ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/59703/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
(১) সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি
কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ
দিচ্ছি
(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন
করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩) দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ
اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي
السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://istefta.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময়
এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা
নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং
প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا
اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।
মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক
করুন- https://www.ifatwa.info/10103
https://ifatwa.info/2518/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়।
কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে
না। এবিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই পরিলক্ষিণ করা যায়।
জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না
যে,জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-২. বৈধ উদ্দেশ্যে জ্বীনের
কাছ থেকে ফায়দা গ্রহণ করা যায়। কেউ জাদুগ্রস্ত কি না? একটা অনুমান নেয়া যায়। তবে
তাদের কে ব্যবহার করে টাকা রুজি করা কখনো জায়েয হবে না। এবিষয়ে চলচাতুরি খুব বেশীই
পরিলক্ষিণ করা যায়।
জ্বীনকে এমন তা'বে বানানো জায়েয হবে না
যে, জ্বীনের কোনো এখতিয়ার বাকী থাকে না। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী-১/২৮৩)