ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব,
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো
নামে কসম করা হারাম। সুতরাং আপনার বন্ধুর দেওয়া মায়ের কসমের কোনো গ্রহণযোগ্যতা ইসলামে
নেই। আপনি সেই কাজটি করতে বাধ্য নন। কসম হবে কেবল আল্লাহর নামে অথবা তার কোন গুনের
নাম নিয়ে অথবা কুরআনের কসম করে। অন্যথায় তা জায়েজ নয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو
خَالِدٍ الأَحْمَرُ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ
عُبَيْدَةَ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ، سَمِعَ رَجُلاً، يَقُولُ لاَ وَالْكَعْبَةِ .
فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ لاَ يُحْلَفُ بِغَيْرِ اللَّهِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ
كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
وَفُسِّرَ هَذَا الْحَدِيثُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ قَوْلَهُ "
فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ " عَلَى التَّغْلِيظِ . وَالْحُجَّةُ فِي ذَلِكَ
حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم سَمِعَ عُمَرَ يَقُولُ
وَأَبِي وَأَبِي . فَقَالَ " أَلاَ إِنَّ اللَّهَ يَنْهَاكُمْ أَنْ
تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ " . وَحَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى
الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " مَنْ قَالَ فِي حَلِفِهِ وَاللاَّتِ
وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى
هَذَا مِثْلُ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ "
إِنَّ الرِّيَاءَ شِرْكٌ " . وَقَدْ فَسَّرَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ هَذِهِ
الآيَة : ( وَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلاً صَالِحًا )
الآيَةَ قَالَ لاَ يُرَائِي .
ইবনে উমার (রঃ) একটি লোককে বলতে শুনলেন ‘না, কাবার কসম!’ তিনি তাকে বললেন,
‘আল্লাহ ছাড়া
অন্য কারো নামে কসম খেও না। কেননা,
আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ)
কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি গায়রুল্লাহ নামে কসম করে, সে কুফরি অথবা শিরক করে।” (আবু দাউদ ৩২৫১, তিরমিজি ১৫৩৫ নং)
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ
بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي
حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ
ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ، عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ
عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
" إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْهَاكُمْ أَنْ تَحْلِفُوا بِآبَائِكُمْ
" . قَالَ عُمَرُ فَوَاللَّهِ مَا حَلَفْتُ بِهَا مُنْذُ سَمِعْتُ رَسُولَ
اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا ذَاكِرًا وَلاَ آثِرًا
.
আবূ তাহির আহমাদ ইবনু
আমর ইবনু সারহ ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... উমার ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) হতে
বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা তোমাদের বাপ-দাদার
নামে কসম করতে নিষেধ করেছেন। উমার (রাযিঃ) বললেন,
আল্লাহর কসম! আমি যখন
থেকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি, তখন থেকে আর কখনও সে নামে কসম করিনি, নিজের পক্ষ থেকেও নয়,
আর অপরের উদ্ধৃতি দিয়েও
নয়। (বুখারী ৩৮৩৬,মুসলিম ১৬৪৬,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১০৮,
ইসলামিক সেন্টার ৪১০৬)
কুরআন শরীফ ছুয়ে কসম সংক্রান্ত
জানুনঃ https://www.ifatwa.info/579
★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে
আপনার কসমই হয়নি, তাই কাফফারার কোনো প্রয়োজন
নেই। আপনার এক্ষেত্রে কসম সংক্রান্ত কোনো গুনাহ হবেনা। কিন্তু ওয়াদা খেলাফের গুনাহ হবে। টিভি
দেখার গুনাহ হবে। বিধায়, অনতিবিলম্বে তাওবা করা আবশ্যক।
২. রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে ব্যক্তি গাইরুল্লাহ্র নামে কসম করল
সে শির্ক করল। [আবু দাউদঃ ২৮২৯]
গায়রুল্লাহ নামে কসম খাওয়া
মানে আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত অন্য কিছুর নামে কসম,শপথ করা। যেমন বাপ, মা, ছেলে, পীর, কাবা, নবী, মসজিদ, কিবলা, বই, দেশমাতা ইত্যাদির নামে
কসম খাওয়া শিরক।