ব্যাবসায়ীদের জন্য উচিত কর্তব্য হচ্ছে, আল্লাহকে স্মরণ রাখা এবং হালাল পদ্ধতিতে আয় উপার্জনের চেষ্টা করা।
হাদীস শরীফে এসেছে-
التّاجِرُ الصّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشّهَدَاءِ.
সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীগণ, সিদ্দীকীন এবং শহীদগণের সঙ্গে থাকবে।
জামে তিরমিযী, হাদীস ১২০৯
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ صَالِحٍ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِثِ رَفَعَهُ إِلَى حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْبَيِّعَانِ بِالْخِيَارِ مَا لَمْ يَتَفَرَّقَا أَوْ قَالَ حَتَّى يَتَفَرَّقَا فَإِنْ صَدَقَا وَبَيَّنَا بُورِكَ لَهُمَا فِي بَيْعِهِمَا وَإِنْ كَتَمَا وَكَذَبَا مُحِقَتْ بَرَكَةُ بَيْعِهِمَا
হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তাদের ইখতিয়ার থাকবে (ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করা বা বাতিল করা)। যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত মুছে ফেলা হয়। (বুখারী শরীফ ২০৭৯.২০৮২, ২১০৮, ২১১০, ২১১৪, মুসলিম ২১/১০, হাঃ ১৫৩২, আহমাদ ১৫৩২৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৩৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯৪৯)
وَيُذْكَرُ عَنْ الْعَدَّاءِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ كَتَبَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذَا مَا اشْتَرَى مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ مِنْ الْعَدَّاءِ بْنِ خَالِدٍ بَيْعَ الْمُسْلِمِ مِنْ الْمُسْلِمِ لاَ دَاءَ وَلاَ خِبْثَةَ وَلاَ غَائِلَةَ وَقَالَ قَتَادَةُ الْغَائِلَةُ الزِّنَا وَالسَّرِقَةُ وَالإبَاقُ وَقِيلَ لإِبْرَاهِيمَ إِنَّ بَعْضَ النَّخَّاسِينَ يُسَمِّي آرِيَّ خُرَاسَانَ وَسِجِسْتَانَ فَيَقُولُ جَاءَ أَمْسِ مِنْ خُرَاسَانَ جَاءَ الْيَوْمَ مِنْ سِجِسْتَانَ فَكَرِهَهُ كَرَاهِيَةً شَدِيدَةً وَقَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ لاَ يَحِلُّ لِامْرِئٍ يَبِيعُ سِلْعَةً يَعْلَمُ أَنَّ بِهَا دَاءً إِلاَّ أَخْبَرَهُ
‘আদ্দা ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লিখে দেন যে, এটি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আদ্দা ইবনু খালিদ (রাঃ) হতে খরিদ করলেন। এ হলো এক মুসলিমের সঙ্গে আর এক মুসলিমের ক্রয়-বিক্রয়। এতে নেই কোন খুঁৎ, কোন অবৈধতা এবং গায়েলা। কাতাদাহ (রহ.) বলেন, গায়িলা অর্থ ব্যভিচার, চুরি ও পলায়নের অভ্যাস। ইবরাহীম নাখয়ী (রহ.)-কে বলা হল, কোন কোন দালাল খুরাসান ও সিজিস্তান এর খাসবারশি নাম উচ্চারণ করে এবং বলে, এটি কালকে এসেছে খুরাসান হতে, আর এটি আজ এসেছে সিজিস্তিন হতে। তিনি এরূপ বলাকে খুবই গর্হিত মনে করলেন। উকবা ইবনু আমির (রহ.) বলেন, কোন ব্যক্তির জন্য বৈধ নয় যে, সে কোন পণ্য বিক্রি করছে এবং এর দোষ-ত্রুটি জেনেও তা প্রকাশ করে না।
মুমিন ব্যবসায়ীর দায়িত্ব হলো লেনদেনের ক্ষেত্রে সত্য বলা এবং বস্তুর কোনো দোষত্রুটি থাকলে তা প্রকাশ করে দেওয়া। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ মান্য করা
ক্রেতা-বিক্রেতা কর্তৃক বিক্রিত বস্তুর কোন কিছু লুকিয়ে না রেখে পণ্যের পূর্ণ অবস্থা বলে দেয়া এবং একে অন্যের কল্যাণ চাওয়া।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(১.২)