আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার দাম্পত্য পরিস্থিতি জানিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম " খোলা তালাক নেয়া জায়েজ হবে কিনা" __ ফতোয়া পেয়েছি " হ্যা যাবে"

.
এখন আরেকটি সমস্যা দেখা দিয়েছে...

৩বছর পূর্বে জাওজ বলেছিলেন " অমুক কাজটি করলে তালাক পতিত হবে "-- এটা আমি জানতাম । কিন্তু পরবর্তীতে তিনি নাকি আবারো বলেছিলেন " অমুক কাজটি করার "চেষ্টা " করলে তালাক পতিত হবে "__ ওয়াল্লাহি এটা আমার আজও স্মরণে আসেনা উনি একথা  বলেছিলেন কিনা।
. ঘটনাক্রমে কাজটি করার চেষ্টা হয় আমার দ্বারা।
ফতোয়ায় এবিষয়ে বিস্তারিত জানাই এবং বলা হয় _ ''আমার জাওজ যদি কসম করে বলেন যে তিনি একথা বলেছিলেন তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে।" ( যেহেতু ৩য় কোনো সাক্ষী নেই আমাদের মাঝে)

. এদিকে জাওজ কসম করলেন না  ।।
তাহলে ধরে নিচ্ছি তালাক হয়নি।

 অথচ,  তিনি পুনরায় নতুন দেনমোহর ধার্য করে বিবাহ পড়িয়ে নিলেন। ( তার মতে তালাক হয়নি, জাস্ট ঝুঁকিমুক্ত হবার জন্য নতুনভাবে বিয়ে পড়ানো হল) [ উল্লেখ্য যে, ৯/১০ মাস যোগাযোগহীন অবস্থায় তালাকের ঘটনাটি ঘটে, ফলে অজান্তেই ইদ্দতের ৩মাসও পার হয়ে গেছিল।  বিবাহ ছাড়া ফিরিয়ে নেবার সুযোগ ছিলনা]

.তাতেও কোনো সমস্যা ছিলনা বাট আমি যেহেতু এখন খোলা তালাক নিতে চাচ্ছি,  এখানে দেনমোহরের একটা ব্যাপার আছে।  তাই ওই তালাকটি হয়েছে কিনা জানা জরুরি।
[তালাক পতিত  হলে,  ২য়  বিয়ের দেনমোহর পাবোনা যদি খোলা নিই। ১ম বারের মোহর পাবো।
আর
তালাক পতিত না হলে, কোনো বিয়ের  দেনমোহরই পাবোনা ]

যদিও রাষ্ট্রীয় আইনে ১ম বিয়ের দেনমোহর পাওনা কিন্তু আল্লাহর আইনে হারাম হলে ১পয়সাও নিব না।
জাযাকুমুল্লহু খয়রন।।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

তালাক পতিত হওয়ার ক্ষেত্রে স্ত্রীকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয়।
মুখ থেকে উচ্চারণ হয়ে গেলেই তালাক পতিত হয়ে৷ যায়।
(এক্ষেত্রে ভুলে/ঠাট্রা মূলক মুখ দিয়ে উচ্চারন হলেও তালাক হবে।)
(ফাতাওয়ায়ে রশিদিয়্যাহ ৪৭৭
ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৯/৪২
আযিযুল ফাতওয়া ১/২৫২)
,   
أما رکن الطلاق فہو ہذہ اللفظۃ الصادرۃ من الزوج۔ (الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۴؍۳۷۷ رقم: ۶۴۷۱ زکریا)
সারমর্মঃ
তালাকের রুকন হলো এই শব্দ গুলো স্বামী থেকে বের হওয়া।

★তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
আপনার স্বামী যদি বলে যে তিনি আসলেই বলেছিলেন " অমুক কাজটি করার "চেষ্টা " করলে তালাক পতিত হবে "

কিন্তু উক্ত বাক্য বলা সম্পর্কে আপনার স্মরণে আসছেনা,সুতরাং এমতাবস্থায় উক্ত কাজের চেষ্টা করার দরুন আপনার উপর এক তালাক পতিত হয়েছে। 

সুতরাং শরীয়তের আলোকে আপনি ১ম বারের বিবাহের পূর্ণ মোহরানা পাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খয়রন উস্তায। 
কিন্তু উনি তো কসম করে বলছেনা_  হ্যাঁ আল্লাহর কসম  আমি "চেষ্টা " করার কথাও বলেছিলাম। 
ফতোয়ায় বলেছিল ওনাকে কসম করে বলতে। 
( তিনি বলছেন যেহেতু কলরেকর্ড/মেসেজের স্কিনশট নেই তাই তিনি কসম করবেন না, তবে তার দাবী " চেষ্টা " শব্দটা তিনি বলেছিলেন)  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...