আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in সাওম (Fasting) by (45 points)
মুফতি ইমদাদুল হক হুজুরের কাছে প্রশ্ন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১.রোজা অবস্থায় ওজু গোসল করলে যে পানি মুখমণ্ডলে বা ঠোটে আশেপাশে থাকে তা যদি ইচ্ছা করেই মোছা না হয়, এমতাবস্থায় কথা বলা বা নামাজ পড়া অবস্থায়  সামান্য মুখে প্রবেশ করে তবে কি নামাজ রোজা উভয়ই বাতিল হয়ে যাবে?

২.আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব ছুটিতে গেছেন।মুয়াজ্জিন নামাজ পড়াচ্ছেন। তিনি গতকাল ফজরের নামাজের কিরআতে একজায়গায় " তাহতিহাল আনহার" শব্দটিকে ভুলে "তাহতিকাল আনহার "  পড়ে ফেলেছেন।মানে হা কাফ হয়ে গিয়েছিল। আবার মাগরিবে সূরা আলার শেষ আয়াতে " সুহুফি ইবরহিমা ওয়া মূসা" এর জায়গায় " "সুহুফি ইবরাহিমা ফি ওয়া মূসা" পড়ে ফেলেছিলেন।আমি উভয় নামাজ জামাতে পড়ে আবার একা একা দোহরিয়ে পড়েছি।এমতাবস্থায় উভয় নামাজ জামাতে পড়াটিই কি হয়ে গিয়েছিল?  ইমামের এরকম ভুল হলে কি করণীয়।এভাবে কি নামাজ সবসময় দোহরিয়ে পড়তে হবে?

৩. চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ জামাতে।পড়ার সময় এক রাকাআত ছুটে গেলে, পরে একা একা পড়ার সময় প্রথম রাকাতে বৈঠক দিতে ভুলে গেলে কি দ্বিতীয়  রাকাআতে দিতে হবে নাকি বাকি রাকাআতগুলো যথারীতি আদায় করে শেষে সাহু সিজদা দিলেই হবে?
৪৷ গোসলখানা বা বাথরুমের কোনো এক সাইডে যদি টিকটিকির পায়খানা থাকে তাহলে কি পায়খানা অংশটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়ার সাথে সাথে পাও কি ধুতে হবে? এতে করে পা সহ পুরো গোসলখানা ধোয়া হয়ে যায়।গোসলখানা বা বাথরুমের মেঝে সাধারণত ভিজা ভিজা থাকে। নাকি পায়খানা অংশটুকু ধুলেই হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত।
«٢٠١٨ - وَعَنْ عَطَاءٍ قَالَ: إِنْ تَمَضْمَضَ ثُمَّ أَفْرَغَ مَا فِي فِيهِ مِنَ الْمَاءِ لَا يَضِيرُ أَنْ يَزْدَرِدَ رِيقَهُ، وَمَا بَقِيَ فِي فِيهِ، وَلَا يَمْضُغُ الْعِلْكَ فَإِنِ ازْدَرَدَ رِيقَ الْعِلْكَ لَا أَقُولُ إِنَّهُ يُفْطِرُ وَلَكِنْ يُنْهَى عَنْهُ،» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (4/ 1399)
তিনি বলেন, সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেলে দেয় আর তার মুখের থুথু বা পানির অবশিষ্টাংশ যা থেকে যায় তাতে সওমের কোন ক্ষতি হবে না। আর কোন ব্যক্তি যেন চুইংগাম না চিবায়। যদি চিবানোর কারণে তার রস গিলে ফেলে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আমি বলিনি যে, সে সওম ভঙ্গ করল, বরং তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (বুখারী- তরজমাতুল বাব)
ইমাম বুখারী এ বর্ণনাটি তাঁর ‘তারজামাতুল বাব’-এ নিয়ে এসেছেন। অধ্যায়টি হলো- 
(بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ إِذَا تَوَضَّأَ، فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ المَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِه)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
রোজা অবস্থায় ওজু গোসল করার সময় যেই পানি মুখমণ্ডলে বা ঠোটর আশেপাশে থাকে, সেই পানিকে যদি ইচ্ছা করে মোছা না হয়, এবং এমতাবস্থায় কথা বলা বা নামাজ পড়ার সময় সামান্য মুখে প্রবেশ করে ফেলে, তাহলে নামাজ বা রোজা কোনোটাই বাতিল হবে না।

(২) ফজরের নামাজের কিরআতে একজায়গায় " তাহতিহাল আনহার" শব্দটিকে ভুলে "তাহতিকাল আনহার "  পড়ে ফেলেছেন। অর্থাৎ যদি হা কাফ হয়ে যায়। এবং মাগরিবের নামাযে যদি সূরা আ'লার শেষ আয়াতে " সুহুফি ইবরহিমা ওয়া মূসা" এর জায়গায় " "সুহুফি ইবরাহিমা ফি ওয়া মূসা" পড়ে ফেলা হয়,তাহলে 
যেহেতু এখানে অর্থে কোনো পরিবর্তন আসছে না, তাই নামায ফাসিদ হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1126

(৩) চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ জামাতে পড়ার সময় এক রাকাআত ছুটে গেলে, পরে একা একা পড়ার সময় প্রথম রাকাতেই বৈঠক দিতে হবে। কেননা মুক্তাদির জন্য এটা চতুর্থ রাকাত। যদি বৈঠক করা না হয়, তাহলে নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।

(৪) গোসলখানা বা বাথরুমের কোনো এক সাইডে যদি টিকটিকির পায়খানা থাকে, তাহলে পায়খানা অংশটুকু পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়ার সাথে সাথে পা'কে ও ধৌত করতে হবে, যদি পায়ে সেই নাজসতের কোনো আছর বা চিহ্ন থাকে। নতুবা ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা পড়বে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...