আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম।
আমি হলে থাকি।আমাদের কলেজ থেকে হলে ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।তারপরও হলের প্রায় সবাই ব্যবহার করেন।স্যার / ম্যাম রাও জানেন এই বিষয়টা।তেমন কিছু বলেন না।বছরে একবার হয়তো হল সুপার এসে দেখে যান।কোনো পদক্ষেপ নেন না।তাদের মৌন সম্মতি আছে মনে হয়।একবার প্রিন্সিপাল স্যার একটা সেমিনারে বলছিলেন তোমরা হলে রান্না করো এতে আমার এত টাকা বিল দিতে হয়।স্যার ও জানে বিষয়টা।আমরা হলে রান্না না করলে খাবার সমস্যা হয়,কোনো সময় না খেয়েও থাকতে হয়।যেমন,রোজা রাখবো নিয়ত করেছি, কিন্তু খাবার না থাকায় থাকতে পারি নি।কলেজ ক্যান্টিনে প্রতিদিন রান্না করে না হুট হাট করেই বলে আজকে খাবার দিবে না।হোটেলে অর্ডার দিতে চাইলে অনেক সময় ফোন ধরে না।একটা পাবলিক মেডিক্যাল হিসেবে আমাদের যেই সুবিধা দেবার কথা,সেটা দেওয়া হয় না।আমাদের প্রত্যেক প্রফেশনাল পরিক্ষায় বেশি ফি নেওয়া হয়।সেটা তো কলেজ ফান্ডেই জমা হয়।আমার প্রশ্ন হচ্ছে, স্যার যেই বেশি বিলের কথা বলছেন সেটা তো কোনো না  কোনোভাবে আমাদের থেকেই পরিশোধ করছেন।তাহলে কি আমরা হলে রান্না করলে গুনাহ হবে? যেহেতু জানার পরও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এটাকে কি ওনাদের সম্মতি ধরে নেওয়া যায়?আমরা ৩/৪ যারা এবিষয়ে হারাম হালাল প্রশ্নে আপাদত রান্না বন্ধ রেখেছি।কিন্তু এতে আমাদের খুব সমস্যায় হচ্ছে। আমরা ভেবেছি যে আমাদের তো ফ্যান/ লাইট ব্যবহারে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই,তো আমরা যদি টুকটাক রান্না করি ওই সময় টুকু বা তার চেয়ে বেশি সময় আমাদের ফ্যান /লাইটর বন্ধ রেখে বিদুৎ সাশ্রয় করি। তাহলেও কি গুনাহ হবে?।প্রয়োজনে পরবর্তীতে কিছু টাকা হিসাব করে কলেজ ফান্ডে জমা করে দিলাম। এখন আপাদত কোনো হোস্টেল সুপার নাই তাই অনুমতি আনতেও যেতে পারছি না।সরাসরি প্রিন্সিপাল স্যার এর কাছেও যেতে পারছি না। এই অবস্থায় আপনার পরামর্শ কামনা করছি।

জাযাকাল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।বিদায় এসব পরিত্যাজ্য।
কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
তরজমাঃ-হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/3747


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত হিটার, কারেন্টের চুলা ইত্যাদি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ।হাউজ টিউটর ম্যামরা দেখেন,তবে কিছুই বলেন না, এদ্বারা বৈধতার হুকুম আসবে না, বরং হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ যদি বৈধতার হুকুম দেয়, বা অন্য কোনো সুবিধা যেমন চুলা দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু দেয়নি, তাহলে এমতাবস্থায় প্রয়োজন পূর্ণ করতে হিটার ব্যবহার করতে পারেন।যদি হোষ্টেল কর্তৃপক্ষ সবকিছু ঠিকঠাকমতে দেয়, এরপরও কেউ হিটার ব্যবহার করে, তাহলে এমতাবস্থায় অনুমান করে ঐ পরিমাণ বিল হোষ্টেলের একাউন্টে জমা দিয়ে দিতে হবে। যদি হোষ্টেল কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা সম্ভব না হয় বা একাউন্টে টাকা জমা দেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে কয়েকজন মিলে গ্যাসের চুলা ক্রয় করে নিবেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/34844


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উস্তাদ, যেসব জিনিস ব্যবহারের অনুমতি আছে যেমন,ফ্যান, লাইট এগুলা কম ব্যবহার করে যদি হিটার/ চুলা ব্যবহার করি তাহলে জায়েজ হবে কি? যেমন পানি গরম করতে হিটারে ৩/৪ মিনিট লাগে তো আমি যদি ১৫/২০ মিনিট ফ্যান,লাইট ব্যবহার বন্ধ রাখি তাহলে হবে না?এই দিক দিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ব্যবহার করলাম?. দয়া করে উত্তর দিলে মুনাসিব হতো। উল্লেখ যে আগে কলেজ থেকেই এক ধরনের ইলেকট্রিক চুলা লাগিয়ে দিতো সিনিয়র আপুদের রুমে দেখছিলাম,এখন দেয় না কেনো জানি না।আগের গুলা নষ্ট হয়ে গেছে। 
 
জাজাকাল্লাহ খাইরান 
by (589,260 points)
দৈনিক ফ্যান চালালে যদি পুরো দিনের বিল ১০ টাকা আসে, এখন যদি আপনি ফ্যান অফ রেখে ১০ টাকা সমপরিমাণ হিটার চালান, তাহলে তো সেটার রুখসত হবে, তবে আপনি কিভাবে মাফবেন, সেটাই উল্লেখযোগ্য বিষয়?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...