আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
اَلسَّلاَمْ عَلَيْـــــــــــكُمْ وَ رَحْمَةُ اللہِ وَبَرَكَاتُهُ

বিষয়টা কিছুটা অন্যরকম

আমার ছোট ভাই এই বছর একটা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। আম্মার ব্যাস্ততার কারণে ছোট ভাইকে নিয়ে সেখানে কিছুদিন যাওয়া হয় আমার। সেখানে একজনের আখলাক আমাকে কিছুটা অবাক করে। আমি অনেক ভেবে আমার অভিভাবক কে বলি যদি সে অবিবাহিত হয় এবং এবং যদি সম্ভব হয় ও আদবের খেলাফ না হয় তবে তাকে আমার বিয়ের কথা বলা যায়। কিন্তু আমার অভিভাবক ডাইরেক্ট কোনো কথা বলেনি।
এরপর আমি একদিন স্বপ্নে দেখি, আমি আকাশ থেকে সূর্যোদয় দেখছি, আমার খুব ভালো লাগছে।  এরপর বাসায় আমি বোরখা পড়ে আম্মার ঔড়না দিয়ে নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করছি। একটা রুমে ছেলে দেখতে এসেছে। তার চেহারা আমি দেখতে পাইনা তবে পেছন থেকে দেখতে হুবহু সেই ছেলের মত।

এইদিকে আমার অভিভাবক অন্য কারো সাথে কথা বলে। আমাকে দফায় দফায় ২ জন দেখতে আসে। আমি আল্লাহর উপর তায়াক্কুল রেখে দোখার অনুমতি দেই। কেননা আমি জানিনা আমার কল্যাণ কোথায়। আমার রব ই জানেন। উনার কাছে ই নিজেকে আত্নসমর্পণ করেছি এবং কল্যাণ চেয়ে নিয়েছি। কিন্তু তাদের সাথে কথা আাগায় নি। আমি ভেংগে পড়ি, ধৈর্য্য ধরি। আল্লাহ অন্য জায়গায় ই হয়ত আমার কল্যাণ রেখেছেন। কিন্তু এর মাঝেও আমি মাঝেমধ্যে ই সেই মাদ্রাসার ছেলেটাকে অনেকবার দেখেছি স্বপ্নে। যেহেতু তখন আমার সাথে অন্য কোথাও বিয়ের কথা চলছিলো তাই আমি এই স্বপ্নে ভ্রুক্ষেপ করিনি। এরপর কয়েক মাস চলে যায়।

এরপর কীভাবে কি হলো, সেই ছেলে থেকে ই আমার জন্য প্রস্তাব আসলো! এটা আমাকে অনেক অবাক করেছে! কেননা এই কথা কেও জানত না যে আমি তার সাথে কথা বলতে বলেছিলাম৷ আর আমার অভিভাবকও তাকে নিজে থেকে বলেনি। এরপর আমি ২-৩ বার স্বপ্নে দেখি তাকে। বাকিগুলোর কথা মনে নেই তবে একদিন তাকে মাদ্রাসার সামনে দেখি। সূর্যের ছটায় তার চেহারা এত উজ্জ্বল ছিলো যেন মনে হচ্ছে চেহারা দিয়ে আলো বের হচ্ছে।
কিন্তু এরপর কি হলো আমি জানিনা। তার বাসায় সমস্যার কারনে আমাদের অন্য জায়গায় দেখতে বললো। এবং তার সমস্যা শেষ হলে আবার আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে বলেছে। আমি ধৈর্য্য ধরলাম, এবং আল্লাহর উপর ই তায়াক্কুল রেখে চলছি। আল্লাহ যার মাঝে যখন কল্যাণ রাখবেন সে ই যেন তখন আসে। নির্দিষ্ট করে কাওকে চাইনি!

