আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ,,
৫ বছর চেষ্টা করেও আমার বিয়ে হয় না.. পাত্রপক্ষ আসে, দেখে চলে যায় আর কিছু বলে না.. ২০২২ সালের শেষ দিকে আমি ঘুমন্ত অবস্থায় জিনের স্পর্শ পাই...  তার কিছুদিন পর এক আলেমের মাধ্যমে জানতে পারি,, আমার সাথে বদ জিন আছে এবং সে ই নাকি আমার বিয়ে হতে দিচ্ছে না.. ৪১ দিনের আমল, তাবিজ, সরিষার তেল, মধু, কালোজিরা, জমজমের পানি পড়া আর বাড়ি বন্ধক করার জন্য ৫ টা শিশি দিয়েছিলেন.. তা বাড়ির চারপাশে ৪ টা এবং বাড়ির মধ্যে একটা মাটির নিচে পুতে রাখতে বলেছিলেন..  এই তদবীর টা করেছিলাম.. মাঝখানে অনেক দিন কিছু মনে হয় নি...
 আবার অনেকদিন যাবত আমার সমস্যা দেখা দেয়, ঘুমের মধ্যে শরীর ভার লাগে, ভয় লাগে, বারবার মনে হয় কেউ আছে এবং আরও অনেক সমস্যা হয়.. যা জিনের বদনজর আর বিয়ে বন্ধের যাদুর সাথে মিলে..
কিছু দিন আগে আবারও এক হুজুরের মাধ্যমে জানতে পারি,, আমার সাথে বদ জিন আছে, তার জন্যই আমার কোনো বিয়ের প্রস্তাব আসলে আগায় না.. আমি এটা যাচাই এর জন্য আরও রাকীর খোঁজ নেই... আশেপাশে রাকীও নেই তেমন...

আমার এক খালার বাসায়, একজন কবিরাজ আসে, খালা আমাক ও যেতে বলে, আমি যাওয়ার আগে তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে, যিনি আসছেন আপনাদের বাসায় তিনি কুরআনিক চিকিৎসা করে কি না... খালা বলছে যে,, উনি সবরকম ই করে আর তুমি যেহেতু তোমার সমস্যা টা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছো তাহলে এনার কাছে জানতে পারো...

তারপর আমি এবং আমার মা সহ খালার বাসায় যাই...
কবিরাজ লোক টা আমার নাম এবং গ্রামের নাম জানতে চায়..৷ তারপর গ্লাসে পানি নিয়ে কি কি জানি পড়লো, পড়ে গামছা দিয়ে ঢেকে দিয়ে উল্টে রাখলো.. কিছুক্ষণ পর গামছা উঠায় পানিতে কি জানি দেখে বললো,,
১, বাড়িটায় জিন আছে
২, একটা মেয়ের সাথে আছে,, আর এটা বদ জিন একটা.. তার আশেপাশে ঘুড়ে সবসময়.
৩, জিন টা দেখা দেয় কিন্তু স্পষ্ট না,, আবছা আবছা দেখা দেয় আবার কখনও শব্দ করে..
৪, তার বিয়ে বন্ধ আছে
৫, ছেলেপক্ষ আসে দেখে চলে যায়
৬, তাদের বাড়িটা পার হলেই ছেলে পক্ষ আর কিছু জানায় না..
৭, মেয়েটার মাথা খারাপ হয়ে যায় তখন,, কারো কথা শুনতে পারে না..
৮, আর এটা অনেকদিন যাবত সমস্যা
(সবগুলা কথাই আমার সাথে মিল,, ধরে নিতে পারি তিনি সত্য বলেছেন)

বলার পরে আমার মায়ের দিকে তাকায় যে,,  কার বিয়ে হচ্ছে না? আম্মু বলে,, এই যে আমার মেয়েটার.. আমাকে কাছে ডেকে হাত দেখতে চাইলো আমি প্রথমে না বললাম,,  পরে সবাই বলতেছিলো শুধ হাতের তালু টা দেখাইলে কি সমস্যা।।   আমি আর অন্য কিছু না ভেবে হাতের তালু দেখাই.. উনি দেখে কি কি জানি গুণতেছিলো,, আর বলতেছিলো,, এ যাবত অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসছে তো (এটা সত্যি অবশ্য)..
যখন গুণতেছিলো তখনই আমার সন্দেহ জাগে.. এই লোক নিশ্চিত গণক...
 তারপরে জানতে পারলাম লোকটা গণক ই... তার কাছে জানতে চাইলাম তার চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে,,  সবটাই শরীয়তের বিপরীত...

আমি আগে ভালোভাবে জানতাম না লোকটা গণক..  ১,,আমি না বুঝে যে হাত টা দেখাইছি এতে কি আমার গুনাহ হবে?? ঈমানের ক্ষতি হবে??
২,, আমি কি গণকের কাছে যাওয়ার শাস্তি পাবো???

( আমার পরিবারে আমি ব্যতীত কেউ এটাও জানে না যে,, রাকী জিনিস টা কাকে বলে,, বা রুকইয়াহ কি...!! তারা কুফরির দিকে ঝোক.. আমার মা,, সেখানেই চিকিৎসা করানোর জন্য বলতেছিলেন আমি না করছি,, বলেছি ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক এইগুলা,, ইনি কুফরি করে)

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/59703/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

(১) সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।


তাছাড়া আপনাকে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।


নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،

দেখুন- http://istefta.info/1093


প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


https://ifatwa.info/2518/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়। কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে না। এবিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই পরিলক্ষিণ করা যায়।

জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না যে,জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


১-২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ভুলবশত হয়ে গিয়েছে তাই আশা করা যায় যে, এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবে না এবং আপনার কোনো গোনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ। তবুও আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার ও তওবা করে নিবেন।

তবে আমরা পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...