ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নাভী, নাকের ছিদ্র এবং কানের ছিদ্রতে পানি না পৌছালে গোসল শুদ্ধ হবে না।এবং এই গোসলের দ্বারা যত নামায পড়া হবে,সবগুলোকেই দোহরাতে হবে।
وَجَبَ تَحْرِيكُ الْقُرْطِ وَالْخَاتَمِ الضَّيِّقَيْنِ وَلَوْ لَمْ يَكُنْ قُرْطٌ فَدَخَلَ الْمَاءُ الثَّقْبَ عِنْدَ مُرُورِهِ أَجْزَأَهُ وَإِلَّا أَدْخَلَهُ وَلَا يَتَكَلَّفُ فِي إدْخَالِ شَيْءٍ سِوَى الْمَاءِ مِنْ خَشَبٍ وَنَحْوِهِ. كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.
আটালো নাকফুল এবং আংটিকে নাড়ানো ওয়াজিব। যদি নাকে কোনো নাকফুল না থাকে, বরং শুধুমাত্র নাকের ছিদ্র থাকে, এবং নাকের ঐ ছিদ্রে কোনো ভাবে পানি পৌছে যায়, তাহলে তা ফরয গোসল এবং অজুর জন্য যথেষ্ট। পানি ব্যতিত অন্যকোনো জিনিষ যেমন শলা ইত্যাদি নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করিয়ে পানি পৌছানো জরুরী নয়। (বাহরুর রায়েক)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৪)(রদ্দুল মুহতার-১/২৮৯, জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৮৯,জাদীদ মাসাঈল-৯৭)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/72734
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এত কষ্ট করতে যাবেন না, বরং আপনি নাকফুলকে সামান্য নাড়িয়ে পানি পৌছানোর চেষ্টা করবেন। নাকফুলকে নাড়াচাড়া করে,পানি পৌছেছে, বিষয়টা নিশ্চিত হলে, আর নাড়াচাড়া করতে হবে না।