আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in পবিত্রতা (Purity) by (13 points)
আমি ফজরের ওয়াক্তে মাযুর কিনা পর্যবেক্ষণ করেছি।আমি ২ রাকাত নামাজের জন্য ৩ মিনিট সময় নিয়েছি।এর আগে আমি সালাত শেষ করতে পারিনা।এখন লজ্জাস্থাথানের নিচের ছিদ্র ও তার আশেপাশের উপরের এলাকায় আঙুল স্পর্শ করা মাত্রই ভিজে গেছে  ৩ মিনিট এর আগে অথবা এর  ভিতরেই। আমি এক বোনের মাসয়ালা দেখে কনফিউজ হয়ে গেছি।তিনি বলেছিলেন লজ্জাস্থাথানের নিচের ছিদ্রের মুখে সাদাস্রাব জমে থাকে এবং তিনি সেখানে হাত দিলে সেটা টের পান।এখন আমার মনে হচ্ছে আমার হাতের সংস্পর্শের কারণেই শুধু ভিজলো কিনা,যদিও পর্যবেক্ষণের সময় ছাড়া অন্য সময় হাত দিলেও উক্ত জায়গা প্রায় সবসময় ভিজা পাই।এখন,আমি কি মাজুর?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আবু দাউদ শরীফের ১৮০ নং হাদীসে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَخْلَدٍ الطَّالْقَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، - يَعْنِي ابْنَ مَغْرَاءَ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، أَخْبَرَنَا أَصْحَابٌ، لَنَا عَنْ عُرْوَةَ الْمُزَنِيِّ، عَنْ عَائِشَةَ، بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لِرَجُلٍ احْكِ عَنِّي أَنَّ هَذَيْنِ - يَعْنِي حَدِيثَ الأَعْمَشِ هَذَا عَنْ حَبِيبٍ وَحَدِيثَهُ بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلَاةٍ

উরওয়াহ আল-মুযানী ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, ইয়াহ্ইয়াহ্ ইবনু সাঈদ আল-কাত্তান এক ব্যক্তিকে এ মর্মে আদেশ দেন, আমার সূত্রে ঐ হাদীস দু’টি বর্ণনা কর। অর্থাৎ আ‘মাশের হাদীস এবং একই সানাদে ইস্তিহাযা রোগিনী’’ সম্পর্কে বর্ণিত তার ঐ হাদীস যাতে রয়েছে, ‘ইস্তিহাযা রোগিনী প্রত্যেক সলাতের জন্যই অযু করবে।’

لقولہ صلی اللہ علیہ وسلم: ”المستحاضة تتوضَّأ لوقت کل صلاة․․․ ویصلون بہ أي بوضوئہم في الوقت ماشاوٴوا من الفرائض الخ (حاشیة الطحطاوی علی المراقی: ۱۴۹، باب الحیض، ط اشرفی)

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,ইস্তেহাযা ওয়ালা মহিলা নামাজের প্রত্যেক ওয়াক্তের জন্য অযু করবে।

আর ঐ অযু দিয়ে ঐ ওয়াক্তে যত ইচ্ছা ফরজ, নফল নামাজ আদায় করতে পারবে।

আরো জানুনঃ  https://ifatwa.info/12398/

https://ifatwa.info/53052/  ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়। যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া। সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।

ক/ সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে। এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/ যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।

মা'যুরের হুকুম হল, মা'যুর ব্যক্তি এক ওয়াক্তের জন্য এক অজু করবেন।

তারপর উক্ত অজু দ্বারা উক্ত ওয়াক্তের ভিতর যতসম্ভব উনি ফরয নফল ইত্যাদি ইবাদত করতে পারবেন।যখন ওয়াক্ত চলে যাবে তখন অজুও শেষ হয়ে যাবে।পূনরায় ভিন্ন ওয়াক্তের জন্য ভিন্ন অজু করতে হবে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৫/২২৩/২২৪) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/50

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!

নামাজের পুরো ওয়াক্ত জুড়ে আপনার সাদাস্রাব নির্গত হলে আপনি মা'যুর,সেক্ষেত্রে ওয়াক্ত শুরু হলে অযু করে উক্ত অযু দিয়ে সেই ওয়াক্তের ভিতর আপনি যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন,পরবর্তী ওয়াক্ত আসলে পুনরায় অযু করে নিতে হবে।

এখন কথা হলো,আপনি মা'যুর কিনা?

যদি নামাযের ছোট ওয়াক্ত তথা আছর বা মাগরিবের ওয়াক্তে এমনভাবে সাদাস্রাব নির্গত হয় যে, দুই রাকাত নামায সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত পড়া সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবে। এক ওয়াক্তে একবার অজু করে সেই অজু দ্বারা যত নামায সম্ভব ঐ ওয়াক্তের ভিতর পড়া যাবে।

আর যদি আপনি মা'যুর না হোনসেক্ষেত্রে আপনি অযু করে পাক কাপড়ে নামাজ শুরু করবেননামাজের মধ্যে স্রাব বের হলে উক্ত স্থান ও কাপড়ে লাগলে সেটি পাক করে/কাপড় চেঞ্জ করে অযু করে এসে যেখান থেকে নামাজ রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে নামাজ আদায় করবেন। একেবারে শুরু থেকে নামাজ আদায় করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আর, ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই ওয়াক্তের নিয়তে একবার ওযু করে নিলে কি ওই ওযু দিয়ে সারা ওয়াক্ত মাজুর ব্যাক্তি সালাত বা কুরআন তিলাওয়াত করতে পারবে?
by
সাদস্রাবের জন্য মজুর প্রমাণিত হওয়ার পরে তো এক ওয়াক্তের জন্য একবার ওযু করব,ইনশাআল্লাহ। কিন্তু সেই একবার ওযুর ভিতরে যদি সদাস্রাব আসে তাহলে কি ওযু বাতিল হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...