আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (20 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

১)ا এক বোনের প্রশ্ন, আমার আপু-দুলাভাই উমরায় যাবেন, ইন শা আল্লাহ। তো আম্মুও উনাদের সাথে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন (যেহেতু উনার মাহরাম হিসেবে দুলাভাই আছেন)। জানতে চাচ্ছিলাম উনাদের সাথে আমার যাওয়া কি জায়েজ হবে?দুলাভাই তো আমার মাহরাম না (উনার সাথে শরয়ী পর্দাও পালন করি, আলহামদুলিল্লাহ), আমার অন্য কোন মাহরাম সাতে যাবেন না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?

২)৪ বছর আগে, ২০২০ এ আমার পরিচিত দুই ব্যক্তি বিয়ে করে। বিয়ের সময় দুইজনের বয়স ছিল ১৮ বছর। তারা একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের সময় একজন হুজুর ছিল, সাক্ষী হিসেবে ছেলের দুই বন্ধুর পাশাপাশি আরও কিছু মানুষ ছিল। সেখানেই হুজুরের মাধ্যমে বিয়ে হয় কোন কাগজ পত্রের রেজিস্ট্রেশন ছাড়া।

কোন কারণবশত তাদের মধ্যে সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনি। ছেলের সাথে মেয়ের যোগাযোগ বন্ধ ছিল প্রায় ছয় মাস। এর আগে শুরুর দিকে মেয়ে কয়েকবার তালাক চেয়েছে, একপ্রকার জোর করেছে বললেই চলে। কিন্তু অনেক জোর করার পরেও ছেলে তালাক দেয়নি। ছয় মাস পর মেয়ে ছেলেকে কল দেয়, দেয়ার পর ছেলেকে তালাক এর কথা বললে তখন সে মুখে তিন বার তালাক বলে। ডিটেইল জিজ্ঞেস করলে জানা যায় যে, মেয়ে বলেছে তালাক দেও, এরপর ছেলে বলেছে তালাক দিলাম। এরপর মেয়ে বলেছে আরও দুইবার বলো, তখন ছেলে আরো দুইবার বলেছে তালাক দিলাম , তালাক দিলাম। ( তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল বিয়ের পর )
কিন্তু সমস্যা হয়েছে তালাকের পর, ছেলে মেয়ে দুইজন বুঝতে পারে তারা ভুল করে ফেলেছে। তারা আলেম ওলামাদের কাছে গেলে সবাই বলেছে তালাক হয়ে গেছে। নতুন করে বিয়ের কোন সুযোগ নেই। এরপর গত ২০২৩ এ ছেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে একটু ফতোয়া এনে দেয়। ফতোয়া অনুযায়ী সেখানে উল্লেখ করা হয় তাদের বিয়েই হয়নি। ছেলে বেদ্বীন ছিল, কোন মাযহাব সম্পর্কে জানত না। তালাকের ফতোয়া আনার সময় সে হানাফী মাযহাবে বিশ্বাস করে। আর মেয়ে শুরু থেকেই হানাফী মাযহাবের অনুসারী।এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাদের বিয়ে কি সহীহ হয়েছিল? আর যদি হয়ে না থাকে তাহলে পরবর্তীতে কি তারা পুনরায় বিয়ে করতে পারবে? পুনরায় বিয়ে জায়েজ হবে তাদের জন্য? আর যেই ফতোয়া দেয়া হয়েছে এটা কি অথেনটিক?

(জরুরত হলে ফতোয়ার ছবিটি জিমেইলে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে!)

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কোনো নারীর জন্য মাহরাম পুরুষ ছাড়া হজ্বে যাওয়া জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاِمْرَأَةٍ وَلَا تُسَافِرَنَّ امْرَأَةٌ إِلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُوْلَ اللّٰهِ اكْتُتِبْتُ فِىْ غَزْوَةِ كَذَا وَكَذَا وَخَرَجَتِ امْرَأَتِىْ حَاجَّةً قَالَ: اِذْهَبْ فَاحْجُجْ مَعَ اِمْرَأَتِكَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

 [‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন পুরুষ যেন কক্ষনো কোন স্ত্রীলোকের সাথে এক জায়গায় নির্জনে একত্র না হয়, আর কোন স্ত্রীলোক যেন কক্ষনো আপন কোন মাহরাম ব্যতীত একাকিনী সফর না করে। তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! অমুক অমুক যুদ্ধে আমার নাম লেখানো হয়েছে। আর আমার স্ত্রী একাকিনী হজের উদ্দেশে বের হয়েছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যাও তুমি তোমার স্ত্রীর সাথে হজ্জ/হজ করো।

সহীহ : বুখারী ৩০০৬, মুসলিম ১৩৪১, আহমাদ ১৯৩৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২৫২৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১০১৩৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৭৫৭।
ইবনে আববাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,

لاَ تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ ” اخْرُجْ مَعَهَا

কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই আর আমার স্ত্রী হজ্বে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন, তুমিও তার সাথে হজ্বে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যেহেতু উক্ত সফরে আপনার কোনো মাহরাম পুরুষ নেই,সুতরাং তাদের সাথে আপনার ওমরায় যাওয়া জায়েজ হবেনা।

এমতাবস্থায় আপনি নিজ মাহরাম পুরুষ কাউকে রাজি করিয়ে তার সাথে যাবেন,অন্যথায় আপাতত ওমরায় যাবেননা।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছেলেটি তো গায়রে মুকাল্লিদ ছিলোনা,সুতরাং উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হয়েছিলো,তাদের মাঝে তিন তালাকই পতিত হয়েছে।

এখন শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত তাদের ঘর সংসারের আর কোনো সুযোগ নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 223 views
0 votes
1 answer 108 views
...