আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
ওস্তাদ
আমি প্রবাসি৷ কাতার থাকি। ৪ মাস আগে আমি দেশে যাই প্রায় ৫ বছর পরে।। কথা ছিল আমার বিয়ে করাবে।কিন্তু উনারা সব সময় আমার সব বেপারে উদাসিন। আমি ৬ বছর পরে যাওয়ার পরেও আমায় শুনা লাগছে আমি কেন আসছি দেশে। আমি মেয়ে দেখছিলাম৷ পছন্দ হইছিলো।  মেয়ের ফেমিলিও আমায় পছন্দ করছিল।।সবাই রাজি।। বিয়ের দিন তারিখ ঠিক  হয়।। বিয়ের ২ দিন আগে বাবা মা বলতেছে ওইখানে  বিয়ে করাবেনা।।আমি কারন জিগাই৷ ওনারা বলেন মেয়েরা গরিব। আমি বললাম আমি ওইখানেই করবো।।  আমার  আম্মু বলসে আমি যদি বিয়ে করি উনি আব্বু কে ছেরে দিবে।।আব্বু বলসে আমি যদি ওইখানে বিয়ে করে উনিও আম্মু কে ছেরে দিবে।।তারপর আমি ২০ দিন থেকেই আবার কাতার চলে আশি।( উনাদের মদ্দে আমার ছোটবেলা থেকেই মারামারি দেখে বড় হইছি, আমার বাবা পরকিয়াতে লিপ্ত ছিল।আমার এবং আমার মেজো ভাই এর পড়া শুনা বন্ধ হয়ে জায় এসব কারনে।আকি ২০১৮ তে কাতার চলে আশি পরিবারের হাল ধরতে।।বাবা পরকিয়াতে লিপ্ত হবার পর থেকে কোন খরচ দিতনা আমাদের। এখন যদিও উনি এইসব থেকে বের হয়ে আসছে।কিন্তু দরকার চাড়া কখনো কেউ আমার খোজ নেয়না।। ওনাদের সাথে এইসব কারনে আমার সম্পর্ক ভালো না।আমি শুধু টাকা পাঠাইয়ে জিজ্ঞেস করি পাইছে কিনা আমাদের সম্পর্ক এইটুক)
প্রশ্ন হলো  আমি কি ওনাদের অনুমতি ছাড়াই বিয়ে করতে পারব? বা আমি ওনাদের ভরনপোষণ দিয়ে উনাদের থেকে দূরে থাকলে কি আমার কোন গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

অভিভাবক ছাড়া বিবাহের বিধান জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি নিজ অভিভাবকের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও বিবাহ করেন,সেক্ষেত্রে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

তদুপরি এক্ষেত্রে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, বাবা মার সন্তুষ্টি মোতাবেক অন্য পরিবারে বিবাহ করার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...