ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/15516/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
এ সম্পর্কে মূলনীতি হল, মানুষ জীবিত
হোক বা মৃত হোক সর্বদা মানুষকে সম্মান করতে হবে,তাকে অপদস্থ করা যাবে
না। মূত্যু পরবর্তী জানাযা সম্পন্ন হওয়ার পর মানুষকে দাফন করাই আল্লাহর বিধান। এমনকি
লাশের যে অংশকে পাওয়া যাবে তাকেও দাফন করা। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻟَﻘَﺪْ
ﻛَﺮَّﻣْﻨَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺁﺩَﻡَ
নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা
দান করেছি। (সূরা বনী ঈসরাঈল-৭০)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিয়ম করে
দিয়েছেন,মানুষ মৃত্যুর পর তার জানাযা শেষে তাকে দাফন করে দেয়া হবে। আল্লাহ
তা'আলা বলেন,
ﺛُﻢَّ
ﺃَﻣَﺎﺗَﻪُ ﻓَﺄَﻗْﺒَﺮَﻩُ
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ
করেন তাকে।(সূরা আবাসা-২১)
অন্যত্র বলেন,
ﺃَﻟَﻢْ ﻧَﺠْﻌَﻞِ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﻛِﻔَﺎﺗًﺎ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ
ﻭَﺃَﻣْﻮَﺍﺗًﺎ
আমি কি পৃথিবীকে সৃষ্টি করিনি ধারণকারিণীরূপে, জীবিত ও মৃতদেরকে?(সূরা মুরসালাত-২৫-২৬)
ﻣِﻨْﻬَﺎ
ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻭَﻓِﻴﻬَﺎ ﻧُﻌِﻴﺪُﻛُﻢْ ﻭَﻣِﻨْﻬَﺎ ﻧُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﺗَﺎﺭَﺓً ﺃُﺧْﺮَﻯ
এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন
করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে
উত্থিত করব। (সূরা ত্বাহা-৫৫)
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ
ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻛَﺴْﺮُ ﻋَﻈْﻢِ ﺍﻟْﻤَﻴِّﺖِ
ﻛَﻜَﺴْﺮِﻩِ ﺣَﻴًّﺎ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মৃত মানুষের
হাড্ডি ভাঙ্গা জীবিত মানুষের হাড্ডি ভাঙ্গার সমতূল্য। (মসনদে আহমদ-২৪৭৩০,সুনানু আবি দাউদ-৩২০৭,সুনানু ইবনি
মা'জা-১৬১৬)
আরো জানুন- https://ifatwa.info/15516/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
(১) মাথা আঁচড়ানোর পর যে চুল পাওয়া যায় সেটা মাটিতে পুঁতে ফেলা
আবশ্যক। কেননা এটা একজন মানুষের অংশ যা সম্মানিত। সুতরাং সেটাকে দাফন করতে হবেই। সুতরাং
সেটা মাটিতে পুঁতে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেললে গুনাহ হবে।
(২) প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এমন জায়গায় পুঁতে রাখবেন যেখানে
সাধারনত কেউ খনন করবে না।