আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
71 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
বাবা মারা গেছেন ১২ বছর আগে।বাবার রেখে যাওয়া ৫ তলা বাড়ি, ব্যাবসা এবং আরো কিছু জমি রয়েছে।বাবার ব্যাবসার টাকা থেকে  এবং লোন করে মা যদি জমিতে ঘর তুলে,ভাড়া দেয় & সেই বাড়িগুলো মা& গং(৩সন্তান)এর নাম এ থাকে & মা ই ব্যাবসা চালায়(পরিবহন ব্যাবসা ছিল,সেগুলো বিক্রি করে মূলধন দিয়ে সিএনজি ব্যাবসা চালু করেছেন & সেটা তার নামেই)।সন্তানেরা পরবর্তীতে বিয়ে করলে,১ কন্যাকে নিজ বাড়িতেই রাখে ঘরজামাই সহ,তাদের সন্তানের খরচ একসাথেই বহন করা হয়।কিন্তু পুত্র বিয়ে করলে তাকে আলাদা করে কোন খরচ না দেয়া হয়,খাওয়ার খরচ মা ই করে।কিন্তু এক ঘরে পর্দার সহিত থাকা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায় পুত্রের স্ত্রীর জন্যে।এবং স্বাভাবিক সব ভরনপোষণ এর ব্যাপারে স্ত্রী-সন্তানের কষ্ট হয়ে যায়
১.এমতাবস্থায় আলাদা বাসা নিয়ে থাকতে চাইলে মা কষ্ট পায়,এজন্যে কি ছেলে গুনাহগার হবে?

২.যদিও তার বাবার জমিতে প্রায় ১০ টা বাড়ি,কিন্তু বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলাদা চলার মত সামর্থ্য নেই।এক্ষেত্রে কি বাবার সম্পত্তির ভাগ চাইলে গুনাহ হবে?

৩.যে সম্পদ মা & গং এর নাম এ,সেখান থেকে কি মা জীবিত অবস্থায় সম্পদ পেতে পারে?যেহেতু বাবার জায়গা+ অর্থও বাবার ব্যাবসা থেকে এসেছে।

৪.পুত্রের স্ত্রী-সন্তানের খরচ দেয়া তো মায়ের জন্যে ফরজ নয়।কিন্তু পুত্রের যদি সেই পরিমান আয় না থাকে,বাবার সম্পদ থাকে(বাড়ি ভাড়া) সেক্ষেত্রে কি মা এর থেকে পুত্র নিজ সংসার খরচ চাইতে পারে?/মা যদি না দেয় তাহলে কি মা গুনাহগার হবে?

৫.স্ত্রী যদি আলাদা বাসার জন্যে জোর করে,চলতে কষ্ট তাই সম্পত্তি ভাগ করে বাড়ি ভাড়ার কিছু অংশ চায়, আমার যেহেতু সামর্থ নেই(কিন্তু সম্পত্তি আছে) সেক্ষেত্রে এতে রাজি না হলে, স্ত্রী যদি বিচ্ছেদ চায় তা কি জায়েজ হবে?নাকি স্ত্রী গুনাহগার হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জবিউল ফুরুজঃ
এদের অংশ পবিত্র কোরআন শরীফে নির্ধারণ করে দেয়া আছে। জবিউল ফুরুজ হল ১২ জন। এদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ এবং বাকি ৮ জন মহিলা। ৪ জন পুরুষ হল - ১) স্বামী, ২)পিতা, ৩)দাদা, ৪) সৎ ভাই (বৈপিত্রেয়)। ৮ জন মহিলা হল - ১)স্ত্রী, ২)কন্যা, ৩)পুত্রের কন্যা, ৪)মাতা, ৫)দাদি এবং নানি, ৬)সহোদর বোন, ৭) সৎ বোন (বৈমাত্রেয়), ৮)সৎ বোন (বৈপিত্রেয়)। নির্ধারিত অংশের পরিমান নিম্নরূপঃ
(১) স্বামী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(২) স্বামী ১/২ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৩) স্ত্রী ১/৮ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান থাকে।
(৪) স্ত্রী ১/৪ পাবে যখন সন্তান বা পুত্রের সন্তান না থাকে।
(৫) কন্যা ১/২ পাবে যখন একজন মাত্র কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৬) কন্যা ২/৩ পাবে যখন দুই বা ততধিক কন্যা থাকে এবং পুত্র না থাকে।
(৭) কন্য অবশিষ্ট ভোগী হিসাবে পাবেন যখন এক বা একের অধিক পুত্র থাকে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/343

হযরত আনাস ইবনে মালেক রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ فَرَّ مِنْ مِيرَاثِ وَارِثِهِ، قَطَعَ اللَّه ُمِيرَاثَهُ مِنَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ যে ব্যক্তি তার ওয়ারিছদেরকে মিরাছ প্রদান থেকে পলায়ন করবে(তথা-ওয়ারিছদেরকে মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবে)আল্লাহ তা'আলা ক্বিয়ামতের দিন তাকে জান্নাতের মিরাছ থেকে বঞ্চিত করবেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ-২৭০৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাবা মারা যাওয়ার পর বাবার সম্পত্তির মালিক তার ওয়ারিছগণ হয়ে যায়। ছেলে হিসেবে আপনি আপনার বাবার সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। মায়ের জন্য এই সম্পদকে আগলিয়ে রাখা কখনো জায়েয হবে না। ছেলে তার স্ত্রীর পর্দা রক্ষার্থে পৃথক বাসায় স্ত্রীকে রাখার আবদার করতে পারবে, এতে ছেলের গোনাহ হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...