আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in সালাত(Prayer) by (44 points)
আসসালামু আলাইকুম।
---------------------------------
কোম্পানি যদি জামাতে নামাজ আদায় করার সুযোগ না দেয় তাহলে আমার করণীয় কী? এই মুহুর্তে এই চাকরিটা ছেড়ে দিতেও পারছি না, কারণ এই চাকরিটা ছাড়া আমার ইনকামের আর কোনো মাধ্যম নেই।

1 Answer

0 votes
by (57,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

দ্বিনের কাজে বাধা দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ করে কেউ তাওবা না করলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ বলেন,

اِنَّ الَّذِیۡنَ كَفَرُوۡا وَ صَدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ثُمَّ مَاتُوۡا وَ هُمۡ كُفَّارٌ فَلَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰهُ لَهُمۡ

‘নিশ্চয়ই যারা কাফির এবং আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে ফিরিয়ে রাখে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মারা যায়, আল্লাহ কখনোই তাদের ক্ষমা করবেন না।’ (সুরা : মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩৪)

দ্বিনের পথে বাধাদানের জন্য আল্লাহ পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের মধ্যে এমন কী বিষয় রয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদের ওপর আজাব দান করবেন না। তারা মসজিদে হারামে যেতে বাধা দান করে, অথচ তাদের সে অধিকার নেই। এ অধিকার তো তাদেরই আছে, যারা পরহেজগার। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ সে বিষয়ে অবহিত নয়। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৫)

আল্লাহপাক অন্যত্র বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলেছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত্ত রেখেছে। আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৪)

তিনি আরো বলেন, ‘যারা কাফির হয়েছে এবং আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদেরকে আজাবের পর আজাব বাড়িয়ে দেব। কারণ তারা অশান্তি সৃষ্টি করত। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৮৮)

আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা কুফরি করে ও আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে এবং সেই মসজিদে হারাম থেকে বাধা দেয়, যাকে আমি প্রস্তুত করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সব মানুষের জন্য সমভাবে এবং যে মসজিদে হারামে অন্যায়ভাবে কোনো ধর্মদ্রোহী কাজ করার ইচ্ছা করে, আমি তাদের যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাব।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৫)

কেউ কেউ নিজ প্রাইভেট ড্রাইভার কিংবা দোকানের কর্মচারীদেরকে জামা‘আতে সালাত আদায় করতে বাধা দিয়ে থাকে। তা করা কোনোভাবেই তার জন্য জায়িয নয়। কারণ, জামা‘আতে সালাত পড়া ওয়াজিব এবং তা আল্লাহ তা‘আলার একান্ত অধিকার তথা আনুগত্যও বটে। আর এ কথা জানা যে, আল্লাহ তা‘আলার অধিকার ও আনুগত্য সবার অধিকার ও আনুগত্যের ওপর। তাই আল্লাহ তা‘আলার অধিকার খর্ব করার সাধ্য কারোর নেই।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ﴾ [المائدة: ٢]

“তোমরা নেক ও আল্লাহ্ভীরুতার কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো। গুনাহ ও হঠকারিতার কাজে কাউকে সহযোগিতা করো না। সর্বদা আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা কঠিন শাস্তিদাতা”। [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ২]

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপাতত যেকোন ভাবে সালাত আদায়ের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে গোপনে নামাজ পড়বেন, কিন্তু কোন অবস্থাতেই নামাজ পরিত্যাগ করা যাবে না। তবে আপাতত ইস্তেগফারের সাথে চাকুরী করবেন। কিন্তু সর্বাত্নক চেষ্টা করতে হবে ভিন্ন কোন কর্মসংস্থান খুঁজে পেতে। ভিন্ন কোন কোম্পানী বা অফিসে জব কনফার্ম হলেই এই জবটি ছেড়ে দিবেন ইনশাআল্লাহ। বেতন যদি একটু কমও হয় তথাটি দ্বীন পালনে স্বাধীনতা আছে এমন স্থানকে প্রাধাণ্য দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...