আমি ওই মেয়ের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করি এবং আমাদের আর চ্যাটিং করা ঠিক হবে না। ওর কাছে আমি মাফ চেয়ে নিলাম। ওই সময় ওই মেয়েটি আমাকে বলল যে সেও আমাকে অনেক ভালবাসে এবং সেও চিন্তা করছিলো যে আমাকে ব্যাপারটা বলবে। ওরও এই ব্যাপারটা ভালো লাগছিল না। তার মনেও আল্লাহর ভয় হতো। সে আমাকে ধন্যবাদ জানায় তাকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করার জন্য। পরের দিন ওই মেয়েটা আমাকে মেসেজ করে বলে যে, সে আমার প্রতি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে। আমি একমাত্র ছেলে যার সাথে সে এত গভীর ভাবে নিজের কথাগুলো বলেছে। সে আমাকে অনেক ভালবাসে। 

 

যেহেতু মেয়েটাকে আমিও ভালবাসতাম, আমি ওই মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলাম যে মেয়েটার বাবা বা মা কি কখনও রাজি হবেন কিনা আমাদের বিয়েতে। মেয়েটি বললো যে সে ৯৯ ভাগ শিওর যে তার বাবা মা জিবনেও রাজি হবেন না আমাদের বিয়েতে। কেননা আমি একজন ইউনিভার্সিটির ছাত্র। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি যে তার বাবা মা কি তাকে জোর করে অন্য কোথাও বিয়ে দিতে পারে কিনা। সে জানালো যে “না এমন কোনো পরিস্থিতি হবে না।” এই অবস্থায় মেয়েটি মৌখিক ভাবে আল্লাহর কাছে কসম করে যে “ আল্লাহর কসম করে বলছি, আমি (আমার নাম) ছাড়া কাউকে কখনো বিয়ে করব না।” এই কথাটা সে আমাকে মেসেজ এও বলে। এই ব্যাপারটা আমার কাছে আরো ভালো লাগে, এবং আমিও একই কসম করি আল্লাহ এর কাছে ওই মেয়েটির ব্যাপারে। আমরা সিদ্ধান্ত নি যে আমরা দুইজন অপেক্ষা করব একে অপরের জন্য। আমার ক্ষেত্রে যেহেতু আমার আপাতত কোনো ইনকাম নেই। পড়াশোনা করি, সেহেতু আমি যখন আমার নিজের পায়ে দাড়াতে পারবো তখন তাকে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবো। আমার পড়াশোনার অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। তো আশা করেছিলাম যে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জব করা শুরু করবো। পাশাপাশি মাস্টার্স করতে থাকবো। যখন আমি প্রস্তুত থাকবো তখন তাকে বিয়ে করে নিয়ে আসব। কিন্তু তার কথা ছিল যে সে তার মা কে ফেলে আসতে পারবে না তার পারিবারিক সমস্যার কারণে। কেননা সে তার মা কে অনেক ভালোবাসে। এবং পারিবারিক সেই সমস্যাটার (আমাকে গোপন রাখতে বলেছে) কারণে সে তার মাকে কখনো ফেলে আসতে পারবে না। তো আমরা দুজন এ ডিসিশন নি যে আমরা দুইজন অপেক্ষা করবো যতদিন না তার বাবা মা মারা যান। এরপর আমরা বিয়ে করে নিবো। তো আমরা এই কথা শেষ করার পর চিন্তা করলাম যে আমরা আর একে অপরের সাথে কথাবার্তা বলবো না। কিন্তু আমরা একটি ডায়েরি এর মাধ্যমে যুক্ত ছিলাম যেখানে আমরা লেখালিখি করতাম (একে ওপরকে উদ্দেশ্য না করে শুধু কে কি করছে এই ব্যাপার গুলো)। কিন্তু ডায়েরি টা তেও আমরা আসতে আস্তে কথা বলা শুরু করে দেই। এইভাবে চলতে থাকে। আমরা দুইজন এ তওবা করি। মন এ বলি যে আর করবো না। পরে আবার এমন হয়ে যায় আবার তওবা করি। ওই মেয়েটা সারাদিন আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। এবং এতে করে তার ইবাদত এরও ক্ষতি হতে থাকে। সে তার হিফজ এ মনোযোগ দিতে পারতো না। সে চেষ্টা করেও আমার কথা মন থেকে সরাতে পারছিল না। আল্লাহর কাছে বার বার তওবা করতো। এদিকে আমারও একই অবস্থা। যত চেষ্টা করি, কিছুতেই তাকে মাথা থেকে বের করতে পারি না। উল্টো আমি ইচ্ছা করে তাকে নিয়ে চিন্তা করতে থাকি এবং পরে ভুল বুঝে আবার তওবা করি।

