ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা শপথ করলে সেটা শরয়ী শপথ হিসেবে গণ্য হবে না।
তবে শুধুমাত্র কুরআনে কারীম সম্পর্কে ফুকাহায়ে কিরাম নিম্নোক্ত ব্যাখ্যা সাপেক্ষ্যে শপথ হওয়ার আলোচনা করে থাকেন। যেমনঃ
কেউ যদি কুরআনে কারীম কে হাতে নিয়ে বা তাতে হাত রেখে কোনো কথা বলে,কিন্তু সে শপথ/কসম ইত্যাদি শব্দ উল্লেখ না করে, অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে বলে, এই কুরআনের শপথ,তাহলে সেটা শপথ হবে না।
হ্যা তবে যদি কুরআনে কারীমের দিকে ইশারা করা ব্যতীত কেউ বলে,কুরআনের শপথ অথবা কালামুল্লাহর শপথ অথবা কুরআনের দিকে ইশারা করে এভাবে বলে যে,তাতে যে আল্লাহর কালাম রয়েছে,তার শপথ, তাহলে তখন শরয়ী শপথ (কসম) হয়ে যাবে।যা ভঙ্গ করলে অবশ্যই কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।(আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৪৮৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 579
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন স্পর্শ করে শপথ করার দ্বারা কসম হয়ে যায়। তাছাড়া 'কথা বললে কাফির হয়ে যাবো' এটাও কসমের সমার্থবোধক। এখানে যদিও দু'টি কসম বুঝা যাচ্ছে,তবে একই বিষয়ে হওয়ার জন্য, এবং একসাথে উচ্ছারণ হওয়ার কারণে, একটাকে অন্যটার জন্য শক্তিশালী হিসেবে গ্রহণ করা হবে এবং একটি কসম গণ্য করা হবে। সুতরাং ২৯-৬ তারিখ সন্ধা অবধি কথা বললে, একটি কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে। কথা বললে কাফির হবে না। হ্যা কসমের কাফফারা দিতে হবে। কথা বলে কাফফারা দেয়ার চেয়ে ২৯-৬ তারিখ সন্ধা অবধি কথা না বলাই উচিৎ। এ সময় স্বামীর সাথে কথা না বলার কারণে গোনাহ হবে না।
বিঃদ্রঃ
আপনি হুবহ একই প্রশ্নটি ( 102754 ) ইতিপূর্বে করেছিলেন।আমরা জবাব দিয়েছি। আবার কেন প্রশ্নটি করলেন, সেটা আমাদের বঝে আসেনি। যাই হোক, দয়াকরে ভবিষ্যতে একই প্রশ্নকে একাধিকবার করবেন না। জাযাকুমুল্লাহ।