আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

উস্তায আপনি একটা প্রশ্নে বলেছিলেন ❝সাধারণত নারীদের প্রায় সময় সাদাস্রাব নির্গত হয় এবং তা বাহিরে না আসলেও লজ্জাস্থান ভেজা থাকে (সবসময়), এমন হলে এইজন্য প্রতি ওয়াক্তে অযু করার আগে তা ধৌত ও পরিষ্কার করে নিতে হবে।❞

উস্তায বাসায় মিস্ত্রি আছে অনেক, আমি চাইলেও বাথরুম ইউজ করতে পারা সম্ভব হচ্ছে না, যোহরটা কষ্ট করে পড়তে পারি কিন্ত আসরে সমস্যা হয়ে যায়,  আমি কষ্ট করে অযু টা করতে পারলেও স্রাবের কারণে উপরোল্লিখিত ধৌত করার ❝❞ বিষয়টা সম্ভব না।
১) আমার কি করণীয়?
২) আমি কি যোহর আর আসর কাযা করে মাগরিবের সাথে একসাথে পড়ে নিবো?
৩) ধৌত না করে নামাজ যেহেতু পড়া যাচ্ছে না সেহেতু অযু করে কুরআন ও পড়তে পারবোনা? (সবক শিখতে হয়)

1 Answer

0 votes
by (57,120 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/67537/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়। যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া। সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে। তা নাজাসতে গলিজা। এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার:

(ক) সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।

এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

(খ) যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/50

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

আরো জানুনঃ- https://www.ifatwa.info/9904/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

১-২. জ্বী না আপনার জন্য নামাজ কাযা করা জায়েয হবে না। যেভাবেই হোক আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে পবিত্রতা অর্জন করার এবং ওয়াক্ত মত সালাত আদায় করার। প্রয়োজনে সালাতের সময় মিস্ত্রীদের বিরতি দিতে হবে, যেন তারাও সালাত আদায় করতে যায় এবং আপনার পবিত্রতা অর্জনেও কোন প্রবলেম না হয়। আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য দ্বীন পালন করা সহজ করে দিন। আমিন।

৩. স্রাব যদি কাপড়ে লাগে তাহলে সেটি চেঞ্জ করতে হবে অথবা পায়জামার উক্ত স্থান তিনবার ধৌত করতে হবে, প্রত্যেকবার নিংড়াতে হবে। বারবার বের হলে নামাজের আগ দিয়ে সেটি চেঞ্জ করতে হবে। সুবিধা হয়, নামাজের জন্য আলাদা পায়জামা রাখলে। যেটি নামাজের আগে পরিধান করে পরবে। অতএব যদি আপনার অনরবত স্রাব আসে তাহলে মাজুর হিসেবে আপনার জন্য নাপাক সালোয়ার পড়ে তিলাওয়াত করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
...