ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত।
«٢٠١٨ - وَعَنْ عَطَاءٍ قَالَ: إِنْ تَمَضْمَضَ ثُمَّ أَفْرَغَ مَا فِي فِيهِ مِنَ الْمَاءِ لَا يَضِيرُ أَنْ يَزْدَرِدَ رِيقَهُ، وَمَا بَقِيَ فِي فِيهِ، وَلَا يَمْضُغُ الْعِلْكَ فَإِنِ ازْدَرَدَ رِيقَ الْعِلْكَ لَا أَقُولُ إِنَّهُ يُفْطِرُ وَلَكِنْ يُنْهَى عَنْهُ،» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (4/ 1399)
তিনি বলেন, সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেলে দেয় আর তার মুখের থুথু বা পানির অবশিষ্টাংশ যা থেকে যায় তাতে সওমের কোন ক্ষতি হবে না। আর কোন ব্যক্তি যেন চুইংগাম না চিবায়। যদি চিবানোর কারণে তার রস গিলে ফেলে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আমি বলিনি যে, সে সওম ভঙ্গ করল, বরং তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (বুখারী- তরজমাতুল বাব)
ইমাম বুখারী এ বর্ণনাটি তাঁর ‘তারজামাতুল বাব’-এ নিয়ে এসেছেন। অধ্যায়টি হলো-
(بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ إِذَا تَوَضَّأَ، فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ المَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِه)।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোজা অবস্থায় ওজু গোসল করার সময় যেই পানি মুখমণ্ডলে বা ঠোটর আশেপাশে থাকে, সেই পানিকে যদি ইচ্ছা করে মোছা না হয়, এবং এমতাবস্থায় কথা বলা বা নামাজ পড়ার সময় সামান্য মুখে প্রবেশ করে ফেলে, তাহলে নামাজ বা রোজা কোনোটাই বাতিল হবে না।
(২) ফজরের নামাজের কিরআতে একজায়গায় " তাহতিহাল আনহার" শব্দটিকে ভুলে "তাহতিকাল আনহার " পড়ে ফেলেছেন। অর্থাৎ যদি হা কাফ হয়ে যায়। এবং মাগরিবের নামাযে যদি সূরা আ'লার শেষ আয়াতে " সুহুফি ইবরহিমা ওয়া মূসা" এর জায়গায় " "সুহুফি ইবরাহিমা ফি ওয়া মূসা" পড়ে ফেলা হয়,তাহলে
(৩) চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ জামাতে পড়ার সময় এক রাকাআত ছুটে গেলে, পরে একা একা পড়ার সময় প্রথম রাকাতেই বৈঠক দিতে হবে। কেননা মুক্তাদির জন্য এটা চতুর্থ রাকাত। যদি বৈঠক করা না হয়, তাহলে নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।
(৪) গোসলখানা বা বাথরুমের কোনো এক সাইডে যদি টিকটিকির পায়খানা থাকে, তাহলে পায়খানা অংশটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়ার সাথে সাথে পা'কে ও ধৌত করতে হবে, যদি পায়ে সেই নাজসতের কোনো আছর বা চিহ্ন থাকে। নতুবা ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা পড়বে না।