আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
233 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১.কেউ সালাম দিলে তার উত্তর নিয়ে উত্তরদাতা আবার সালামদাতাকে সালাম দেয়।   
অনেক জায়গায় এমন করে।এমন কি করা যাবে?

২. তালিমের মজলিশে কি মজলিশ চলাকালীন কেউ আসলে কি সালাম দেয়া যাবে? মজলিসের মাঝে সালাম দিলে উত্তর নেয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (573,570 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

আগে সালাম দেওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে   হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
وَعَنْ أَبي أُمَامَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: إِنَّ أوْلَى النَّاسِ بِاللهِ مَنْ بَدَأَهُمْ بالسَّلاَمِ رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ، ورواه الترمذي بنحوه وقال: حديثٌ حسن 

আবূ উমামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম করে।’’ (আবূ দাঊদ সহীহ সনদ যোগে, তিরমিযীও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ও বলেছেন হাদীসটি হাসান। এটি পরবর্তীতে ৮৬৩ নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে।)

(আবূ দাউদ ৫১৯৭, তিরমিযী ২৬৯৪, আহমাদ ২১৬৮৮, ২১৭৭৬, ২১৮১৪)

وَعَنْ أَبي أُمَامَةَ صُدَيِّ بنِ عَجلاَنَ البَاهِلِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إنَّ أَوْلى النَّاسِ بِاللهِ مَنْ بَدَأهُمْ بِالسَّلامِ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ .
ورواه الترمذي عَن أَبي أُمَامَةَ رضي الله عنه، قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، الرَّجُلاَنِ يَلْتَقِيَانِ أَيُّهُمَا يَبْدَأُ بِالسَّلاَمِ ؟ قَالَ: « أَوْلاَهُمَا بِاللهِ تَعَالَى . قَالَ الترمذي: «هَذَا حديث حسن

আবূ উমামাহ সুদাই ইবনে আজলান বাহেলী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী সেই, যে লোকদেরকে প্রথমে সালাম করে।’’ (আবূ দাঊদ উত্তম সূত্রে) 

তিরমিযীও আবূ উমামাহ কর্তৃক বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা করা হল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! দু’জনের সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে কে প্রথমে সালাম দেবে?’ তিনি বললেন, ‘‘যে মহান আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী হবে।’’ (তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান)

তিরমিযী ২৬৯৪, আবূ দাউদ ৫১৯৭, আহমাদ ২১৬৮৮, ২১৭৪৯, ২১৭৭৬, ২১৮১৪

আবু দাউদ শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ إِذَا لَقِيَ أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ فَإِنْ حَالَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ أَوْ جِدَارٌ أَوْ حَجَرٌ ثُمَّ لَقِيَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ أَيْضًا . قَالَ مُعَاوِيَةُ وَحَدَّثَنِي عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ بُخْتٍ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنِ الأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ سَوَاءً .

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তোমাদের কেউ যখন তার ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর দু’জনের মাঝে যদি গাছ, দেয়াল বা পাথর আড়াল হয়ে যায় এবং তারপর আবার সাক্ষাত হয়, তাহলেও যেন তাকে সালাম দেয়। [৫১৯৮]
,

الْبَادِئُ بِالسَّلَامِ بَرِيءٌ مِنَ الْكِبْرِ
যে আগে সালাম দেয় সে অহংকার থকে মুক্ত। শুয়াবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস ৮৪০৭
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আমাদেত সমাজে কিছু মানুষ আছেন,যে কেউ সালাম দিলে তার উত্তর নিয়ে উত্তরদাতা আবার সালামদাতাকে সালাম দেয়।   
এ কাজটি অজ্ঞতাবশত করে থাকেন। 
এটি সুন্নাহভিত্তিক পদ্ধতি নয়।
এই সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব নয়।

সুন্নাত পদ্ধতি  হলো, কারো সালামের অপেক্ষা না করে নিজেই আগে সালাম দেওয়া। 
,
(০২)

কোন সভায় প্রবেশকালে ও বের হওয়ার সময় উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশ্যে সালাম দেওয়া সুন্নাত। 

রাসূল (ছাঃ) বলেন,

إِذَا انْتَهَى أَحَدُكُمْ إِلَى مَجْلِسٍ فَلْيُسَلِّمْ فَإِنْ بَدَا لَهُ أَنْ يَّجْلِسَ فَلْيَجْلِسْ ثُمَّ إِذَا قَامَ فَلْيُسَلِّمْ فَلَيْسَتِ الْأُولَى بِأَحَقَّ مِنَ الْآخِرَةِ- 
‘যখন তোমাদের কেউ মজলিসে পৌঁছবে তখন যেন সে সালাম করে। এরপর যদি তার সেখানে বসতে ইচ্ছা হয় তবে বসবে। অতঃপর যখন উঠে দাঁড়াবে তখনও সে যেন সালাম দেয়। শেষেরটির চাইতে প্রথমটি বেশী উপযুক্ত নয়’।
(তিরমিযী হা/২৭০৬; মিশকাত হা/৪৬৬০; ছহীহাহ হা/১৮৩।)

এক সাথে অনেকে বা দলগতভাবে চলার সময় ঐ দলের পক্ষ থেকে একজন সালাম দিলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট হবে। 

রাসূল (ছাঃ) বলেন,
يُجْزِئُ عَنِ الْجَمَاعَةِ إِذَا مَرُّوْا أَنْ يُسَلِّمَ أَحَدُهُمْ وَيُجْزِئُ عَنِ الْجُلُوْسِ أَنْ يَرُدَّ أَحَدُهُمْ،

 ‘পথ অতিক্রমকালে দলের একজন যদি সালাম দেয় তাহ’লে তা সকলের জন্য যথেষ্ট। এমনিভাবে উপবিষ্টদের একজন তার উত্তর দিলে তা সকলের জন্য যথেষ্ট’।
আবূদাউদ হা/৫২১০; মিশকাত হা/৪৬৪৮; ইরওয়া হা/৭৭৮।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন 
শরীয়তের বিধান হলো যদি কোন সভায় উপস্থিত হন এবং সভায় বিশেষ আলোচনা হয়, তবে আপনাকে (জোরে জোরে) সালাম করা উচিত নয়।
(আদাবুল মুয়াশারাত ৪০)

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144001200489 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আস্তে সালাম দেওয়া যাবে।
এক্ষেত্রে শুধু একজন জবাব দিবে।    


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 441 views
...