আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।

আমার আব্বু যে জুতা পরে টয়লেটে যান সেই একই জুতা পায়ে তিনি ঘরের মধ্যে হাঁটাচলা করেন। আমি তার জুতার তলা ভিজে থাকতে দেখেছি একবার। এক্ষেত্রে তিনি ঘরের যে কোনো জায়গায় যেকোনো সময় চলাফেরা করেন। কখন ফ্লর ভিজা থাকে কিংবা উনার জুতা ভেজা থাকে সে সম্পর্কে তো সব সময় জানা যায় না। তাহলে কি আমাদের ঘর গুলোর ফ্লোর নাপাকি হিসেবে ধরে নিব? তিনি যেকোনো সময় এভাবে চলাফেরা করেন তাকে নিষেধ করার মত সাহস আমার নেই আমি আম্মুকে বলেছিলাম তিনি যেন আব্বুকে নিষেধ করেন এই কাজটি করতে। কিন্তু আম্মু বলেছেন তিনি নিষেধ করতে পারবেন না আর তাছাড়া নিষেধ করেও কোন লাভ নেই কারণ আব্বু আম্মুর কথা শুনবেন না বরং  আব্বুর ইগোতে লাগতে পারে।  পুরো বাড়ি যদি নাপাক হয়ে থাকে তাহলে নামাজ পড়বো কোথায়? তাছাড়া আমি এসব নিয়ে খুব মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি। আমি ফ্লোরে হাঁটা চলার সময় জুতা পরি কিন্তু কখনো আমার জুতা ভিজা থাকলে মনে হয় ফ্লোর থেকে পানির ছিটা এসে আমার শরীরে বা কাপড়ে লাগলে সেটা কি নাপাক হয়ে যাবে? আর এই ফ্লোরে নামাজ পড়লে সেটা কি জায়েজ হয়? আমি আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি আর আমার মনে হচ্ছে সব সময় আমার পায়ে, আমার হাতে ফ্লোর থেকে পানি ছিটকে পড়ছে আর এতে করে আমি অপবিত্র হয়ে যাচ্ছি। আমি বারবার আমার পা ধৌত করি এতে আমার আম্মু খুব বিরক্ত আমার উপর। আর ফ্লোর যে নাপাক এটা বাড়ির কেউ মানতে চান না। দেখা যায় ফ্লোরের উপরে আম্মু ভিজে পায়ে হাটে অজুর পরে তারপর জায়নামাজের উপরে দাঁড়ান, এতে করে কি জায়নামাজ নাপাক হয়ে যায় না।কিংবা ফ্লোর ভিজে থাকলে সেটাতে জায়নামাজ পিছিয়ে দিলে জায়নামাজ নাপাক হয়ে যাবে না ? আমি আসলে কি করবো কিছু বুঝতে পারছিনা। অনুগ্রহ করে আমাকে কিছু নাসিহাহ করুন। উল্লেখ্য যে, আমাদের বাড়ির কিছু ঘরের ফ্লোর সিমেন্টের ঢালাইকৃত, আর কিছু ঘরের ফ্লোর টাইলসের, যার কোনটিই পানি শোষণ করে না।জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (54,420 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/50099/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

জরুরত অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে হালাল করে দেয়,

 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ

(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)

এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।

যেমনঃ-কোরআন থেকে.....

 ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻜُﻢْ ﺃَﻻَّ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﻣِﻤَّﺎ ﺫُﻛِﺮَ ﺍﺳْﻢُ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﻗَﺪْ ﻓَﺼَّﻞَ ﻟَﻜُﻢ ﻣَّﺎ ﺣَﺮَّﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﻻَّ ﻣَﺎ ﺍﺿْﻄُﺮِﺭْﺗُﻢْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﻭَﺇِﻥَّ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻟَّﻴُﻀِﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺄَﻫْﻮَﺍﺋِﻬِﻢ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﻋِﻠْﻢٍ ﺇِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻫُﻮَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﺎﻟْﻤُﻌْﺘَﺪِﻳﻦ

তরজমাঃ কোন কারণে তোমরা এমন জন্তু থেকে ভক্ষণ করবে না, যার উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয়, অথচ আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও। অনেক লোক স্বীয় ভ্রান্ত প্রবৃত্তি দ্বারা না জেনে বিপথগামী করতে থাকে। আপনার প্রতিপালক সীমাতিক্রম কারীদেরকে যথার্থই জানেন। (সূরা আন-আম-আয়াতঃ-১১৯)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!


জরুরতের কারণে আপনাদের বাড়ীর ফ্লোরে দৃশ্যমান নাজাসত বা নাপাকি না থাকলে সমস্ত ফ্লোরকে পবিত্র হিসাবে ধরা হবে। সুতরাং এখানে অন্য কোনো দিক দেখার প্রয়োজনিয়তা নাই। আপনি ঘরের নির্দিষ্ট একটি জায়গাকে নামাজের নির্দিষ্ট স্থান বানিয়ে নিবেন। সেখানে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়বেন। তাহলে আর আপনার মনের মধ্যে সন্দেহ আসবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
দু:খিত। প্রযুক্তিগত বিষয়ে অজ্ঞতা থাকায় একই প্রশ্ন অনিচ্ছাকৃতভাবে কয়েকবার করা হয়ে গিয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...