আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
57 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আমার বেবি হয় ২৯ এপ্রিল
যেখানে ৪০ দিন হওয়ার পর নরমাল ডেলিভারির যারা তারা পাক হয়ে সালাত আদায় করতে পারেন । সেখানে আমার ৪ মাস ৯ দিন হচ্ছে  ব্লাড যাওয়া বন্ধ না হয়ে কন্টিনিউ ব্লাড যাচ্ছে। যেরকম পিরিয়ড ব্লাড যায় সাধারণ ভাবে সেভাবেই যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে সারাদিন এ, ১,২,৪ বার হচ্ছে, কখনও এরও বেশি আবার কমও।এতো দিন ধরে কেন ব্লাড যাচ্ছে আমি জানি না,, আর কবে সেটা কমবে তাও আমি জানি না,আমার শরীল অসুস্থ থাকে সবসময়। আগে কখনও আমার এমন হয় নি।
এখন আমার কথা হলো এতোদিন নামাজ আদায় না করে থাকা অসম্ভব। আমি এই অবস্থায় নামাজ আদায় করলে নামাজ হবে কি? আমার কাপড়ে এই ব্লাড লাগানো থাকলে নামাজ হবে কি? ব্লাড তো কন্টিনিউ যাচ্ছে আমি কতবার ই বা চেঞ্জ করবো কাপড়।

ডাক্তার এই ব্লাড টা কে বেবি প্লানিং এর একটা মেডিসিন দিয়ে বন্ধ করতে চায়,কিন্তু আমি ইসলাম টাকেই মেনে চলতে চাই।
বেবি হওয়ার পর আমি ডিপ্রেশনে থাকি লং টাইম আমি কিভাবে সব কিছু থেকে বের হয়ে আল্লাহর সেজদায় যাবো?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ২৯ এপ্রিল থেকে ৪০ দিন নিফাস ধরবেন।

এর পরবর্তী ১৫ দিন ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরবেন। এই ১৫ দিন নামাজ আদায় করতে হবে।

তারপর পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের অভ্যাস এর দিন অনুযায়ী হিসাব করে হায়েজ ধরবেন।

তার পর দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
এই ১৫ দিন নামাজ পড়বেন।

তারপর আবারো পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের অভ্যাস এর দিন অনুযায়ী হিসাব করে হায়েজ ধরবেন।

তার পর দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
এই ১৫ দিন নামাজ পড়বেন।

রক্ত চলমান থাকলে এভাবেই হিসাব চালিয়ে যাবেন।

ইস্তেহাজা চলাকালীন সময়ে আপনি মা'যুর না হলে সেক্ষেত্রে ওয়াক্তের যেই সময়ে আপনি পবিত্র থাকেন,সেই সময়ে পাক হয়ে নামাজ আদায় করবেন।

আর আপনি মা'যুর হলে সেক্ষেত্রে অযু করে ও-ই অযু দিয়ে পুরো ওয়াক্তে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আপনি মা'যুর কিনা,বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে নিম্নের ফাতওয়া পড়ুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...