জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মুসলমানদের কোনো কাজ শরীয়তের খেলাফ হতে পারেনা।
চাই তাহা যেই কাজই হোক।
আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য কোন বন্ধু বা অভিভাবকের অনুসরণ করো না। (সূরা আ’রাফ ৩)
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (আবূ দাঊদ ৪০৩১)
দিবস পালন করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
বর্তমানে কিছু মানুষের মাঝে ‘পহেলা ফাগুন’ পালনের নামে বিশেষ দিন উদযাপনের যে প্রথা ছড়িয়ে পড়েছে— এটি বিদআত ও শরিয়ত বিরোধী।
এগুলো বিজাতীয় সংস্কৃতি ।
যাহা কোনো মুসলমান উদযাপন করতে পারেনা।
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ছাড়া মুসলমানদের আর কোন উৎসব (দিন পালন) নেই।
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারও অনুসরণ কর না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর।’ (সূরা আরাফ : ৩)
অন্য একটি হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি যে জাতির নমুনা অবলম্বন করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই দলভুক্ত।’ (সহিহুল জামে : ৬০২৫)
নবী করিম (সা.) আরও বলেন, ‘সে ব্যক্তি আমার দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছেড়ে অন্য কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করে। তোমরা ইহুদিদের সাদৃশ্য অবলম্বন কর না, খ্রিস্টানদেরও সাদৃশ্য অবলম্বন কর না।’ (সিলসিলাহ সহিহা : ২১৯৪)
,
★আর এই দিনকে কেন্দ্র করে শুভেচ্ছা জানানো এই দিন পালনেরই নামান্তর, তাই এই দিনের শুভেচ্ছাও কাউকে জানানো যাবেনা।