আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (10 points)
হাসবেন্ড-ওয়াইফ এর মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় হাসবেন্ড ওয়াইফ কে এমন কিছু বলছেন, যাতে ওয়াইফ মনে অনেক কষ্ট পেয়েছেন তাই হাসবেন্ড  এর সাথে কিছুদিন কথা না বলে থাকতে চাইছেন। কিন্তু ওয়াইফ হাসবেন্ড এর প্রতি অনেক দুর্বল। তিনি আগেও এমন কথা না বলে থাকতে চেয়েছেন কিন্তু পারেন নি। তাই তিনি এবার কোরআন ছুয়ে এমনি বলছেন যে আমি তার সাথে ২৯-৬ তারিখ সন্ধা অবধি কথা বলবো না। যদি বলে ফেলি তাহলে আমার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। কোরআন ছুয়েছেন শুধু নিজেকে এতটুকু বুঝ দেয়ার জন্য যে আমি তো কোরআন ছুয়ে এই কথা বলছি। আমি কথা বলব না...

প্রশ্ন: যদি কথা বলে ফেলেন স্বামীর প্রতি দুর্বল হয়ে বা স্বামী যদি অনেক জোড়াজুড়ি করার ফলে বা স্বামীর কোনো অসুস্থতার কারনে কথা বলে ফেলেন। তাহলে কি তার ইমান নষ্ট হয়ে যাবে..?
প্রশ্ন২:যদি তিনি এই বিশ্বাস করেন যে কথা বললে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে।আর তার জন্য যদি কথা না বলেন। তাহলে কি গুনাহ হবে...?

1 Answer

0 votes
by (589,650 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা শপথ করলে সেটা শরয়ী শপথ হিসেবে গণ্য হবে না।
তবে শুধুমাত্র কুরআনে কারীম সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরাম নিম্নোক্ত ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্যে শপথ হওয়ার আলোচনা করে থাকেন। যেমনঃ
কেউ যদি কুরআনে কারীম কে হাতে নিয়ে বা তাতে হাত রেখে কোনো কথা বলে,কিন্তু সে শপথ/কসম ইত্যাদি শব্দ উল্লেখ না করে, অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে বলে, এই কুরআনের শপথ,তাহলে সেটা শপথ হবে না।

হ্যা তবে যদি কুরআনে কারীমের দিকে ইশারা করা ব্যতীত কেউ বলে,কুরআনের শপথ অথবা কালামুল্লাহর শপথ অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে এভাবে বলে যে,তাতে যে আল্লাহর কালাম রয়েছে,তার শপথ, তাহলে তখন শরয়ী শপথ (কসম) হয়ে যাবে।যা ভঙ্গ করলে অবশ্যই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৪৮৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 579 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন স্পর্শ করে শপথ করার দ্বারা কসম হয়ে যায়। তাছাড়া 'কথা বললে কাফির হয়ে যাবো' এটাও কসমের সমার্থবোধক। এখানে যদিও দু'টি কসম বুঝা যাচ্ছে,তবে একই বিষয়ে হওয়ার জন্য, এবং একসাথে উচ্ছারণ হওয়ার কারণে, একটাকে অন্যটার জন্য শক্তিশালী হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং একটি কসম গণ্য করা হবে। সুতরাং ২৯-৬ তারিখ সন্ধা অবধি কথা বললে, একটি কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে। কথা বললে কাফির হবে না। হ্যা কসমের কাফফারা দিতে হবে। কথা বলে কাফফারা দেয়ার চেয়ে ২৯-৬ তারিখ সন্ধা অবধি কথা না বলাই উচিৎ। এ সময় স্বামীর সাথে কথা না বলার কারণে গোনাহ হবে না।

বিঃদ্রঃ
আপনি হুবহ একই প্রশ্নটি ( 102754 )  ইতিপূর্বে করেছিলেন।আমরা জবাব দিয়েছি। আবার কেন প্রশ্নটি করলেন, সেটা আমাদের বঝে আসেনি। যাই হোক, দয়াকরে ভবিষ্যতে একই প্রশ্নকে একাধিকবার করবেন না। জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...