আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

আমি হারাম রিলেশনে জড়িত।  আসলে এই হারামে জড়িত হওয়ার আগে, অর্থাৎ জরিত হওয়ার ১ম এর দিক আমাদের উদ্দেশ্যই ছিলো না হারামে জড়ানোর, আমরা একে অন্যকে পছন্দ করেছিলাম শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য, আল্লাহর কাছে পছন্দনিয় বান্দা হওয়ার  উদ্দেশ্যে।  কিন্তু কি থেকে আজ কিসে এসে দারিয়েছি। সেই ছেলেটি আমার শিক্ষক ছিলেন।  আমার থেকে বয়সে কমপক্ষে ১১বছরের বড় হবে।তবে ছেলেটি খুবই দ্বীনদার।  আর এ টাই আমাদের মুসলিম নারী পুরুষের সবথেকে বেশি বড় দূর্বলতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আমার শিক্ষক ছিলেন।  তারপর উনি আমাকে বিয়ে করবার জন্য আমার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। উনি আমার চেহারা দেখেন নি, যখনই দেখছেন পরিপূর্ণ পর্দার সাথেই দেখছে। সবার সম্মতিক্রমে আমাদের বিয়ের কথা ও শুরু হয়,  এর পর তাদের যে দিন আমাকে দেখতে আসবার কথা তার আগের দিন আমার বাবা তাদের ফোন করে আসতে বারন করেন ( এখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়, তার সম্পর্কে আমার পরিবারের কিছু মানুষ আমার বাবাকে ভুল তথ্য দেয়, এখানে উল্লেখ্য আমার বাবার আগে থেকেই তাকে পছন্দ ছিলো না,  তবে সে আমার জন্য এই বিয়েতে রাজি হন) তারপর বিয়ে ভেঙে যায়। এর পর থেকে আামর জন্য ঘটক লাগিয়ে ছেলে দেখা শুরু হয়।  আর ঐ ছেলের সাথে আমার ফোনে ম্যাসেজের মাধ্যমে কথা হতো। যাই হোক এর পর অনেক ছলে আনছে আমার পরিবার কিন্তু আমি কোনো ছেলের সামনে যায়নি শুধু মহিলারা আমাকে দেখে গেছেন। কিন্তু এখনও এ ভাবেই চলছে। অথচ ঐ ছেলের সাথে আমার এখনও কথা হয়।

ঐ ছেলে আমাকে বলছে সে আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। হয় জিহাদে চলে যাবে, আর না হয় বাবা মা যত দিন আছেন তত দিন তাদের সাথে থাকবে আর তাদের অবর্তমানে  মুসাফির হয়ে সারা জীবন  কাটাবে। অন্য দিক আমার বাবা কোনো মতেই ঐ ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি না।আমার বাবার বক্তব্য  ঐ ছেলেকে বিয়ে করলে আমার বাবা থাকবেন না।মানে আমি তাকে বাবা বলে ডাকতে পারবো না,  সে কখনও আমাকে মেয়ে বলে পরিচয় দিবে না আরও অনেক কিছু।
এখন আমি নিজে কি করবো বুঝতে পারছি না। আর এভাবে আমার নিজের ও ঐ ছেলেটার দুই জনেরই বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।  আমরা ইস্তেখারার সালাত ও পড়ছি। তখন মনে হয় যে আমরা এক জন অন্য জনের জন্য কল্যানকর হবো। তবে মহান আল্লাহ কি চাচ্ছেন সেটাতো তিনিই ভালো জানেন। আমার বাবার সামনে ঐ ছেলের কথা কিন্তু বললা তিনি শুনতে চান মা আর খুবই খারাপ ব্যবহার ও কান্নাকাটি কারেন।

আর এ ভাবে হারামের ভিতর থাকতে থাকতে হাপিয়ে গেছি,  অনেক বার চেষ্টা ও করছি হারাম থেকে বের হতে, বিয়ের পর কথা হবে সেই চিন্তা করছি, কিন্তু কিছু দিন পর আবার যা তাই। আবার একজন অন্য জনকে ম্যাসেজ আদান প্রদান করছি। কিন্তু  এখন এই অবস্থা থেকে আমি বের হতে চাচ্ছি। হয় তার সাথে বিয়ে হোক না হয় বাবা মায়ের কথা মতো অন্য কারো সাথে। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বের হতে চাই।  কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো, আমি তার জন্য বাবা মায়ের সাথে লড়াই করবো? নাকি বাবা মায়ের কথা মতো তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে করবো? ঐ ছেলে আমাকে বলছে সে আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। হয় জিহাদে চলে যাবে, আর না হয় বাবা মা যত দিন আছেন তত দিন তাদের সাথে থাকবে আর তাদের অবর্তমানে  মুসাফির হয়ে সারা জীবন  কাটাবে। অন্য দিক আমার বাবা কোনো মতেই ঐ ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি না।আমার বাবার বক্তব্য  ঐ ছেলেকে বিয়ে করলে আমার বাবা থাকবেন না।মানে আমি তাকে বাবা বলে ডাকতে পারবো না,  সে কখনও আমাকে মেয়ে বলে পরিচয় দিবে না আরও অনেক কিছু।
এখন আমি নিজে কি করবো বুঝতে পারছি না। আর এভাবে আমার নিজের ও ঐ ছেলেটার দুই জনেরই বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।  আমরা ইস্তেখারার সালাত ও পড়ছি। তখন মনে হয় যে আমরা এক জন অন্য জনের জন্য কল্যানকর হবো। তবে মহান আল্লাহ কি চাচ্ছেন সেটাতো তিনিই ভালো জানেন। আমার বাবার সামনে ঐ ছেলের কথা কিন্তু বললা তিনি শুনতে চান মা আর খুবই খারাপ ব্যবহার ও কান্নাকাটি কারেন।

