আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (20 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ


নিচের এই বক্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা জানতে চাচ্ছি,


শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: যদি মানুষই সমস্ত সৃষ্টির পরিপূর্ণতা এবং সর্বোত্তম হয়ে থাকে এবং তার মধ্যে সকল গুণাবলী সমাহিত থাকে, এবং তার মধ্যে সেরা ব্যক্তি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হয়, এবং মুহাম্মদ (সাঃ) ই যদি সেই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হন, তাহলে এ কথা বলতে কিসে বাঁধা দেবে যে,


إنه لأجله خلقت جميعها ، وإنه لولاه لما خلقت
“এই জগৎ তাঁর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে এবং তাঁকে সৃষ্টি করা না হলে এই জগৎ সৃষ্টিই হতো না?" [অনুবাদ মাফহুমান]


فإذا كان الإنسان هو خاتم المخلوقات وآخرها ، وهو الجامع لما فيها ، وفاضله هو فاضل المخلوقات مطلقا ، ومحمد فما ينكر أن يقال: إنسان هذا العين ، وقطب هذه الرحى إنه لأجله خلقت جميعها ، وإنه لولاه لما خلقت


সূত্রঃ মাজমু' আল-ফাতাওয়া: ১১/৯৪-৯৮


"রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‌ কে সৃষ্টি না করা হলে দুনিয়া সৃষ্টি করা হতো না এমন হাদিস জাল কিন্তু কথা সহিহ।"- এমন বক্তব্য কি সহীহ?
by (20 points)
প্রশ্ন edit করতে পারছি না over access ques. হওয়ার কারণে,
কিছু word technical problem এর জন্য বিকৃত হয়েছে। এখানে আবার দিচ্ছি,

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ

নিচের এই বক্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত পর্যালোচনা জানতে চাচ্ছি,

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন: যদি মানুষই সমস্ত সৃষ্টির পরিপূর্ণতা এবং সর্বোত্তম হয়ে থাকে এবং তার মধ্যে সকল গুণাবলী সমাহিত থাকে, এবং তার মধ্যে সেরা ব্যক্তি সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হয়, এবং মুহাম্মদ (সাঃ) ই যদি সেই শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হন, তাহলে এ কথা বলতে কিসে বাঁধা দেবে যে,

 إنه لأجله خلقت جميعها ، وإنه لولاه لما خلقت 

“এই জগৎ তাঁর জন্যই সৃষ্টি হয়েছে এবং তাঁকে সৃষ্টি করা না হলে এই জগৎ সৃষ্টিই হতো না?" [অনুবাদ মাফহুমান]

 فإذا كان الإنسان هو خاتم المخلوقات وآخرها ، وهو الجامع لما فيها ، وفاضله هو فاضل المخلوقات مطلقا ، ومحمد فما ينكر أن يقال: إنسان هذا العين ، وقطب هذه الرحى إنه لأجله خلقت جميعها ، وإنه لولاه لما خلقت

সূত্রঃ মাজমু' আল-ফাতাওয়া: ১১/৯৪-৯৮


"রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টি না করা হলে দুনিয়া সৃষ্টি করা হতো না এমন হাদিস জাল কিন্তু কথা সহিহ।"- এমন বক্তব্য কি সহীহ?

1 Answer

0 votes
by (59,370 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/94928/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-  আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে। (সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান, এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....


মুহতারাম/মুহতারামাহ!

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।


উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।


তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে। (সূরা তাওবাহ-১২২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


বিষয়টি সম্পর্কে অনেক আলোচনা রয়েছে যা বিস্তারিত ভাবে এখানে আলোচনা করা সম্ভব নয়। তবে কমেন্টে একটা লিংক দিচ্ছি তা দেখে নিতে পারেন। অথবা আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।

প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...