ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন
জীবনে দ্বীন ইসলাম পালন করতে যে সমস্ত দ্বীনি ভাই,বোন আটকে যান, যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের
কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র
প্রয়াস।
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক। সকল বিষয়ে আলোচনা করা
বা দিকনির্দেশনা দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। চেষ্টা করলেও সম্ভব হবে না। প্রত্যেক
বিষয়ে আমরা সামান্য আলোকপাত করে থাকি।
জাযাকাল্লাহ, আপনার প্রশ্নটির জন্য। উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর
ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ মতামত রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর
দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছু জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব
নয়।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট
উলামায় কেরামের সাথে যোগাযোগ করলে ভালো হয়। ইলম অর্জনের জন্য সফর করা জরুরী। তথা কষ্ট
করে ইলম অর্জন করাই আমাদের পূর্বপুরুষদের রীতি ও নীতি। আল্লাহ আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক।
আমীন। প্রত্যেকটা বিষয়ে প্রথমে নিম্নের হাদীসকে লক্ষ্য করবেন।
তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই
আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে
দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন
করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে। (সূরা তাওবাহ-১২২)
সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে
কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন। কারণ, আপনার প্রশ্নগুলো ব্যাপক আলোচনার দাবি রাখে। যা, অনলাইলে উত্তর প্রদাণে অনেকাংশ কষ্টদায়ক হবে। প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আল্লাহ তা'আলা
আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিন, আমীন!!