মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ کَذٰلِکَ اَعۡثَرۡنَا عَلَیۡہِمۡ لِیَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ وَعۡدَ اللّٰہِ حَقٌّ وَّ اَنَّ السَّاعَۃَ لَا رَیۡبَ فِیۡہَا ۚ٭ اِذۡ یَتَنَازَعُوۡنَ بَیۡنَہُمۡ اَمۡرَہُمۡ فَقَالُوا ابۡنُوۡا عَلَیۡہِمۡ بُنۡیَانًا ؕ رَبُّہُمۡ اَعۡلَمُ بِہِمۡ ؕ قَالَ الَّذِیۡنَ غَلَبُوۡا عَلٰۤی اَمۡرِہِمۡ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَیۡہِمۡ مَّسۡجِدًا ﴿۲۱﴾
এভাবে আমি (মানুষকে) তাদের বিষয়ে জানিয়ে দিলাম, যাতে তারা জানতে পারে যে আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামত বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা তাদের কর্তব্যের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করছিল, তখন অনেকে বলল, তাদের ওপর এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করো। তাদের প্রতিপালক তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হলো তারা বলল, নিশ্চয়ই আমরা তাদের পাশে মসজিদ নির্মাণ করব।
(সুরা কাহাফ ২১)
আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আবুল হাইয়্যাজ আসাদি (রা.)-এর উদ্দেশে বলেন, আমি কি আপনাকে এমন কাজের প্রতি উৎসাহিত করব না, যা করার জন্য আমাকে রাসুল (সা.) উৎসাহিত করেছেন? আর তা হলো (মানুষের) ভাস্কর্য না মিটিয়ে রাখবে না এবং উঁচু কবর সমতল না করে ছাড়বে না। (মুসলিম, হাদিস : ২১১৫, তিরমিজি : ১০৮৯)
অন্য হাদিসে এসেছে, জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবী করিম (সা.) কবর পাকা করতে, এর ওপর গম্বুজ নির্মাণ করতে এবং কবরের ওপর বসতে নিষেধ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৯৭০)
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কবরের উপরের গম্বুজটি ১২৭৯ খ্রীষ্টাব্দে সর্বপ্রথম নির্মাণ করেন মামলূক সুলতান কালাউন। অতঃপর ১৪৮১ খ্রীষ্টাব্দে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর সুলতান আশরাফ কায়েতবায়ী পুনরায় একটি কালো পাথরের গম্বুজ নির্মাণ করেন। পরবর্তী শাসকদের আমলে তাতে সাদা এবং নীল রঙের প্রলেপ দেয়া হয়েছিল। ৯৪৬ হিজরীতে গম্বুজের উপর তুর্কী খেলাফতের প্রতীকবাহী চন্দ্রাকৃতি স্থাপন করেন মক্কার শাসক ওয়াছেল। অতঃপর ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দে তুর্কী সুলতান মাহমূদ খান গম্বুজের উপর সবুজ রঙের প্রলেপ দেন। তখন থেকে এটি ‘কুববাতুল খাযরা’ (সবুজ গম্বুজ) নামে পরিচিতি লাভ করে এবং তা আজও অক্ষত আছে। ১৮০৫ খ্রীষ্টাব্দে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের অনুসারী সংস্কারবাদীগণ মদীনার বাকী‘ কবরস্থানের সকল কবরের উপর থেকে গম্বুজ ভেঙ্গে ফেলে দেন। কিন্তু বৃহত্তর ফিৎনার আশংকায় এবং গম্বুজটির বিশ্বব্যাপী পরিচিতির কারণে এটি ভাঙ্গেননি (শায়খ রশীদ রেযা, আল-ওয়াহহাবিয়্যূন ওয়াল হিজায পৃ. ৬৯-৭১)।
এর বিরুদ্ধে সঊদী ওলামায়ে কেরাম সোচ্চার হওয়া সত্ত্বেও কেবল ফিৎনার আশংকায় সরকার এটা রেখে দিয়েছেন (মাজমূ‘ ফাতাওয়া বিন বায ১/২৭০)।