আর এ ভাবে হারামের ভিতর থাকতে থাকতে হাপিয়ে গেছি,  অনেক বার চেষ্টা ও করছি হারাম থেকে বের হতে, বিয়ের পর কথা হবে সেই চিন্তা করছি, কিন্তু কিছু দিন পর আবার যা তাই। আবার একজন অন্য জনকে ম্যাসেজ আদান প্রদান করছি। কিন্তু  এখন এই অবস্থা থেকে আমি বের হতে চাচ্ছি। হয় তার সাথে বিয়ে হোক না হয় বাবা মায়ের কথা মতো অন্য কারো সাথে। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বের হতে চাই।  কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো, আমি তার জন্য বাবা মায়ের সাথে লড়াই করবো? নাকি বাবা মায়ের কথা মতো তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে করবো?

ঐ ছেলে আমাকে বলছে সে আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না। হয় জিহাদে চলে যাবে, আর না হয় বাবা মা যত দিন আছেন তত দিন তাদের সাথে থাকবে আর তাদের অবর্তমানে  মুসাফির হয়ে সারা জীবন  কাটাবে। অন্য দিক আমার বাবা কোনো মতেই ঐ ছেলের সাথে আমার বিয়ে দিতে রাজি না।আমার বাবার বক্তব্য  ঐ ছেলেকে বিয়ে করলে আমার বাবা থাকবেন না।মানে আমি তাকে বাবা বলে ডাকতে পারবো না,  সে কখনও আমাকে মেয়ে বলে পরিচয় দিবে না আরও অনেক কিছু।
এখন আমি নিজে কি করবো বুঝতে পারছি না। আর এভাবে আমার নিজের ও ঐ ছেলেটার দুই জনেরই বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে।  আমরা ইস্তেখারার সালাত ও পড়ছি। তখন মনে হয় যে আমরা এক জন অন্য জনের জন্য কল্যানকর হবো। তবে মহান আল্লাহ কি চাচ্ছেন সেটাতো তিনিই ভালো জানেন। আমার বাবার সামনে ঐ ছেলের কথা কিন্তু বললা তিনি শুনতে চান মা আর খুবই খারাপ ব্যবহার ও কান্নাকাটি কারেন।
আর এ ভাবে হারামের ভিতর থাকতে থাকতে হাপিয়ে গেছি,  অনেক বার চেষ্টা ও করছি হারাম থেকে বের হতে, বিয়ের পর কথা হবে সেই চিন্তা করছি, কিন্তু কিছু দিন পর আবার যা তাই। আবার একজন অন্য জনকে ম্যাসেজ আদান প্রদান করছি। কিন্তু  এখন এই অবস্থা থেকে আমি বের হতে চাচ্ছি। হয় তার সাথে বিয়ে হোক না হয় বাবা মায়ের কথা মতো অন্য কারো সাথে। আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বের হতে চাই।  কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না আমি কি করবো, আমি তার জন্য বাবা মায়ের সাথে লড়াই করবো? নাকি বাবা মায়ের কথা মতো তাকে বাদ দিয়ে অন্য কারো সাথে বিয়ে করবো?
আমাকে সৎ উপদেশ দেওয়ার মতো কোনো মানুষ ও নাই। সকল মানুষই সমালোচনা করতে ব্যাস্ত। তাই কারো কাছে নিজের কথা বলে সাহায্য ও চাইতে পারছিনা।আশা করি আপনারা আমাকে আমার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।

1 Answer

0 votes
by (581,910 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এখানে হোক বা অন্যত্র, দূত বিয়ের জন্য আপনি আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। সালাতুল হাজত ও সালাতুত তাহাজ্জুদ পড়ে দু'আ করুন। সালাতুল হাজতের নিয়ম জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1453

একাকি ফরয নামায বা নফল নামাযের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ,সহ দু'আয়ে মাছুরা পড়ার পর সূরায়ে ফুরকানের ৭৪নং আয়াতও পড়তে পারেন।অনেক বুজুর্গানে কেরাম ও শায়েখগণ এ আ'মলের পরামর্শ দিয়েছেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরা ফুরকানের ৭৪নং আয়াত সম্ভলিত আ’মল, যা অনেক পূর্ববর্তী নেককারদের থেকে তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত রয়েছে। তবে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে পড়ার কোনো যথার্থতা নেই।

আল্লাহর কাছে, দু'আ করুন, এবং পিতাকে বুঝানোর যাবতীয় চেষ্টাকে অভ্যাহত রাখুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...