আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ

হুজুর,

১) কেউ আকীকার পশু আমাকে দিয়ে জবাই করানোর পর আমি নিতে না চাইলেও  জোর করে হাদিয়া দিলে সেটা গ্রহণ করা যাবে কিনা,

২) কেউ পুরাতন নামের সাথে  নিজের নতুন নাম রেখে সেই নামে মানুষের কাছে পরিচয় দেয়া যাবে কিনা যদিও ছোটবেলা থেকে সবাই তাকে পুরাতন নামেই চিনে। কিন্তু সে চায় নতুন নামে ডাকায় তার মধ্যে উত্তম আখলাক গঠনে ও আমলে আগে বাড়তে অনুপ্রেরণা আসুক ইনশা আল্লাহ।নিয়ত হলোঃ নতুন নাম থেকে উৎসাহ উদ্দীপনা পেয়ে সে ঐ নামের বরকত হাসিল করে নিজেকে উত্তম চারিত্রিক গুণে সাজিয়ে তোলা। যেমন- পয়গম্বর আলাইহিমুস সালামদের নাম মোতাবেক নাম রাখা। যেমন- মুহাম্মাদ

৩) ইলম অর্জনের জন্য কেউ সামর্থ্যবান কারো কাছে নিজের আর্থিক সংকটের কথা বলে সহযোগীতা নেয়া যাবে কিনা। কেননা তার অবস্থা এমন , সে নিজে ইনকাম করতে গেলে ইলম অর্জনের জন্য  যথেষ্ট সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদিয়া গ্রহন সম্পর্কে বুখারী শরীফে এসেছেঃ 

عَبْدَانُ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ عَنِالأَعْمَشِ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ دُعِيتُ إِلٰى كُرَاعٍ لأجَبْتُ وَلَوْ أُهْدِيَ إِلَيَّ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে পায়া খেতে দাওয়াত দেয়া হলে আমি তা কবুল করব এবং আমাকে যদি কেউ পায়া হাদীয়া দেয়, তবে আমি তা অবশ্যই গ্রহণ করব। [২৫৬৮](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮০০)

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

 ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত।
(২৪০৪)

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ إِيَاسٍ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ أَهْدَتْ أُمُّ حُفَيْدٍ خَالَةُ ابْنِ عَبَّاسٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَقِطًا وَسَمْنًا وَأَضُبًّا، فَأَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَقِطِ وَالسَّمْنِ، وَتَرَكَ الضَّبَّ تَقَذُّرًا. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَأُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، وَلَوْ كَانَ حَرَامًا مَا أُكِلَ عَلَى مَائِدَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم

আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাসের খালা উম্মূ হুফায়দ (রাঃ) একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে পনীর, ঘি ও দব্ব (অনেকটা গুইসাপের মত দেখতে) হাদিয়া পাঠালেন। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু পনীর ও ঘি খেলেন আর দব্ব রুচি বিরুদ্ধ হওয়ার কারণে রেখে দিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দস্তরখানে (দব্ব) খাওয়া হয়েছে। যদি তা হারাম হতো তা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দস্তরখানে তা খাওয়া হত না।
(২৪০৫)

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم "إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ

ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন।
(২৪০৬)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
এখানে বিষয় হলো জবাইয়ের পর তারা আপনাকে যাহা দিয়েছে,তাহা কি সেই পশুর গোশত?
নাকি টাকা বা অন্য কিছু?
,
যদি গোশত হয়,তাহলে বিধান হলো আকীকার পশুর গোশত আর কুরবানির পশুর গোশতের বিধান যেহেতু একই, তাই তাহা পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া জায়েজ নেই।
,
এক্ষেত্রে উক্ত গোশত দিতে চাইলে পারিশ্রমিক হিসেবে কিছু টাকা বা অন্য কিছু দিতে হবে।
শুধু গোশত দেওয়া যাবেনা।
এটি জায়েজ হবেনা।
,
সুতরাং এই ছুরতে আপনি তাহা গ্রহন করবেননা। 
,
আর যদি টাকা বা অন্য কিছু হয়,তাহলে তাহা গ্রহন জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই। 
,
(০২)
হ্যাঁ জায়েজ আছে।
,
(০৩)
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللهُ لَهُ طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ
যে কেউ ইলমের খোঁজে কোনো পথে চলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।(মুসনাদে আহমদ ১৪/৬৬)
,
وَعَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ نَفَّسَ عَنْ مُؤْمِنٍ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ الدُّنْيَا نَفَّسَ اللّهُ عَنْهُ كُرْبَةً مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَمَنْ يَسَّرَ عَلى مُعْسِرٍ يَسَّرَ اللّهُ عَلَيْهِ فِي الدُّنْيَا وَالْاۤخِرَةِ وَمَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَاللّهُ فِي عَوْنِ الْعَبْدِ مَا كَانَ الْعَبْدُ فِي عَوْنِ أَخِيهِ وَمَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَلْتَمِسُ فِيهِ عِلْمًا سَهَّلَ اللّهُ لَه بِه طَرِيقًا إِلَى الْجَنَّةِ وَمَا اجْتَمَعَ قَوْمٌ فِي بَيْتٍ مِنْ بُيُوتِ اللهِ يَتْلُونَ كِتَابَ اللهِ وَيَتَدَارَسُونَه بَيْنَهُمْ اِلَّا نَزَلَتْ عَلَيْهِمْ السَّكِيْنَةُ وَغَشِيَتْهُمْ الرَّحْمَةُ وَحَفَّتْهُمْ الْمَلَائِكَةُ وَذَكَرَهُمُ اللّهُ فِيمَنْ عِنْدَه وَمَنْ بَطَّأَ بِه عَمَلُه لَمْ يُسْرِعْ بِه نَسَبُه. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মু'মিনের দুনিয়ার বিপদসমূহের কোন একটি বিপদ দূর করে দিবে, আল্লাহ তা'আলা তার আখিরাতের বিপদসমূহের মধ্য হতে একটি (কঠিন) বিপদ দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি অভাবগ্রস্থ লোকের অভাব (সাহায্যের মাধ্যমে) সহজ করে দিবে, আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামাতের দিনে তাকে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করবেন। যে ব্যক্তি কোন মু'মিনের দোষ-ত্রুটি গোপন করবে (প্রকাশ করবে না), আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন। আল্লাহ তা'আলা তার বান্দাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করতে থাকেন যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে। যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণের জন্য কোন পথ বা পন্থায় অনুপ্রবেশ করার সন্ধান করে, আল্লাহ তা'আলা এর বিনিময়ে তার জান্নাতে প্রবেশ করার পথ সহজ করে দেন। যখন কোন দল আল্লাহর কোন ঘরে সমবেত হয়ে আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং জ্ঞান চর্চা করে, তাদের উপর আল্লাহর তরফ থেকে স্বস্তি ও প্রশান্তি নাযিল হতে থাকে, আল্লাহর রহ্মাত তাদেরকে ঢেকে নেয় এবং মালায়িকাহ্ তাদেরকে ঘিরে রাখে এবং আল্লাহ তা'আলা মালাকগণের নিকট তাদের উল্লেখ করেন। আর যার 'আমাল তাকে পিছিয়ে দেয় তার বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না। সহীহ : মুসলিম ২৬৯৯।

