ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/62005/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীয়তের
বিধান মতে বাথরুমে কুরআনের আয়াত, হাদীস, আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম সম্বলিত কিছু
নিয়ে যাওয়া জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، وَالْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ نَزَعَ خَاتَمَهُ .
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সৌচাগারে যেতেন তখন তাঁর আংটি খুলে
রাখতেন। (ইবনু মাজাহ ৩০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭৪৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(عن أنس رضي الله عنه قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) : شرح الحديث من المرقات: (عن أنس قال: كان النبي صلي الله عليه وسلم ) (إذا دخل الخلاء) : أي: أراد دخوله (نزع) : أي: أخرج من أصبعه (خاتمه) : بفتح التاء، وقيل بكسرها لأن نقشه، محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم ، وفيه دليل على وجوب تنحية المستنجي اسم الله واسم رسوله والقرآن كذا قاله الطيبي. قال الأبهري: ويعم الرسل. وقال ابن حجر: استفيد منه أنه يندب لمريد التبرز أن ينحي كل ما عليه معظم من اسم الله تعالى أو نبي أو ملك فإن خالف كره اهـ. وهو الموافق لمذهبنا (رواه أبو داود، والنسائي، والترمذي، وقال: هذا حديث حسن صحيح غريب)
সারমর্মঃ আল্লাহ অথবা রাসুল সাঃ এর নাম,
কুরআন সম্বলিত কোনো কিছু নিয়ে টয়লেট যাওয়া যাবেনা। বাহিরে রেখে আসতে হবে। অন্যথায় এর
খেলাফ করলে মাকরূহ হবে।
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/8425/
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা
করলে ঈমান চলে যায়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ
‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের
সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির
হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)।
فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ
‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে
না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)।
এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ
করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে।
وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম
জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে
শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা
তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত
করবেন’ (নিসা ১৪০)।
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. প্রথমত কোরআনের আয়াত, বিসমিল্লাহ সহ প্রশ্নোক্ত জিনিসগুলো নিয়ে টয়লেটে
যাওয়া মাকরূহ। আপ্রান চেষ্টা করা এ জাতীয় কোন জিনিস নিয়ে টয়লেটে না যাওয়ার। এরপরেও যদি ভুলক্রমে
কোন ব্যক্তি নিয়ে যায় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে টয়লেটে পড়ে যায় তাহলে তার ঈমান
নষ্ট হবে না। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ইস্তেগফার করে নেওয়া উচিত। আগামীতে যেন এমন ঘটনা না
ঘটে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে কোন ব্যক্তি যদি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের প্রতি ঠাট্রাচ্ছলে এ ভাবে
বাথরুমে কুরআন হাদীসের কোন অংশ ফেলে দেয় , সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবে।
২. পার্কে উক্ত অজুহাতের কারণে বসে সালাত আদায় করা
জায়েজ হবে না। কারণ, সালাতের মধ্যে কিয়াম করা ফরজ। এজাতীয় তুচ্ছ কারণে ফরজ আদায়ের ক্ষেত্রে শরীয়তে কোন ছাড়
নেই। নামাজের ওয়াক্ত হওয়া মাত্র পবিত্র স্থান খুঁজে নেওয়া এবং সেখানে সালাত আদায়
করা আবশ্যক।