ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
দ্বিনের কাজে বাধা দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ করে কেউ তাওবা না করলে
আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন,
اِنَّ الَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا وَ صَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ مَاتُوۡا وَ هُمۡ كُفَّارٌ فَلَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰهُ لَهُمۡ
‘নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফির
অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না।’ (সুরা : মুহাম্মাদ, আয়াত :
৩৪)
দ্বিনের পথে বাধাদানের জন্য আল্লাহ পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে এমন কী বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের
ওপর আজাব দান করবেন না। তারা মসজিদে হারামে যেতে বাধা দান করে, অথচ তাদের সে অধিকার
নেই। এ অধিকার তো তাদেরই আছে, যারা পরহেজগার। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ সে বিষয়ে অবহিত
নয়। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৫)
আল্লাহপাক অন্যত্র বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের
মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলেছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত্ত রেখেছে। আর যারা
স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ
শুনিয়ে দিন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৪)
তিনি আরো বলেন, ‘যারা কাফির হয়েছে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদেরকে
আজাবের পর আজাব বাড়িয়ে দেব। কারণ তারা অশান্তি সৃষ্টি করত। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৮৮)
আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা কুফরি করে ও আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সেই মসজিদে
হারাম থেকে বাধা দেয়, যাকে আমি প্রস্তুত করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সব মানুষের জন্য সমভাবে
এবং যে মসজিদে হারামে অন্যায়ভাবে কোনো ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচ্ছা করে, আমি তাদের যন্ত্রণাদায়ক
শাস্তি আস্বাদন করাব।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৫)
কেউ কেউ নিজ প্রাইভেট ড্রাইভার কিংবা দোকানের কর্মচারীদেরকে জামা‘আতে সালাত
আদায় করতে বাধা দিয়ে থাকে। তা করা কোনোভাবেই তার জন্য জায়িয নয়। কারণ, জামা‘আতে সালাত
পড়া ওয়াজিব এবং তা আল্লাহ তা‘আলার একান্ত অধিকার তথা আনুগত্যও বটে। আর এ কথা জানা যে,
আল্লাহ তা‘আলার অধিকার ও আনুগত্য সবার অধিকার ও আনুগত্যের ওপর। তাই আল্লাহ তা‘আলার
অধিকার খর্ব করার সাধ্য কারোর নেই।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
﴿تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ﴾ [المائدة: ٢]
“তোমরা নেক ও আল্লাহ্ভীরুতার কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো। গুনাহ ও হঠকারিতার
কাজে কাউকে সহযোগিতা করো না। সর্বদা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা
কঠিন শাস্তিদাতা”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ২]
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপাতত যেকোন ভাবে সালাত আদায়ের
জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে গোপনে নামাজ পড়বেন, কিন্তু কোন অবস্থাতেই
নামাজ পরিত্যাগ করা যাবে না। তবে আপাতত ইস্তেগফারের সাথে চাকুরী করবেন। কিন্তু
সর্বাত্নক চেষ্টা করতে হবে ভিন্ন কোন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে। ভিন্ন কোন কোম্পানী
বা অফিসে জব কনফার্ম হলেই এই জবটি ছেড়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ। বেতন যদি একটু কমও হয়
তথাটি দ্বীন পালনে স্বাধীনতা আছে এমন স্থানকে প্রাধাণ্য দিতে হবে।