ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/102403/
নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا
الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا
وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ
اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের
চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য,
(৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে,
এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা আত-তাওবাহ-৬০)
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا
يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا
فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ،
وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা
বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি
পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে
যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও
তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি
কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য
যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)
আরো জানুনঃ- https://ifatwa.info/7744/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি যাকাত দাতা কাউকে বলে যে এই
যাকাতের টাকা তুমি মিসকিনদের মাঝে বন্টন করে দাও, তাহলে টাকা গ্রহন কারী ব্যাক্তি তার উকিল হয়ে গেলো। এক্ষেত্রে এই ব্যক্তি যেকোনো
যাকাতের হকদারকে যাকাতের টাকা দিতে পারবে। কিন্তু নিজে যাকাতের হকদার হলেও তা নিজের
জন্য নিতে পারবেনা।
হ্যাঁ, যদি যাকাত প্রদানকারী ব্যক্তি তাকে পুরোপুরি ইখতিয়ার দিয়ে বলে
যে তুমি যেখানে চাও, খরচ করতে পারো।
তাহলে সে নিজে যাকাতের হকদার হলে
সে উক্ত টাকা নিতে পারবে।
"رجل دفع إلى رجل مالاً قال: أعط هذا من
أحببت، ليس له أن يتصدق على نفسه عند أبي حنيفة، وقال محمد: له ذلك". (المحيط
البرهاني : ٢/ ٣٢١)
সারমর্মঃ কোনো ব্যক্তি কাউকে সম্পদ
দিয়ে বললো যে যাকে চাও এট দিয়ে দাও, সেক্ষেত্রে
ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ এর মতে সে নিজের উপর তাহা সদকাহ করতে পারবে।
البحر
الرائق شرح كنز الدقائق - (2 / 227
"وَلِلْوَكِيلِ بِدَفْعِ الزَّكَاةِ أَنْ
يَدْفَعَهَا إلَى وَلَدِ نَفْسِهِ كَبِيرًا كان أو صَغِيرًا وَإِلَى امْرَأَتِهِ
إذَا كَانُوا مَحَاوِيجَ وَلَا يَجُوزُ أَنْ يُمْسِكَ لِنَفْسِهِ شيأ اه إلَّا إذَا قال ضَعْهَا حَيْثُ شِئْتَ فَلَهُ
أَنْ يُمْسِكَهَا لِنَفْسِهِ كَذَا في الْوَلْوَالِجيَّةِ"
সারমর্মঃ উকিল যাকাতের টাকা নিজে
রাখতে পারবেনা। কিন্তু যদি মুয়াক্কিল বলে যে তুমি যেখানে চাও, খরচ করো, তাহলে সেক্ষেত্রে সে নিজের জন্য
নিতে পারবে।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-২.আপনি যেই ফাউন্ডেশন শুরু করতে চাচ্ছেন, সেখানে তো অনেক মানুষ যাকাত, মান্নত ইত্যাদি
টাকা দিবে। আবার অনেকে নির্দিষ্ট সদকায়ে জারিয়া মূলক কাজে টাকা দিবে।
সুতরাং আপনি বা যারা পরিচালনা কাজে সহযোগী হিসেবে থাকবেন তারা যদি দরিদ্র হোন,
যাকাত গ্রহনের উপযুক্ত হোন, সেক্ষেত্রে দাতাগণ
যদি ফাউন্ডেশনে টাকা দেয়ার সময় মিসকিনদের মাঝে বন্টন করে দেয়ার কথা না বলে,
বরং বলে যে তুমি যেখানে চাও, খরচ করো, সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র আপনি বা যারা পরিচালনা কাজে সহযোগী হিসেবে থাকবেন
তারা প্রয়োজন পূরণে কিছু অংশ নিজের জন্য নিতে পারেন।
অন্যথায় কোনো ছুরতেই আপনার জন্য
সেই ফাউন্ডেশনের দানকৃত টাকা নেয়া জায়েজ হবেনা।