আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
56 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ শায়েখ।
আমি দ্বিধাদ্বন্দে আছি এই ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করুন মিন ফাদ্বলিক।  আমার হায়েজের সময়সীমা ৭দিন। এর মধ্যে ১ম ২দিন এবং শেষ একদিন একদমই হালকা বাদামী বর্ণের স্রাব আসে যেটা টিস্যু ইউজ করলে দেখা যায়,নতুবা বোঝাই যায় না। এই হালকা বাদামী স্রাবটা আবার থেমে থেমে আসে। উদাহরণস্বরুপ বলা যায়, একদিন মাগরীবের  সময় টিস্যু দিয়ে দেখলাম বাদামী/মেটে কালারের স্রাব হচ্ছে হায়েজ ভেবেই সালাত ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর  ইশার থেকে পরবর্তী দিন যোহর  অব্দি কিছুই ছিলো না, একদম কিছুই নেই তাই আমি পরবর্তী দিনের ফজর, যোহর আদায় করে ফেলেছি। এরপর আবার আসরের সময় লালচে রঙের স্রাব দেখি, এরপর মাগরিব ইশার সময় আবার নেই কিংবা হয়তো স্বচ্ছ স্রাব  সাথে ১/২ফোটা পরিমান রক্তকণা এমন দেখছি ! অথচ আমার হায়েজ শুরুই হয়নি যে একদম স্বচ্ছ স্রাব দেখে তুহুর গণ্য করবো।
এই অবস্থায় আমি কি এটা হায়েজ ধরে সালাত ছেড়ে দিবো নাকি ইস্তেহাজা হিসেবে নামাজ আদায় করে ফেলবো। আর যদি এটা ইস্তেহাজাই হয় তাহলে যে নামাজগুলো ছেড়ে দিলাম এর জন্য আমার গুনাহ হবে না? এই নামাজ গুলার কি কাজা আদায় করবো? আর যদি হায়েজ হয় আমি যে সালাত আদায় করে ফেললাম না বুঝেই এর জন্যও কি গুনাহ হবে?  বা যে সালাতগুলা আদায় করে ফেলেছি এদের কাজা আদায় করতে হবে?

জাযাকাল্লাহুখইরন।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাঝেমধ্যে রক্তস্রাব আসা আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া, দশ দিনের ভিতর সবগুলোই হায়েয হিসেবে ধর্তব্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...