ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
মানুষের ব্যক্তিগত পাপাচার ও দোষ অনুসন্ধান করা,
ক্ষতি করা, ব্যক্তিগত স্বার্থ অর্জনের জন্য কারো পেছনে লেগে থাকা ও গোয়েন্দাগিরি করা
নিষিদ্ধ।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,
‘یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡهِ مَیۡتًا فَکَرِهۡتُمُوۡهُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾
হে মুমিনগণ, তোমরা অধিক অনুমান থেকে দূরে থাক। নিশ্চয়
কোন কোন অনুমান তো পাপ। আর তোমরা গোপন বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের গীবত করো
না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশ্ত খেতে পছন্দ করবে? তোমরা তো তা অপছন্দই
করে থাক। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ অধিক তাওবা কবূলকারী, অসীম দয়ালু।
(সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)
মহানবী (সা.) অন্যের দোষ এড়িয়ে যেতে বলেছেন। অন্যের
দোষ-ত্রুটি খোঁজার মন্দ পরিণতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘তোমরা দোষ-ত্রুটি তালাশ করবে
না। কারণ যারা তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজবেন। আর
আল্লাহ কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন। (তিরমিজি,
হাদিস : ২০৩২)
অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি
তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় গোপন রাখবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার গোপনীয় বিষয় গোপন
রাখবেন। আর যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপনীয় বিষয় ফাঁস করে দেবে, আল্লাহ তার গোপনীয়
বিষয় ফাঁস করে দেবেন। এমনকি এই কারণে তাকে তার ঘরে পর্যন্ত অপদস্থ করবেন। (ইবনু মাজাহ
: ২৫৪৬)
,সুপ্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি গ্রুপ এডমিন দের পক্ষ থেকে এমন রুলস থাকে যে,
গ্রুপের অভ্যন্তরীণ কথা/আরোচনা অন্য কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না। এমতাবস্থায় যদি
কোন গ্রুপ মেম্বার এডমিনদের পারমিশন ছাড়া গ্রুপের কথাবার্তা স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে
কিংবা ভিন্ন কোন উপায়ে অন্য কারো সাথে শেয়ার করে তাহলে তা ধোকা দেয়ার অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখিত
শুরুতে যারা ছাত্রলীগ ছিল তারা পদত্যাগ করার পর এবং নিজেদের ভুল স্বীকারোক্তি দেওয়ার
পর যদি গ্রুপের কথাবার্তা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে অন্য কারো কাছে শেয়ার করে তাহলে এটি
তাদের ধোকা/প্রতারণা করার নামান্তর। যা একটি কবিরা গুনাহ। এবং এই অপরাধের কারণে তাদের জন্য পরকালে কঠোর শাস্তির
ব্যবস্থা রয়েছে।