আজ আবার আমি স্বপ্ন দেখি। ছোট করে বললে, আমার আমার অভিভাবক একটা ছেলের দ্বীনদারিতা সম্পর্কে বলে, সে কতটা ভালো এবং কতটা দ্বীনদার তা বলছিলো। এবং আমার সাথে তার বিয়ে দিবে এমন। তখন আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে ই তার নাম পরিচয় জানতে চাইনি। কিন্তু শুধু মনে হচ্ছিল এটা কি সেই ছেলে? নাকি না? তার কি হলো? এমন।

এর পর একটা বাচ্চা কারো কাছে কান্না থামাচ্ছিলো না। তার মা কে খুঁজছিলো। কিন্তু সে আমার কোলে এসে থেমে গেলো।
এসবের কি কোনো কারণ আছে? আমাকে নসিয়ত করুন শায়েখ। কীভাবে আমি ধৈর্য্যের পথ অবলম্বন করতে পারব এবং ফিতনাহ থেকে দূরে থাকতে পারব।
আমি ব্যাক্তিগত দিক থেকে এ নিয়ে কিছু পরীক্ষার মধ্যে আছি আলহামদুলিল্লাহ। এবং হাসবিয়াল্লহ! লা ইলাহা ইল্লা হু। 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রব্বুল 'আরশীল আযীম।

২) বাবার অনুমতি ছাড়া কি মেয়ের বিয়ে জায়েজ হবে? নাকি হারাম হবে?

৩) স্বপ্নে খুব বালুসহ ঝড় হতে দেখার কি কোনো কারণ আছে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন স্বপ্নে বিবাহ হতে দেখলে নিজের সম্মান ইজ্জত বৃদ্ধি পাওয়া বুঝায়।
,
কেহ কেহ বলেছেন যে স্বপ্নে কেউ বিয়ে করতে দেখে, তার দ্বারা আসন্ন বিবাহ বুঝায়। স্বপ্নের সময় যদি বিয়ের পরিকল্পনা না থাকে তাহলে হয়তো যার যঙ্গে বিয়ে হতে দেখেছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। নিম্নোক্ত হাদীসটি ইহা নির্দেশ করে:

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أُرِيتُكِ فِى الْمَنَامِ ثَلاَثَ لَيَالٍ جَاءَنِى بِكِ الْمَلَكُ فِى سَرَقَةٍ مِنْ حَرِيرٍ فَيَقُوْلُ هَذِهِ امْرَأَتُكَ فَأَكْشِفُ عَنْ وَجْهِكِ فَإِذَا أَنْتِ هِىَ فَأَقُولُ إِنْ يَكُ هٰذَا مِنْ عِنْدِ اللهِ يُمْضِهِ 

আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বলেছেন, ‘‘আমি (বিবাহের পূর্বে) তোমাকে দু-দুবার স্বপ্নে দেখেছি। দেখলাম তুমি এক খণ্ড রেশমবস্ত্রের মধ্যে রয়েছ। আর আমাকে কেউ বলছে, ‘এ হল তোমার স্ত্রী।’ আমি কাপড় সরিয়ে দেখি, সে তো তুমিই। তারপর ভাবলাম, যদি এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, তাহলে তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।
(বুখারী ৩৮৯৫, মুসলিম ৬৪৩৬)

আরো জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনার বিবাহ আসন্ন ইনশাআল্লাহ।
নির্দিষ্ট সেই ছেলেটির সাথে বিবাহ হওয়ার অনেকটাই সম্ভাবনা রয়েছে।
,
তবে এটি পুরোপুরি এমনই হবে,এর খেলাফ হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি সেই ছেলের সাথে বিবাহ না হয়,তাহলে পরামর্শ থাকবে মা বাবার বিপক্ষে কোনো কাজ না করার।  

★আপনি নিম্নের ফতোয়ার নির্দেশনা মোতাবেক আমল করবেনন,তাহলে ইনশাআল্লাহ সেই ছেলেকে ভুলে যাওয়া সম্ভব হবেঃ-

(০২)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ- 

(০৩)
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ইলম ও হিকমত তথা প্রজ্ঞা দান করবেন,ইনশাআল্লাহ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...