আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (0 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ। আমি আজ প্রায় তিন বছর যাবৎ চাকরি করছি জুনিয়র ডেভলপার হিসেবে। প্রতিনিয়ত নিজের স্কিল ডেভলপ করার জন্য চেষ্টায় কোনো কমতি রাখছি না। কিন্তু চাকরি কিংবা বেতনের কথা ভাবলে আমার তেমন কোনো অগ্রগতি‌ই হয়নি। আমার সাথে যারা চাকরি করেন, যাদের স্কিল আমার চেয়ে কম তারা আমার চেয়ে অনেক এগিয়ে। ভালো বেতন‌ও পাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি বেশ হতাশায় ভুগছি। আমার দুইটা প্রশ্ন আছে। ১. রিজিক এবং উপার্জন বৃদ্ধির জন্য জন্য আমার কি কি কাজ করা উচিত? ২. এমন কি হতে পারে কেউ কালো যাদু করার মাধ্যমে আমার অগ্রসর হ‌ওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে? এব্যাপারে আমি স্পষ্ট ধারণা কীভাবে পেতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

রিযিক বৃদ্ধির জন্য ও হালাল রিযিকের জন্য আপনার প্রতি নিম্নোক্ত আমল করার পরামর্শ থাকবেঃ-

তাকওয়া ও তাওয়াক্কুল অবলম্বন করুন। কেননা খোদাভীতি ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা স্থাপন রিজিক বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। নিয়মিত তওবা ও ইস্তিগফার করুন। আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করুন। অসহায়ের প্রতি সদয় আচরণ করুন। অবিবাহিত হয়ে থাকলে বিবাহ করুন।পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখুন। অভাব থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা

আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ বান্দার হাত ফিরিয়ে দেন না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব।’ (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০)

বাদ মাগরিব সুরা ওয়াকিয়ার নিয়মিত আমল করবেন।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

من قرأ سورة الواقعة كل ليلة لم تصبه فاقة ابدا

 যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮](মিশকাত পৃঃ ১৮৯)

আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/5904/

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন !

১. রিযিক বৃদ্ধি হওয়ার জন্য উপরে উল্লেখিত পরামর্শ গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন এবং হতাশা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা ও দোয়া করুন।  যারা আপনার উপর লেভেলে আছে তাদের দিকে না তাকিয়ে  সর্বদা আপনার চেয়ে নিচু পর্যায়ে যারা রয়েছেন, তাদের দিকে খেয়াল করবেন যে, আল্লাহ তাআলা তাদের থেকে আপনাকে ভালো রেখেছেন। কত মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে জীবন পার করছে তুলনামূলক ভাবে তাদের চেয়েও আপনার জীবন ভালো চলছে। সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার নিকট রিজিক বৃদ্ধির জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে থাকুন।  ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হতাশ করবেন না।

২.  যদি একান্ত আপনার প্রবল আশঙ্কা হয় যে, কেউ আপনাকে জাদু করেছে কিংবা ব্ল্যাক ম্যাজিক করেছে এমতাবস্থায় আপনি স্থানীয় কোন রাক্বী ( যিনি রুক্বইয়্যাহ শরইয়্যাহ স্পেশালিস্ট) এর শরণাপন্ন হবেন এবং তার পরামর্শ গ্রহণ করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

No related questions found

...