 

মূল প্রশ্নের বিষয় :

 এমন পেরেশানির ভেতর থাকতে থাকতে দুইজন এ ডিসিশন নিলাম যে যেহেতু কসম করে ফেলছি যে একে অপরকে ছাড়া বিয়ে করবো না। সেহেতু নিকাহ টা করে ফেলি বাবা মা কে না জানিয়ে। এরপর না হয় আমরা পরে আবার লোক দেখানো বিয়ে করে ফেলবো। আমরা নিকাহ ছাড়া কোনো পথ দেখি নি মুফতি সাহেব। ওই মেয়েটা অনেক দীনদার। সে তার ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত। আমিও আল্লাহর কাছে প্রতিদিন তওবা করি। কিন্তু মুফতি সাহেব, আমরা দুইজন একে অপরের জন্য ভীষণ দুর্বল। আমরা আমাদের সম্পর্ক কে হালাল করতে চেয়েছিলাম। যদিও আমাদের এই দূরত্বের কারণে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার কোনো ঝুঁকি ছিল না। তার পরও আমরা তো গুনাহ এর সম্পর্কের মধ্যে ছিলাম। এই কারণে ওই মেয়েটাকে আমি বলি যে, তুমি আমাকে বিয়ে করে ফেলো, তুমি আমাকে তোমার উকিল বানিয়ে নাও। আমি ২ জন পুরুষ সাক্ষীর সামনে কবুল করে নিবো। মেয়েটি এই বিষয়ে রাজি হয় এবং সে আমাকে মেসেজ করে বলে, (ইংরেজিতে) “ আমি অমুকের মেয়ে তোমুক, আমার সাথে তোমার ৫০০০০ টাকা মোহর এর বিনিময়ে বিবাহ করার জন্য তোমাকে আমার উকিল হিসেবে নিযুক্ত করলাম”. আমি এই বিষয়ে রাজি হলাম এবং পরের দিন ২ জন মুসলিম পুরুষ সাক্ষীর এর সামনে ওর এই মেসেজ টা পড়ে শুনালাম। এরপর তাদের ২ জনকে সাক্ষী করে বললাম, “অমুক এর মেয়ে তমুককে বিয়ে করে নেওয়ার জন্য তমুক আমাকে তার উকিল বানিয়েছে। আমি ৫০০০০ টাকা মোহরের শর্তে তার সাথে এই বিয়ে কবুল করে নিলাম।”

দ্রষ্টব্য:

১.মেয়েটি আমাকে যখন উকিল বানানোর জন্য মেসেজ করে তখন তার সাথে কোন সাক্ষী ছিল না। সে আমার সাথেও ছিল না যেহেতু আমরা ভিন্ন দেশে থাকি। সে শুধু মেসেজ এর মাধ্যমে আমাকে উকিল হিসেবে নিযুক্ত করে আমাদের বিয়ের জন্য। আমি সাক্ষীদের সামনে ইংরেজিতেই পুরো কথাটি বলেছিলাম এবং একদম লাইন বাই লাইন এই কথাগুলোই বলেছিলাম। সাক্ষিরা ইংরেজি বোঝে। সাক্ষীরা শুধু আমাকে চেনে। ওই মেয়েটাকে চেনে না। শুধু আমি যতটুকু বলেছি ওদেরকে ওরা অতটুকুই জানে।

২. বিয়ের আগে আমি ওই মেয়েকে বা ওই মেয়ে আমাকে নিজের চোখে দেখে নি বা কোনো ছবির মাধ্যমেও দেখে নি। আমরা ২ জন শুধু একে অপরকে সোশাল মিডিয়া এর মাধ্যমে চিনি। আমরা শুধু একবার একে অপরের গলা শুনেছি প্রাইভেট ভয়েস মেসেজ এ। শুধু একবার।

৩. আমরা বিয়েটা আমাদের বাবা মা কে না জানিয়ে করেছি।

৪. কুফু সংক্রান্ত বিষয়গুলো পেশ করছি,

(১) ধর্মীয় দিক:

মেয়ে: বর্তমান এ হিফজ করছে। মাদ্রাসার ছাত্রী। ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে। পর্দাশীল। দ্বীনের ফরজ বিধি গুলো মেনে চলে। তার নামে কোনো বাজে কথা প্রচলিত নেই।

