আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
edited by
(উত্তর দ্রুত জানাটা অত্যন্ত জরুরী)...
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ্।

১. কোন পুরুষ যদি নিজস্ব বাইকের মাধ্যমে "পাঠাও রাইড শেয়ারিং" এর কাজ করে (পুরুষ-মহিলা উভয় ধরনের যাত্রী নিয়ে অথবা মহিলা যাত্রী ব্যতীত শুধুই পুরুষ যাত্রী নিয়ে) এবং আমি অনলাইনেই কোথাও একটা দেখেছিলাম যে "পাঠাও" L*g/B*T*Q সাপোর্টার! তো এটা যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে উপরোক্ত ৩টি পরিস্থিতি আলাদা আলাদাভাবে বিবেচনায় সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে কী তার ইনকাম হালাল হবে নাকি হারাম??

২. আর যদি পাঠাও এর এই রাইড শেয়ারিং কর্ম হারাম হয়ে থাকে এবং পাশাপাশি তার পার্টটাইম ছোটো ব্যবসা হিসেবে ফুটপাতে হাড়ি-পাতিল (যতদূর জানি এটা হালাল, ভুল হলে সংশোধন করে দিবেন) বিক্রি করেন, তো এই হারাম-হালাল উভয় মিশ্রিত আয়ের ব্যক্তির পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব এলে তাতে মেয়ের রাজি হওয়া কী জায়েজ হবে??

