আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু 
মহতারাম আমার কিছু মাসলা মাছায়েল জানার প্রয়োজন।


জিজ্ঞাসা ১ঃ 

আমি একজন প্রবাসি ব্যাবসায়িক। আমি যেই দেশে থাকি এদেশে কিছু পরিমাণ বাংলাদেশী প্রবাসী বাস করে যাদের মধ্যে অনেকেই অবৈধ ভাবে বসবাস করছে। এইখানে অবৈধ ভাবে যারা বসবাস করে তাদের জন্য বৈধ পথে (ব্যাংক বা পোস্ট অফিস এর মাধ্যমে) বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর কোন ব্যবস্থা নেই। তারা এই দেশ থেকে টাকা পাঠাতে গিয়ে অনেক মানুষের কাছে প্রতারণার শিকার হয়েছে।পরবর্তীতে তারা আমার কাছে এসে সাহায্যের জন্য বলে। আমি বিভিন্ন জনের  মারফতে (৩ নং পয়েন্ট এ তা উল্লেখ করা হয়েছে)  টাকাগুলো বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেই। (বিঃ দ্রঃ তাদের কাছ থেকে এর জন্য কোনো সার্ভিস চার্জ ও নেই না)

আমি যে তাদেরকে সাহায্য করি এটা কি জায়েজ হবে?

জিজ্ঞাসা ২ঃ
আমরা এদেশ থেকে যারা বাংলাদেশের ব্যবসা করি। আমরা বাংলাদেশ থেকে LC রিসিভ করি কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাংক আমাদেরকে বড় অংকের LC দেওয়ার সামর্থ্য হয় না কারণ বাংলাদেশে ডলারের সংকট থাকে সবসময়। আমরা ব্যবসা টিকানোর জন্য  ন্যায্য মূল্য থেকেও কম দাম ধরে LC সাবমিট করি তখন সহজে আমরা LC পেয়ে যাই।
 

এভাবে ব্যবসা ব্যবসা করা কি আমাদের জন্য জায়েজ হবে ?

জিজ্ঞাসা ৩ঃ
আমরা LC তে দেওয়া টাকা ব্যংক থেকে পেয়ে যাই বাকি টাকা এখানে সমস্যা জড়িত লোকদের কাছ থেকে হ্যন্ড ক্যাশ নিয়ে নেই। এবং সমপরিমাণ টাকা (ইন্টারনেট এর রেইট অনুযায়ী) বাংলাদেশে এ দিয়ে দেই।

এটা কি আমাদের জন্য জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ». 

 ‘আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয। 
(শু‘আবুল ঈমান ৮৩৬৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৬৯৫,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৭৮১)

হযরত মিক্বদাম ইবনে মা'দি কারুবা রাযি থেকে বর্ণিত
 ﻋَﻦِ اﻟْﻤِﻘْﺪَاﻡِ ﺑْﻦِ ﻣَﻌْﺪِﻱ ﻛَﺮِﺏَ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ: ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ - " «ﻣَﺎ ﺃَﻛَﻞَ ﺃَﺣَﺪٌ ﻃَﻌَﺎﻣًﺎ ﻗَﻂُّ ﺧَﻴْﺮًا ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﻳَﺄْﻛُﻞَ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ، ﻭَﺇِﻥَّ ﻧَﺒِﻲَّ اﻟﻠَّﻪِ ﺩَاﻭُﺩَ - ﻋَﻠَﻴْﻪِ اﻟﺴَّﻼَﻡُ - ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺄْﻛُﻞُ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﻳَﺪَﻳْﻪِ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
নিজ হাতের উপার্জন হতে অধিক উত্তম রিজিক কেউ কখনো আহার করেনি।
আর আল্লাহর নবী হযরত দাউদ আঃ নিজ হাতের উপার্জন দ্বারাই দিনাতিপাত করতেন।(মিশকাত-২৭৫৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে ব্যবসা করা আপনাদের জন্য জায়েজ আছে।
এভাবে তাদেরকে সাহায্য করা নাজায়েজ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...