ছেলে (আমি): জেনারেল লাইনে শিক্ষিত। বর্তমান এ ইউনিভার্সিটি এর ২য় বর্ষের ছাত্র। দিন এর তাবলীগ এ যুক্ত। দ্বীন সম্পর্কে ফরজে আইন এর অতিরিক্ত কিছু সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখি। নজরের হেফাজত করার চেষ্টা করি। ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করি এবং দ্বীনের ফরজ বিধি বিধান গুলো মেনে চলি। আমি মদ, গাঁজা বা যেকোনো কোনো নেশা দ্রব্য সেবন করি না। আমার গুনাহ কে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকি।

(২) সম্পত্তি:

মেয়ে: ওই মেয়েটার বাবার নিজের কোনো বাড়ি বা জমি নেই ইংল্যান্ড এ। ইন্ডিয়া তে কিছু জমি আছে যা মেয়েটা বলতে পারে নি যে সেটি তার বাবার কি না। মেয়েটির নিজস্ব কোনো সম্পত্তি নেই। এবং সে কোন কাজও করে না।

ছেলে (আমি): আমার বাবার ঢাকায় একটি নিজের ফ্ল্যাট আছে এবং দেশের বাড়িতে জমি এবং বাড়ি আছে। আমার নিজ সম্পত্তি বর্তমানে একটি ২০০০০০ টাকার মোটরবাইক যা আমার নামে রেজিষ্টার করা। আমার বর্তমানে কোনো চাকরি বাকরি নেই। বা কোনো ইনকাম নেই। বাবা আমার খরচ বহন করেন। বাবার অর্থনৈতিক অবস্থা আল্লাহর রহমত এ সচ্ছল।

 

(৩) বংশ:

মেয়ে: বাবা এবং বাবার দিকের সবাই আলেম পরিবারের এবং তার বাবা ইংল্যান্ড এর একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। মেয়েটি অনারব আজমী। সে কুরাইশ অথবা সৈয়দ বংশের নয়।

ছেলে(আমি): বাবা একটি মাঝারি সাইজ এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং আমার দাদা একজন মুক্তিযোদ্ধা। এলাকায় বেশিরভাগ মানুষ আমার বাবা কে চিনেন এবং আমাদের বংশ সম্মানিত।

 

প্রশ্ন: প্রিয় মুফতি সাহেব, এই অবস্থায় আমাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে কিনা সেটা জানালে অনেক উপকৃত হব

এই কয়দিন আমরা ২ জন অনেক পেরেশানির মধ্যে আছি। উত্তর টা একটু দ্রুত দেওয়ার আশায় লিখলাম। আল্লাহ আপনার এবং আপনাদের মত সকল আলেমদেরকে কবুল করে নিন সেই দোয়া করি। আমীন। 

closed

1 Answer

+1 vote
by (548,940 points)
selected by
 
Best answer
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/11771 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

وَ اسۡتَشۡہِدُوۡا شَہِیۡدَیۡنِ مِنۡ رِّجَالِکُمۡ ۚ فَاِنۡ لَّمۡ یَکُوۡنَا رَجُلَیۡنِ فَرَجُلٌ وَّ امۡرَاَتٰنِ مِمَّنۡ تَرۡضَوۡنَ مِنَ الشُّہَدَآءِ اَنۡ تَضِلَّ اِحۡدٰىہُمَا فَتُذَکِّرَ اِحۡدٰىہُمَا الۡاُخۡرٰی

আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দু’জন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
(সুরা বাকারা ২৮২)

হাদিস শরিফে এসেছে, 

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

‘রাসূল (সা.) বলেছেন, দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ [মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস: ১০২৫৪]

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 

রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

মোবাইলে বা টেলিফোনে   বিবাহ করার পদ্ধতি হল-উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানের কোন ব্যক্তিকে ওকীল বানাবে। তারপর সে অকীল দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে বা টেলিফোনে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহীহ হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের বিবাহে যে ২ জন পুরুষ উকিল ছিলো,তারা প্রাপ্ত বয়স্ক  (বালেগ) হয়ে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে। শরীয়তের বিধান অনুসারে আপনারা এখন বৈধ স্বামী স্ত্রী।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)
জাঝাকাল্লাহ খাইর মুফতি সাহেব। বারাকাল্লাহু ফিকুম।
উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ মুফতি সাহেব।   

"★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনাদের বিবাহে যে ২ জন পুরুষ উকিল ছিলো,তারা প্রাপ্ত বয়স্ক (বালেগ) হয়ে থাকলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাদের বিবাহ শুদ্ধ হয়েছে।"

মুফতি সাহেব, এখানে কি উকিল বলতে সাক্ষীদের বোঝাচ্ছেন? কেনোনা আমার বিয়েতে শুধুমাত্র আমি নিজে উকিল ছিলাম মেয়ের হয়ে। একটু পরিষ্কার করলে উপকৃত হতাম।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...