বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
একবার উচ্ছারিত হয়ে গেলেই নামায ফাসিদ হয়ে যায়।দ্বিতীয়বার দোহড়িয়ে নিলেও আর নামায বিশুদ্ধ থাকবে না।
ভূল উচ্ছারণের সময়ে আপনার নামায বিশুদ্ধ থাকছে কি না? সেই উচ্ছারণ কোনো মুফতির নিকট উল্লেখ করলেই বুঝতে পারবেন যে,আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে কি না?
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইমামের কিরাতে লাহনে যলী হলে ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদিদের নামাযও ভেঙে যাবে।এবং আবার প্রথম থেকে নামায শুরু করতে হবে।
(২)
ইমামের ভুল হলে,সবার নামাযই ভেঙ্গে যাবে।সুতরাং মুক্তাদিদের মধ্যে থেকে কাউকে ইমামতি করতে দিয়ে নিজে মাসবুক হিসেবে জামাতে শরীক হওয়ার কোনো নিয়ম নাই।
(৩)
যদি কোন ইমাম কিরাতে লাহনে যলী হওয়ার পরও স্বাভাবিকভাবে নামায শেষ পর্যন্ত পড়িয়ে যান, তখন মুক্তাদিদের মধ্যে যারা ইমাম সাহেব থেকে উত্তমভাবে পড়তে পারবেন,শুধুমাত্র তাদেরকেই পুনরায় নামায পড়তে হবে।