আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওস্তাদ
একজনের প্রশ্ন ছিল
একজন স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে ২৩-২৪ বছর হবে।
তার একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে আছে। ছেলেটি বড়।  ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেছে এবং ছেলেটি বিয়েও করেছে  বাচ্চাও আছে।
কয়েক বছর আগে ওই মায়ের একটি অবৈধ সম্পর্ক ছিল।  ঐ সময়ে তাকে তার ছেলে জিজ্ঞেস করেছিল যে তারা বিয়ে করেছে কিনা। তখন তিনি বলেছিলেন যে বিয়ে করেন নি। ছেলে তখন তার মাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু ঐ মা বিয়ে করতে রাজি হননি বরং সবকিছু অস্বীকার করেছিলেন যে উনি কিছু করেন না বরং বলেছিলেন  ওই লোক তার ভাই হয় এবং এই হিসাবেই তাকে টাকা পয়সা দেয় সেই কথা উনি বলেছিলেন। এইটা কোন ভাবেই বিশ্বাস যোগ্য কথা ছিল না। বিভিন্ন ভাবে তারা যোগাযোগ করতেন।  তাকে অনেক ভাবে বুঝানো হয়। উনি বলেছিলেন যে আর এই সম্পর্কে থাকবেন না। যেহেতু মা হয় এইজন্য ছেলেমেয়েরাও তাকে বেশি কিছু বলতে পারেনি এবং এই জিনিসটা প্রকাশ করতেও পারে নি।
এখন উনার বয়স প্রায় ৫০  এর মতো। অনেকদিন থেকেই থেকেই ওনাদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যাপারটি আর লক্ষ্য করা যায় না। হয়তো যোগাযোগ করে কিংবা করে না করলেও সেটা লুকিয়ে করে এইটা ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে না। ওরকম লক্ষ্মণ ও আর দেখা যায় না।
উস্তাদ প্রশ্ন হচ্ছে ওই মা যদি এখনও ওই লোকের সাথে গপোনে যোগাযোগ করে তাহলে  মহিলার ছেলের কোন দায় থাকবে কিনা? বা গুনাহ হবে কিনা?
উনি যথেষ্ট বুঝিয়েছেন।
২। এই অবস্থায় ছেলে মেয়ের কি করনিয়?
৩। তাকে যদি সন্দেহ করা হয় কিন্তু উনি  ওই সম্পর্কে আর যুক্ত না থাকেন তাহলে  কি গুনাহ হবে?
বা এরকম সন্দেহ করা কি ঠিক হবে?
৪। বড় ছেলে হিসাবে মায়ের অভিভাবক তো তিনি সেক্ষেত্রে মায়ের গুনাহ এর কারণে ছেলে গুনাহগার হবে কিনা?
৫।মাকে পুনরায় ওই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবে কিনা?
কারণ এখনো ওরকম কোন আলামত নেই।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মনে রাখতে হবে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। 
(সূরা ফাতির-১৮) এ সম্পর্কে আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/295

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু মাকে এখন আর আগের মত যোগাযোগ করতে দেখা যাচ্ছে না, তাই মাকে আর সন্দেহ করা যাবে না। হ্যা, সতর্কতামূলক নম্র ও ভদ্রভাবে আরেকবার মাকে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন। অতীতের জন্য মাকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলবেন। যদি গোপনে লুকিয়ে মা ঐ সম্পর্ককে জারি রাখেন, তাহলে এজন্য সন্তানের কোনো দায়ভার থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...