আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
বিয়ের কথা চলছে, দেখাশোনা চলতেছে এমন কাউকে নিয়ে কি ভাবা যাবে? মনে মনে যদি তার চেহারা ভেসে উঠে বা  এরকম কোন রকম চিন্তা,, যেমন আবেগ কিংবা ফিউচার প্লানিং, বিয়ের পরে কি কি করব, এই জাতীয় চিন্তা মাথায় আসলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/86069/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত, নবীজী সাঃ বলেনঃ

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻋﻦ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻛﺘﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ ﺁﺩﻡ ﺣﻈﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺰﻧﺎ ، ﺃﺩﺭﻙ ﺫﻟﻚ ﻻ ﻣﺤﺎﻟﺔ ، ﻓﺰﻧﺎ ﺍﻟﻌﻴﻦ ﺍﻟﻨﻈﺮ ، ﻭﺯﻧﺎ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﺍﻟﻤﻨﻄﻖ ، ﻭﺍﻟﻨﻔﺲ ﺗﻤﻨَّﻰ ﻭﺗﺸﺘﻬﻲ ، ﻭﺍﻟﻔﺮْﺝ ﻳﺼﺪﻕ ﺫﻟﻚ ﻛﻠﻪ ﻭﻳﻜﺬﺑﻪ "

নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা লাওহে মাহফুযে আদম সন্তানদের জন্য (নিম্নোক্ত কারণে) যিনার একটা অংশ লিখে রেখেছেন,যার শাস্তি সে অবশ্যই উপভোগ করবে।চোখের যিনা হচ্ছে বেগানা নারীর দিকে দৃষ্টি দেওয়া।জবানের যিনা হচ্ছে উক্ত মহিলার সাথে কথা বলা।অন্তরের যিনা হচ্ছে মনে মনে যিনার আশা-আখাঙ্কা করা।আর লজ্জাস্থান কখনো যিনাকে বাস্তবায়িত করে আবার কখনো করে না।(সহীহ বুখারী-৫৮৮৯; সহীহ মুসলিম-২৬৫৭;মিরকাত-৮৬;)

মোল্লা আলী ক্বারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেনঃ

وفيه دلالة على أن التمني إذا استقر في الباطن، وأصر صاحبه عليه، ولم يدفعه يسمى زنا، فيكون معصية، ويترتب عليه عقوبة، ولو لم يعمل فتأمل.

এত্থেকে বুঝা গেলো যদি যিনার আশা-আখাঙ্কা মনের গভীরে স্থান করে নেয়,এবং সে নিয়মিত উক্ত চিন্তাকে মনের ভিতর লালন-পালন করে, বিসর্জন দেয়না, তাহলে এটাও যিনা বলে সাব্যস্ত হবে,এবং গুনাহ হবে। এ জন্য তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে,যদিও সে তার উক্ত চিন্তাকে বাস্তবায়িত করেনি। (মিরকাত ৮৬ হাদীসের আলোচনা দ্রষ্টব্য) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/510

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত

قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ كَتَبَ عَلَى ابْنِ آدَمَ حَظَّهُ مِنَ الزِّنَا، أَدْرَكَ ذَلِكَ لاَ مَحَالَةَ، فَزِنَا العَيْنِ النَّظَرُ، وَزِنَا اللِّسَانِ المَنْطِقُ، وَالنَّفْسُ تَمَنَّى وَتَشْتَهِي، وَالفَرْجُ يُصَدِّقُ ذَلِكَ كُلَّهُ وَيُكَذِّبُهُ»

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “নিশ্চয় আল্লাহ বনি আদমের উপর যতটুকু যিনা লিখে রেখেছেন সে তা করবেই; এর থেকে কোন নিস্তার নেই। চোখের যিনা হচ্ছে- দেখা; জিহ্বার যিনা হচ্ছে- কথা, অন্তর কামনা করে ও উত্তেজিত হয় এবং যৌনাঙ্গ সেটাকে বাস্তবায়ন করে অথবা বাস্তবায়ন করে না।(সহীহ বুখারী-৬২৪৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4094

★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন,
বিয়ের পরের জীবন নিয়ে প্লানিং করাটা দোষের কিছু নয়। বরং আরো উত্তম। তবে একান্ত ব্যক্তিগত শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা যাবেনা।

মনে মনে তার চেহারা যে ভেসে আসছে,এটা উচিত নয়।
এথেকে পরিত্রাণ পাওয়া চেষ্টা করতে হবে।
তাকে নিয়ে এভাবে ভাবা যাবেনা।

সে এখনো আপনার গায়রে মাহরাম। 

তবে যেহেতু আপনার এই চিন্তা অনিচ্ছাকৃত ভাবে চলে আসছে বিধায় এতে গুনাহ হবে না। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ভাবে এজাতীয় কল্পনা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

যখনই এমন চিন্তা আসবে তখনিই ইস্তেগফার পড়বেন ও আল্লাহ তায়ালার নিকট আশ্রয় চাইবেন। বেশী বেশী জিকির করবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে গুনাহ থেকে হেফাজত করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...