আপনি যদি সাহেবে তারতীব হন,তথা সারা জীবনে এখন পর্যন্তও আপনার ছয় রা'কাতের বেশী নামায কাযা না হয়ে থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় আপনার উপর ছুটে যাওয়া ওয়াক্ত গুলোর নামায সমূহকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কা'যা করা ওয়াজিব।
ছুটে যাওয়া নামাযকে আদায় না করলে বর্তমান নামাযই আদায় হবে না।
,
তবে যদি কারো ছয় ওয়াক্তের ছেয়ে বেশী নামায কা'যা থাকে,তাহলে উনার উপর পূর্বের নামায প্রথমে পড়া ওয়াজিব হবে না।তবে সময়-সুযোগ থাকলে অবশ্যই পড়ে নেয়াই উচিৎ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى
অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)
,
★সুতরাং আপনি যদি সাহেবে তারতিব হোন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে (১০ মিনিট থাকা অবস্থায়) দ্রুত বিতর নামাজের কাজা আদায় করবেন।
অতঃপর দ্রুত ফজরের শুধু ফরজ নামাজ আদায় করবেন।
,
ফজরেত সুন্নাত এটি আপনি সূর্যোদয়ের পর আদায় করবেন।
,
হাদীস শরীফে এসেছে
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
,
আর যদি আপনি সাহেবে তারতিব না হোন, তাহলে সময় সুযোগ মোতাবেক পরবর্তীতে বিতর নামাজের কাজা আদায় করবেন।