সুরা বাকারার ২৭৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

لِلۡفُقَرَآءِ الَّذِیۡنَ اُحۡصِرُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ لَا یَسۡتَطِیۡعُوۡنَ ضَرۡبًا فِی الۡاَرۡضِ ۫ یَحۡسَبُهُمُ الۡجَاهِلُ اَغۡنِیَآءَ مِنَ التَّعَفُّفِ ۚ تَعۡرِفُهُمۡ بِسِیۡمٰهُمۡ ۚ لَا یَسۡـَٔلُوۡنَ النَّاسَ اِلۡحَافًا ؕ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَاِنَّ اللّٰهَ بِهٖ عَلِیۡمٌ ﴿۲۷۳﴾

(সদাকা) সেসব দরিদ্রের জন্য যারা আল্লাহর রাস্তায় আটকে গিয়েছে, তারা যমীনে চলতে পারে না। না চাওয়ার কারণে অনবগত ব্যক্তি তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে। তুমি তাদেরকে চিনতে পারবে তাদের চিহ্ন দ্বারা। তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে চায় না। আর তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, অবশ্যই আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানী। 

হযরত সাহল ইবনে হানযালা রাঃ থেকে বর্ণিত,

 وَعَنْ سَهْلِ بْنِ الْحَنْظَلِيَّةِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: " «مَنْ سَأَلَ وَعِنْدَهُ مَا يُغْنِيهِ، فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنَ النَّارِ» " قَالَ النُّفَيْلِيُّ وَهُوَ أَحَدُ رُوَاتِهِ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " وَمَا الْغِنَى الَّذِي لَا تَنْبَغِي مَعَهُ الْمَسْأَلَةُ؟ قَالَ: قَدْرُ مَا يُغَدِّيهِ وَيُعَشِّيهِ " وَقَالَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ " أَنْ يَكُونَ لَهُ شِبَعُ يَوْمٍ أَوْ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ "

নবীজী সাঃ বলিয়াছেন,যে ব্যক্তি সুওয়াল করল,অথচ তার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ মাল রয়েছে, সে যেন বেশী বেশী আগুনকে চাইল।আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আন-নুফায়লি যিনি উক্ত হাদিসের একজন রাবী(বর্ণনাকারী),তিনি  বলেন:
কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে সুওয়াল করা যাবে না? মর্মক প্রশ্নের জবাবে নবীজী সাঃ বলেনঃ সকালবিকাল পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহ থাকলে সুওয়াল করা যাবে না।নুফাইলি রাহ অন্যত্র বলেন,নবীজী সাঃ বলেছেনঃ যার কাছে একদিন পরিমাণ বা একদিন ও রাত পরিমাণ খাদ্য সংগ্রহ থাকবে তার জন্য সুওয়াল করা হারাম হবে।
(আবু-দাউদ-১৮৪৮)

★অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া কার জন্য জায়েজ,জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এই মাসয়ালার ক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম থেকে অনেক রকমের মত পাওয়া যায়।
বিভিন্ন মতবিরোধ পাওয়া যায়। 
,
যদি কেহ একেবারেই নিঃস হয়,আর তাকে অন্য কেউ আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসে,বা সে জানে যে অমুকে সহযোগিতা করবে।
,
তাহলে সেক্ষেত্রে তার কাছে সেই গিয়ে সহযোগিতা চাইতে পারবে।
,   
হাফেজ্জি হুজুর রহঃ বলেছেন যে তালেবে ইলমদের প্রচলিত সহযোগিতা চাওয়া  এগুলো ইলমের ইহানতের অন্তর্ভুক্ত। 
তাই এহেন কাজ থেকে বিরত থাকা চাই।
,
সুতরাং ইলম অর্জনের জন্য কেউ সামর্থ্যবান কারো কাছে নিজের আর্থিক সংকটের কথা বলে সহযোগীতা নিতে পারবে,যদি তার কাছ থেকে পাওয়ার কথা থাকে,বা সে জানে,যে তিনি সাহায্য করবেনই।
,
অযথা বা অন্যান্য সায়েল দের ন্যায় চাওয়া ঠিক নয়।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...