৩. এ প্রস্তাবটি কুফু বিবেচনায়ও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অমিল। পড়াশুনা(পাত্রী জেনারেলে মাস্টার্স কমপ্লিট, বর্তমানে iom এর আলিমের স্টুডেন্ট এবং পাত্র SSC ১বিষয়ে ফেইল পরে আর পড়াশুনা করেন নি), দ্বীনদারিতায়ও (পাত্র ফরজ নামায ৪-২ ওয়াক্ত পড়েন অন্যদিকে পাত্রী ফজরের নামাযে মাঝে মাঝে কাযা হয় কিন্তু অনুতপ্ত এজন্য এবং সম্ভব হলে নফল-সুন্নাতেরও দিকেও খেয়াল করা হয়, যথাসম্ভব হারাম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা হয় মোটকথা পাত্রী দ্বীনদারিতায় আরো অগ্রসর হতে, আল্লাহর প্রিয় বান্দী হতে ইচ্ছুক, ইন শা আল্লাহ।) পাত্রীর তুলনায় পাত্র যথেষ্ট পার্থক্য, আর্থিক অবস্থানও সমান অথবা নিম্ন। পড়াশুনা এবং আর্থিক অবস্থা কিছুটা নিম্ন হলেও পাত্রীর এগুলোতে সমস্যা নেই কিন্তু পাত্রের আয় হারাম হওয়া ও পারিবারিক নন-মাহরাম মেনে শরয়ী পর্দা করতে না দেওয়ার আশংকায় চিন্তিত, দ্বীন থেকে উল্টো আরো দূরে সরে যাওয়ার ভয়ে শঙ্কিত, তবে পাত্রের নামাযের ঘাটতি এবং কুরআন পড়তে ভুলে যাওয়ার স্বীকারোক্তির সত্যবাদিতা এবং নন-মাহরাম ব্যতীত পাত্রী দেখতে আসা (মহিলা সদস্যদের নিয়ে এসেছেন কিন্তু মহিলারা শুধু বোরকা-হিজাব পরিহিত ছিলেন, নিকাব পড়েন নি, আর আসার পূর্বে পাত্রীর অনিচ্ছাকৃত পারিবারিকভাবে ছবি তাদের দেয়া হয়েছে) এদুটো গুন পাত্রীর কাছে সন্তোষজনক মনে হয়েছে। উল্লেখ্য পারিপার্শ্বিক অবস্থায় পাত্রীর দ্বীনদারিতায় কিছু কিছু ঘাটতি আছে, আল্লাহুম্মাগফিরলী, তবে ভুল হলে অনুতপ্ত থাকে-সচেতন-সংশোধন হওয়ার চেষ্টায় থাকে, আলহামদুলিল্লাহ্। পাত্রীর পারিবারিক অবস্থা মধ্যবিত্ত, অভিভাবক শিক্ষিত নন সন্তানদের জেনারেলে পড়াশুনা করিয়েছেন ছোটবেলায় মক্তবে পাঠিয়ে কুরআন শিক্ষা করিয়েছেন এবং প্রকৃত অর্থে দ্বীনের বুঝ নেই বললেও চলে অথবা বলা যায় বর্তমান সামাজিকতার সাথে যতটুকু মিল রেখে ইসলাম পালন করা যায় সেটুকু পালন করেন। পাত্রীই পরিবারের বড় সন্তান বয়স ২৯+ এবং পরপর বিবাহ উপযুক্ত আরো ২ বোন আছে, দীর্ঘ প্রায় ১০বছর ধরে পাত্রীর জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে কিন্তু ফ্যামিলি পূর্ণ দ্বীনদার না হওয়ায় বেদ্বীন প্রস্তাব আসায় পাত্রীর পর্দা নষ্ট হয় পরিবার এ বিষয় বুঝতে চায় না এবং এক পর্যায়ে প্রতিটি প্রস্তাব আসলেই অভিভাবক ও পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে পাত্রীর না চাইতেও তর্ক-বিতর্কে শেষ পর্যন্ত প্রস্তাব রিজেক্ট করা হয় এবং এমনকি পাত্রী শুরু থেকেই বেশি খাটো+ভগ্ন স্বাস্থ্য হওয়ায়+বেশ অনেকবার ছবি দিতে অস্বীকার করায় বেদ্বীন পাত্র থেকেও পাত্রী রিজেক্ট হয়েছে বহুবার-বার বার। পাত্রীর মাতা-পিতাও বয়স্ক হয়েছেন এবং পাত্রীর বয়স দিনদিন বেশি হওয়া, পরবর্তীতে আর প্রস্তাব না আসার শঙ্কা কিংবা পাত্রীকে পছন্দ/বিয়ে না হওয়ার শঙ্কা এবং পরবর্তী বিবাহ উপযুক্ত আরো ২ মেয়ে থাকায় তারা অত্যন্ত চিন্তিত এবং এই প্রস্তাবে পাত্রীকে পাত্র পছন্দ করায় অভিভাবকসহ পরিবারের সবাই রাজি, বিবাহ পর্যন্তও অগ্রসর হতে চায়। বিয়ের কোন প্রস্তাব আসলে পাত্রীর মতামত জানতেও চায় না বা জানলেও মূল্যায়ন করতে চায় না, আবার পাত্রীকে বলা হয় পাত্রের ভালো মানসিকতা থাকলে বিয়ের পর পাত্রীর মাধ্যমেও পাত্র দ্বীনের পথে অগ্রসর হতে পারে। ইতিমধ্যে পাত্রী এই প্রস্তাবের বিষয়ে একদিন ইস্তেখারাও করেছে, সম্ভব হলে আরো কয়েকদিন ইস্তেখারা করার ইচ্ছা আছে, পরামর্শ করার মতো সহোবত নেই কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারছে না।
এখন প্রশ্ন, পাত্রী যদি পাত্রের সাথে সরাসরি চ্যাট বা মেসেজে পাত্রের নামায পরার ব্যাপারে গুরুত্বারোপের শর্ত দিয়ে ও পাত্রীকে নন-মাহরাম মেনে পর্দার বিষয়ে সহযোগিতার শর্তে তিনি মানবেন কি না এ বিষয়ে কথা বলে তা কি হারাম হবে??(পাত্রীর পক্ষে পাত্রকে এগুলো সঠিক বুঝিয়ে বলার বা প্রশ্ন করারর মতো কোন উপযুক্ত অভিভাবক নেই)। এবং পাত্রের দ্বীনদারিতা ও আয় হারাম হওয়া এবং পাত্রীকে নন-মাহরাম মেনে পর্দা করতে না দেয়ার বিবেচনায় যদি না রাজি হওয়া স্বত্তেও পারিবারিকভাবে জোর করা হয় বিয়েতে তাহলে পাত্রীর করণীয় কী?? এবং দু'আ চলমান আছে তবু দ্বীনদার পাত্র না পাওয়া পর্যন্ত পাত্রী অবিবাহিত থাকার ইচ্ছা পোষণ করলে অথবা বিয়েই না করার সিদ্ধান্ত নিলে কী পাত্রী এবং অভিভাবক উভয়ই গুনাহের ভাগীদার হবে??
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শরীয়াহ'র আলোকে প্রতিটি উত্তর ও পরামর্শ দিলে উপকৃত হব, ইন শা আল্লাহ্। সাথে মুহতারামের নিকট পাত্রী ও পাত্রীর পরিবারের পূর্ণ হিদায়াতের জন্য এবং দ্বীনের পথে চলা সহজতর হওয়ার জন্য দু'আর দরখাস্ত, ইন শা আল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (54,210 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/4541/  নং ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি , যে,

বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তার মধ্যে ‘কুফু’ অন্যতম।

আরবি ‘কুফু’ শব্দের অর্থ সমতা, সমান, সাদৃশ্য, সমকক্ষ, সমতুল্য ইত্যাদি।


বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের দ্বীনদারি, সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্যতা সব কিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে।

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের রুচি, চাহিদা, অর্থনৈতিক অবস্থান খুব বেশি ভিন্ন হলে সেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন প্রতিষ্ঠা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। একজন উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়ের চাহিদা-রুচির সাথে একজন দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের রুচিবোধের মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক।


আবার একজন দ্বীনদার পাত্রপাত্রীর সাথে একজন ধর্মবিষয়ে উদাসীন পাত্রপাত্রীর জীবনাচার নাও মিলতে পারে। দ্বীনদার চাইবে সব কিছুতে ধর্মের ছাপ থাকুক। আর দীনহীন চাইবে সব কিছু ধর্মের আবরণমুক্ত থাকুক। সুতরাং এ দুইয়ের একত্রে বসবাস কখনো শান্তি-সুখের ঠিকানা হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনও বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতে সমতা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।


আল্লাহ বলেন, ‘দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য উপযুক্ত।’ (সূরা নূর : ২৬)


অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী পুরুষ যেন ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারী ছাড়া কাউকে বিয়ে না করে। আবার ব্যভিচারিণী নারী যেন ব্যভিচারী পুরুষ বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া কাউকে বিয়ে না করে। মুমিনদের জন্য এ ধরনের চরিত্রের নারী-পুরুষকে হারাম করা হয়েছে।’ (সূরা নূর : ৩)


কুরআনের পাশাপাশি রাসূল সা:-এর পবিত্র হাদিস শরিফেও ‘কুফু’ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়।

রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابُورَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْصَارِيُّ أَخُو فُلَيْحٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে (তোমাদের মেয়েদের) বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে। (ইবনে মাজাহ ১৯৬৭,তিরমিযী ১০৮৪, ইরওয়াহ ১৮৬৮, সহীহাহ ১০২২।)


حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ

 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো। (ইবনে মাজাহ ১৯৬৮)

 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)! সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)


কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

ইস্তেখারার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/14451/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১. জ্বী হ্যাঁ, তার ইনকাম হালাল হবে।

২. জ্বী হ্যাঁ, হাড়ি-পাতিল বিক্রয় করা হালাল এবং এর ইনকামও হালাল।

৩. আপনি ছেলের সাথে একদিন ফোনে কথা বলে বিষয়গুলো জেনে নিতে পারেন। আপনাকে পরিপূর্ণ পর্দা করতে বা ইসলাম পালন করতে দিবেন কি না ইত্যাদি। আপনি ইস্তেখারাহ করে ও আপনার পরিবারের সাথে পরামর্শ করে তার সাথে বিয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।

আর কোনো ছেলের সাথে পাত্রী বিয়েতে রাজী না হলে তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। আবার সারা জীবন বিয়ে করবে না এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাও ভুল সিদ্ধান্ত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...