ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
রুহ শব্দ দ্বারা
কুরআনে বিভিন্ন অর্থ বুঝানো হয়েছে।কখনো জিবরাইল আঃ কে বুঝানো হয়েছে আবার কখনো ইসা আঃ
কে বুঝানো হয়েছে। আবার কখনো আত্মাকে বুঝানো হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ
عَنِ الرُّوحِ ۖ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ
الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا
তারা আপনাকে
রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে
সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে। (সূরা বনি ইসরাঈল-৮৫)
কুরআনে কারিমে
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন,
حَتَّىَ
إِذَا جَاء أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ تَوَفَّتْهُ رُسُلُنَا وَهُمْ لاَ يُفَرِّطُونَ
অর্থাৎ অবশেষে
যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন আমার প্রেরীতরা তার মৃত্যু ঘটায় এবং তারা কোনো
ত্রম্নটি করে না। [সুরা আনআম : ৬১]
এ আয়াতের ব্যাখ্যা
করতে গিয়ে ইবনে আবি হাতেম ও ইবনে আবি শায়বা রহ. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রাযিয়াল্লাহু
তাআলা আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, উক্ত আয়াতে কারিমার মাঝে رسل (রুসুল) শব্দ দ্বারা রুহ কব্জ করার
সময় আযরাইলের সঙ্গে উপস্থিত সহকারী ফিরিশতাগণকেই বুঝানো হয়েছে।
হযরত রবি ইবনে
আনাস রহ. বলেন, রুহ কব্জ করার সময় মালাকুল মাউতের সঙ্গে তাঁর সহকারী হিসেবে একদল ফিরিশতা উপস্থিত
থাকেন। কিন্তু হযরত আযরাইল আ.-ই মূল দায়িত্ব পালন করেন। রুহ কব্জ করার পর রুহকে রহমতের
ফিরিশতা অথবা আযাবের ফিরিশতার হাতে সোপর্দ করেন।
কোনো কোনো
হাদিসে বর্ণিত আছে, যে সকল শহিদ পানিতে ডুবে শাহাদাত বরণ করেন আল্লাহ তাআলা নিজেই তাঁদের রুহ কব্জ
করেন। শহিদদের সম্মানার্থে এ কাজ ফিরিশতাদের হাতে সোপর্দ করেন না।
أخرج
الإمام إبن ماجة عن أبي أمامة أنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول :
وإن الله عز و جل وكّل ملك الموت بقبض الأرواح إلا شهيد البحر فإنه يتولى قبض
أرواحهم .
সুনানে ইবনে
মাজার মাঝে আবু উমামা রা. হতে বর্ণিত আছে. তিনি বলেন,
আমি রাসুলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনেছি,
নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা রুহসমূহ কব্জ
করার দায়িত্ব আযরাঈল আ.-কে দান করেছেন কিন্তু পানিতে নিমজ্জিত শহিদের রুহ আল্লাহ নিজে
কব্জ করেন।
হযরত আনাস
ইবনে মালেক ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. প্রমুখ হতেও অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে।
মূল : আল্লামা
ইদরিস কান্ধলভি রহ.
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মানুষ ইন্তেকালের
পরে তার রুহ আল্লাহ তাআলার নিকটে যায়। পৃথিবীর কোন
মানুষ তা আটকে রাখতে সক্ষম নয়। বিধায় প্রশ্নোত্তর
কথা বলা কোনভাবেই জায়েজ নেই। যে ব্যক্তি উক্ত
কথা বলেছেন তার জন্য তওবা করা আবশ্যক।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/101781/