বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/5508/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
মহিলারা সকল নামাজেই এই রকম আস্তে আওয়াজে তেলাওয়াত করবে, যেমনটি পুরুষরা
আস্তে কেরাতের নামাজে পড়ে থাকে।
অর্থাৎ নিজ কানে যেনো আওয়াজটি আসে।
কখনো যদি আবদ্ধ ঘরে যেখানে কোনো
পুরুষ নেই,জোড়ে আওয়াজে পড়ে, তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না। ফাতাওয়ায়ে
শামী ১;৫০৪
اعلم
أنہماختلفوا في حد وجود القراء ة علی ثلاثة أقوال: فشرط الہندواني والفضیلي
لوجودہا: خروج صوت یصل إلی إذنہ وبہ قال الشافعي واختار شیخ الإسلام وقاضي خاں
وصاحب المحیط والحلواني قول الہندواني کذا في معراج الدرایة، ونقل في المجتبی عن
الہندواني أنہ لا یجزیہ مالم تسمع أذناہ (سامي: ۲/۲۵۲،
کتاب الصلاة باب صفة الصلاة، ط: زکریا دیوبند)
যার সারমর্ম হলো কান পর্যন্ত যেনো
আওয়াজ আসে, এরকম স্বরে কিরাত পড়তে হবে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর ফাতওয়ার লিংকঃ
https://darulifta-deoband.com/home/ur/Salah-Prayer/24699
কেরাত পড়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল
এমনভাবে পড়া, যেন সে নিজে শুনতে পায়। আর সর্বনিম্ন এতটুকু তো অবশ্যই জরুরি
যে, সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করা হবে এবং ঠোঁট-জিহবার নড়াচড়া দেখা যাবে।
অতএব কেরাত পড়ার সময় জিহবা ও ঠোঁট
ব্যবহার করে মাখরাজ থেকে সহীহ-শুদ্ধভাবে হরফ উচ্চারণ করতে হবে। অন্যথায় শুধু মনে মনে
পড়ার দ্বারা কেরাত আদায় হবে না।
حَدَّثَنَا
عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ،
حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، قَالَ سَأَلْنَا خَبَّابًا أَكَانَ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ قَالَ نَعَمْ.
قُلْنَا بِأَىِّ شَىْءٍ كُنْتُمْ تَعْرِفُونَ قَالَ بِاضْطِرَابِ لِحْيَتِهِ.
আবূ মা‘মার (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমরা খাববাব (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি যুহর ও ‘আসরের সালাতে কিরাআত পড়তেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমরা
প্রশ্ন করলাম, আপনারা কী করে তা বুঝতেন? তিনি বললেন, তাঁর দাড়ির নড়াচড়ায়।
(বুখারী শরীফ ৭৪৬, (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭২৪)
★কমপক্ষে জিহবা
ও ঠোট নাড়িয়ে আস্তে আওয়াজে উচ্চারণ করতে হবে।
এতটুকু আওয়াজ হতে হবে, যে ফ্যান বা
অন্যান্য আওয়াজ যদি সেখানে না থাকতো, তাহলে আস্তে হলেও নিজ কান পর্যন্ত সেই আওয়াজ আসতো।
কিরাআত সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/5375/
□
মহিলাদের জন্য জহর ও আসরের নামাজে কোনো ভাবেই জোরো তেলাওয়াত
করা যাবে না। এমনকি এই দুই নামাজে পুরুষদের জন্যই জোরো তেলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। সুতরাং
মহিলাদের জন্য উত্তম হলো যে,
মহিলারা সকল নামাজেই
এই রকম আস্তে আওয়াজে তেলাওয়াত করবে, যেমনটি পুরুষরা আস্তে কেরাতের নামাজে পড়ে থাকে। অর্থাৎ নিজ কানে
যেনো আওয়াজটি আসে এবং পাশের কেউ স্পষ্টভাবে
শুনতে না পায়। তবে কখনো যদি মহিলারা আবদ্ধ
ঘরে যেখানে কোনো পুরুষ নেই, (মাগরীব,
এশা ও ফজরের নামাজে) জোড়ে আওয়াজে পড়ে, তাহলেও নামাজ
হয়ে যাবে। নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে না। ফাতাওয়ায়ে শামী ১;৫০৪
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
উক্ত নামাজগুলো আবার আদায়
করে নিবেন।