আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)

জালেম কে মন্দ  নাম এ  উল্লেখ করা কি  জায়েজ ?

হে মু’মিনগণ! কোন পুরুষ যেন অপর কোন পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিনী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করনা এবং তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকনা; ঈমান আনার পর মন্দ নামে ডাকা গর্হিত কাজ। যারা এ ধরণের আচরণ হতে নিবৃত্ত না হয় তারাই যালিম। (সুরা হুজুরাত, আয়াত: ১১)


উক্ত আয়াতে কাউকে মনো নাম ডাকতে নিষেধ করা হয়েছে। 

কিন্তু যে নিজের কিংবা  নিজের দলের/মতের  বাইরে কাউকে পছন্দ করে না যদিও তারা  সঠিক পথে থাকে এবং যে জালেম শাসক মুসলিমদের কে দেখতে পারে না যদিও সে নিজেকে মুসলিম দাবি করে ---

প্রশ্ন ১: এমন ব্যক্তি কে মন্দ নাম এ  উল্লেখ করা কি জায়েজ হবে ? যেমন কাউয়া কা..... ?


এরা তো পশুর মতো নির্বোধ -
আর অবশ্যই আমি সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য বহু জিন ও মানুষকে। তাদের রয়েছে অন্তর, তা দ্বারা তারা বুঝে না; তাদের রয়েছে চোখ, তা দ্বারা তারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান, তা দ্বারা তারা শুনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তারা অধিক পথভ্রষ্ট। তারাই হচ্ছে গাফেল।আমি বহু মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি 
আল-আ'রাফ |  - 7:179
 

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أَنَّ رَجُلًا شَتَمَ أَبَا بَكْرٍ وَالنَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ يَتَعَجَّبُ وَيَتَبَسَّمُ فَلَمَّا أَكْثَرَ رَدَّ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِه فَغَضِبَ النَّبِىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَامَ فَلَحِقَهٗ أَبُو بَكْرٍ وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ كَانَ يَشْتُمُنِىْ وَأَنْتَ جَالِسٌ فَلَمَّا رَدَدْتُ عَلَيْهِ بَعْضَ قَوْلِه غَضِبْتَ وَقُمْتَ. قَالَ:كَانَ مَعَكَ مَلَكٌ يَرُدُّ عَلَيْهِ فَلَمَّا رَدَدْتَ عَلَيْهِ وَقَعَ الشَّيْطَانُ. ثُمَّ قَالَ: "يَا أَبَا بَكْرٍ ثَلَاثٌ كُلُّهُنَّ حقٌّ: مَا مِنْ عَبْدٍ ظُلِمَ بِمَظْلِمَةٍ فِىُغْضِىْ عَنْهَا لِلّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ إِلَّا أَعَزَّ اللهُ بِهَا نَصْرَهٗ وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ عَطِيَّةٍ يُرِيدُ بِهَا صِلَةً إِلَّا زَادَ اللهُ بِهَا كَثْرَةً وَمَا فَتَحَ رَجُلٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ يُرِيدُ بِهَا كَثْرَةً إِلَّا زَادَ اللهُ بِهَا قِلَّةً". رَوَاهُ أَحْمَدُ

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেছিলেন, এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি (অমুসলিম) আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ)-কে গালিগালাজ করতে লাগল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা শুনে আশ্চর্যান্বিত হলেন এবং মৃদু হাসতে লাগলেন। লোকটি যখন খুব বেশি মন্দ বকল, তখন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) তার কোন কথার প্রতি-উত্তর দিলেন। এতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুব রাগান্বিত হলেন এবং উঠে গেলেন। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) তাঁর পিছন পিছন গেলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহর রসূল! লোকটি আমাকে মন্দ বলছিল আর আপনি বসেছিলেন। যখন আমি তার কোন কথার প্রতি-উত্তর করলাম, আপনি রাগ করে উঠে এলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তোমার সাথে একজন মালাক (ফেরেশতা) ছিলেন, যিনি ঐ লোকটির জবাব দিচ্ছিলেন। যখন তুমি নিজেই তার জবাব দিলে, তখন তোমাদের মাঝে শয়তান উপস্থিত হলো। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ বকর! তিনটি কথা আছে, সেগুলোর প্রত্যেকটি হক।

প্রথমতঃ যদি কোন বান্দার ওপর জুলুম করা হয় এবং ঐ ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জুলুমের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ না করে চুপ করে থাকে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা খুব সাহায্য করেন।

দ্বিতীয়তঃ যে ব্যক্তি তার দানের দরজা খুলে দেয় এবং ঐ দানের সাহায্যে তার স্বজন-প্রতিবেশীর সাথে অনুগ্রহের ইচ্ছা পোষণ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার ধন-সম্পদ আরো বৃদ্ধি করে দেন।

তৃতীয়তঃ যে ব্যক্তি ভিক্ষার দরজা খুলে দিয়ে নিজের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি করতে চায়। এতে আল্লাহ তা‘আলা তার ধন-সম্পদ আরো কমিয়ে দেন।
সহীহ : আহমাদ ৯৬২৪, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২২৩১, সহীহুল জামি‘ ৫৬৪৬, শু‘আবুল ইমান ৩৪১৩।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,    
শরীয়তের বিধান হলো কাউকে গালি দেওয়া/মন্দ নামে ডাকা জায়েজ নেই।

হ্যাঁ যদি সে জালেম হয়,তাহলে সেই জালেমকে গালি দেওয়া/মন্দ নামে ডাকা মাজলুম ব্যাক্তির জন্য জায়েজ আছে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

لَا یُحِبُّ اللّٰہُ الۡجَہۡرَ بِالسُّوۡٓءِ مِنَ الۡقَوۡلِ اِلَّا مَنۡ ظُلِمَ ؕ وَ کَانَ اللّٰہُ سَمِیۡعًا عَلِیۡمًا ﴿۱۴۸﴾ 

মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পছন্দ করেন না; তবে যার উপর যুলুম করা হয়েছে। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(সুরা নিসা ১৪৮)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...