ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/50099/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,
ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ
ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা
যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।
যেমনঃ-কোরআন থেকে.....
ﻭَﻣَﺎ
ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ
ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ
ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ
তরজমাঃ কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে
ভক্ষণ করবে না,
যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি
দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই
জানেন। (সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জরুরতের কারণে আপনাদের বাড়ীর ফ্লোরে দৃশ্যমান
নাজাসত বা নাপাকি না থাকলে সমস্ত ফ্লোরকে পবিত্র হিসাবে ধরা হবে। সুতরাং এখানে অন্য
কোনো দিক দেখার প্রয়োজনিয়তা নাই। আপনি ঘরের নির্দিষ্ট একটি জায়গাকে নামাজের নির্দিষ্ট
স্থান বানিয়ে নিবেন। সেখানে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়বেন। তাহলে আর আপনার মনের
মধ্যে সন্দেহ আসবে না।