আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতূহ।
আজকে ইস্তিখারা করেই ঘুমিয়ে যাই এবং স্বপ্নে দেখি -
আমাদের বাড়িতে কিছু একটা হচ্ছে। কোনো এক এবনরমাল লোক আসছে।এবং বাড়ির সবাই নাম দিয়ে আমাদের বড়ো বাড়ি(পাশের বাড়ি) যাচ্ছে । আমাদের বাসার সবাই সেখানে গিয়েছে।আমাকে এবং আমার ভাবিকেও যেতে বলতেছে কিন্তু আমরা যাব না বলে সিদ্ধান্ত নেই।পরক্ষণেই একজন এসে বলে তোমাদেরও যেতে হবে।তারপর মনে হলো আমরাও নাম দিয়েছি।বিষয়টা খুশির কিছু ছিল না বরং ভয়ের ছিল।আমরা তখন একটু প্রেশান ছিলাম স্বপ্নেই
এরপর দেখি আমার ভাবি আমার ছোট ভাইয়ার সাথে ফোনে কথা বলে অনেকবেশি। এবং কথা বলতে বলতে আমার রুমে চলে যায়।খুব সম্ভবত কোনো একটা বিষয়ে জরুরি আলোচনা করতেছিল। আমি মনে মনে ভাবছিলাম আগে তো বলতো না এখন এতো বেশি কথা বলা কী ঠিক!
এরপর সম্ভবত আমরা সেখানে গিয়েছি যেখানে যাওয়ার কথা, যেয়ে দেখি আমাদের কিছু একটা দেখাচ্ছে। পৃথিবী কীভাবে সংঘটিত হয়েছে বা কীভাবে ধ্বংস হবে এমন কিছু।
মনিটর কী না মনে পড়ছে না তবে অনেকখানি জায়গায় সেটা শো করছে খোলা আকাশের নিচে।ছোট ছোট তারা, বাকা চাদ সাথে আরও কিছু ছিল সেখানে।দুইটি রেখা নিচ থেকে উপর পর্যন্ত দুইটি রেখা,পাইপ আকৃতির। কিছু একটা সোজা উপরের দিকে উঠতেছিল বাকা চিহ্নিত দুইটি রেখা দিয়ে... রেখা দুইটি দিয়ে যা উপরে উঠতেছিল তা উজ্জল আলো ছিলো খুব সম্ভবত অগ্নি শিখা যা পাইপ/নল দিয়ে উপরে উঠে গলে পড়িতেছিল।এবং আকাশ কে ঠিক বরাবর দ্বিখণ্ডিত করে এমন,এবং মনে হলো সব ধ্বংস হয়ে যাবে মানে কিয়ামত ঘটে যাবে(তখন পিরামিড এর তিন রেখার কথা মনে পরেছিল)।এবং তখনই রেখা দুইটির মাঝে চাদ বা সূর্য আসতেছিল যা কালচে বা গাড় বাদামী কালারের।দেখে বুঝার উপায় ছিল না এটা চাঁদ নাকি সূর্য।বিকৃত আকৃতির কিছুটা ভয় পাওয়ার মতো।

তখন আমি মনে মনে ভাবছি এগুলো তো কিছুদিন আগেও ক্লাসে পড়েছিলাম।ঠিক দুইভাগে পৃথিবী ভাগ হয়ে যাবে।কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে। এরপর স্বপ্ন ভেঙে যায় রাত ৩.৪৮ এএম এ।
*******////নরমালি ৩-৪ টা কারনে ছেলেকে আমার পছন্দ না।

এখন কী পজিটিভ ভাববো নাকি নেগেটিভ ভাববো?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/52645/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছ যে,

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন/বোন!

আপনার প্রশ্নের বিবরণ থেকে স্বাভাবিকভাবে পজিটিভ কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। বিধায়, আপনার জন্য সামনে অগ্রসর না হওয়াই উত্তম হচ্ছে। তবে আপনি চাইলে সাত দিন পর্যন্ত ইস্তেখারা কন্টিনিউ করতে পারবেন।  আশা করি, আপনি আপনার  ইস্তিখারার সুস্পষ্ট ফলাফল পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...