আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

ইসলামী ব্যাংকে DPS অ্যাকাউন্ট খোলার যে চুক্তি পত্র তাতে সবকিছু ইসলাম অনুযায়ী মেনে চলার কথা বলা হয়েছে এবং লভ্যাংশ কোন হারাম খাত থেকে আসবে না এটা স্পষ্ট বলা হয়েছে,তারাও এমনটা বলে। তাদের এসব লেনদেন হালাল হারাম হওয়া থেকে রক্ষার জন্য নিজস্ব আলেম বোর্ড আছে যারা এসব দেখাশোনা করেন।

১.এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু তারা চুক্তি ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী করছে এবং এর দেখভালের জন্য আলেমগণ আছেন তাহলে আমি এখানে DPS অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবো? আলেমগণের ফতুয়াই তো আমরা মেনে চলি তাহলে তারা যদি এগুলো দেখেন এবং হালাল-হারামের ব্যাপারটা মেইনটেন করেন আমরা কেনো এখানে একাউন্ট খুলতে পারবো না?
পুনশ্চ: আমরা তো সাধারণ মানুষ আলেমদের ফতোয়া অনুযায়ী আমল করি সেগুলো আর যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন হয়না তাহলে এক্ষেত্রে কেনো উনাদের মানবো না?

২.এটা হারাম হলে আত্মীয় স্বজনদের কিভাবে এর থেকে বিরত রাখতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা ব্যবসা ও সুদ সম্পর্কে বলেন,
الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لاَ يَقُومُونَ إِلاَّ كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُواْ إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا وَأَحَلَّ اللّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا فَمَن جَاءهُ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِ فَانتَهَىَ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللّهِ وَمَنْ عَادَ فَأُوْلَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লা’হ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে।(সূরা বাকারা-২৭৫)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
প্রচলিত ডিপিএস,স্কীম ডিপিএস, ফিক্সট ডিপোজিট হারাম এবং পরিত্যাজ্য।তবে যদি কোনো ব্যাংক শরীয়তকে পুরোপুরি মেনে এই সমস্ত প্রকল্প, স্কীমগুলো প্রনয়ন করে ও যত্নসহকারে তা পালন করতে সচেষ্ট থাকে তবে তা জায়েয হবে। যেমন পাকিস্তানের মিজান ব্যাংক সম্পর্কে শুনা যায়,যে তারা সম্পূর্ণভাবে শরীয়তকে মেনে চলে।যত্নসহকারে পালনের অর্থ হচ্ছে,ডিপিএস এমন হতে হবে যে,যে মেয়াদের জন্য ডিপি এস করা হবে,মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আসল ব্যতীত মুনাফা কত? তা নির্দিষ্ট  হতে পারবে না।যদি মুনাফা নির্দিষ্ট হয়ে থাকে,তাহলে সেটা সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হয়ে যাবে।যদি কেউ টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলোতে ৫-১০ বছর মেয়াদী ডিপিএস করে নেয়, তাহলে সে শুধুমাত্র আসল নিতে পারবে। মুনাফা নিতে পারবে না। কেননা মুনাফা সুদ। আর সুদ হারাম। ( শেষ)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/8101

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমাদের জানামতে ইসলামী ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংকের ডিপিএস কর্ম পদ্ধতি একই। উভয় ক্ষেত্রেই মাসিক মুনাফা নির্দিষ্ট থাকে, তাই প্রচলিত ডিপিএস সুদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে হারাম হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...