বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
স্বামী-স্ত্রী এক অপরকে সম্মান সূচক নাম ব্যবহার করে ডাকবে। বিশেষ করে স্ত্রী তার স্বামীকে সর্বক্ষেত্রে সম্মান প্রদর্শন করবে।পরিবারের মধ্যে যেহেতু স্বামীর মর্যাদা স্ত্রীর চেয়ে একটু উপরে তাই স্ত্রী কখনো তার স্বামীর নাম ধরে ডাকবে না। কেননা এতে বেয়দবী মূলক আচরণের বহির্প্রকাশ ঘটে।
এ সম্পর্কে ফাতাওয়া শামীতে বর্ণিত আছে।
( ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺃﺑﺎﻩ ﻭﺃﻥ ﺗﺪﻋﻮ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﺯﻭﺟﻬﺎ ﺑﺎﺳﻤﻪ ) ﺍ ﻫـ ﺑﻠﻔﻈﻪ .
ছেলে কর্তৃক তার পিতাকে এবং স্ত্রী কর্তৃক তার স্বামীকে নাম ধরে ডাকা মাকরুহ।
>>ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত বক্তব্যর সুস্পষ্ট ব্যখ্যা প্রদান করে বলেনঃ-
ﻗﻮﻟﻪ ﻭﻳﻜﺮﻩ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﺇﻟﺦ ) ﺑﻞ ﻻ ﺑﺪ ﻣﻦ ﻟﻔﻆ ﻳﻔﻴﺪ ﺍﻟﺘﻌﻈﻴﻢ ﻛﻴﺎ ﺳﻴﺪﻱ ﻭﻧﺤﻮﻩ ﻟﻤﺰﻳﺪ ﺣﻘﻬﻤﺎ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﻟﺪ ﻭﺍﻟﺰﻭﺟﺔ ، الخ
বরং এমন শব্দের মাধ্যমে ডাকা একান্ত প্রয়োজন যা সম্মান বুঝাবে,
যেমনঃ- হে আমার সর্দার, অমুকের পিতা ইত্যাদি, অথবা সম্মানসূচক পেশার সাথে সংযুক্ত করে ডাকবে, যেমন,ইমাম সাহেব,ডাক্তার সাহেব ইত্যাদি)।
কেননা পিতা এবং স্বামী, তাদের উভয়ের হক্ব একটু বেশীই।
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ » ﻓﺮﻉ ﻳﻜﺮﻩ ﺇﻋﻄﺎﺀ ﺳﺎﺋﻞ ﺍﻟﻤﺴﺠﺪ ﺇﻻ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﺨﻂ ﺭﻗﺎﺏ ﺍﻟﻨﺎﺱ،٦/٤١٨.
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে নাম ধরে ডাকা, সম্মোধন করা উরফ তথা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।যেখানে নাম ধরে ডাকাকে অসম্মান জনক মনে করা হয় না সেখানে নাম ধরে ডাকাতে কোনো সমস্যা নেই।তবে আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশ সহ অনেক স্থানেই নাম ধরে ডাকাতে অসম্মান ভাব পরিলক্ষণ করা যায়,তাছাড়া স্বামীর ফযিলত বা অধিকার ও সম্মাণটা একটু বেশীই,এজন্য ফুকাহায়ে কেরামগণ মাকরুহে তানযিহি বা শরয়ী অপছন্দ মনে করেন।
আরব দেশে নাম ধরে ডাকার প্রচলন ছিলো,এতে তারা মনঃক্ষুণ্ণ হত না।সেজন্যই তাদের কেউ কেউ ডাকতেন।
আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে, স্বামীর খেদমত করা প্রত্যেক নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।অন্যদিকে স্ত্রীর ভরণপোষণ স্বামীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সুতরাং সম্মাণ প্রদর্শনার্থে অবশ্যই স্বামী এবং পিতা, উস্তাদ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর সম্মাণি ব্যক্তিবর্গকে নাম ধরে ডাকা যাবে না।
তবে কোনো প্রয়োজনে স্বামীর নাম যে মুখ দিয়ে উচ্ছারণ করা যাবে না এমন নয়।বরং প্রয়োজনে স্বামীর নাম উচ্ছারণ করা যাবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