আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (3 points)
আসসালামুআলাইকুম।
প্রশ্নটির উত্তর খুবই জরুরি(দয়া করে আমার ঈমান বাঁচান)

সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি নিজ চোখে দেখলাম। আমার বন্ধুতালিকাই অনেক বিসিএস ক্যাডার(এমনকি অনেক সরকারি চাকুরিজীবী) আছেন তারা এই সহিংসতাই বিন্দুমাত্র সহমত পোষণ করে ফেসবুক এ পোস্ট করেরনি বরং ম্যাজিস্ট্রেট,পুলিশ হয়ে নিপিড়ন করেছেন এবং সায় দিয়েছেন।এক প্রসাশন ক্যাডারের তাবলীগ জামাত করেন সেই ভাই দেখি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ছবি দিয়েছেন ,যারা সুপারিশ পাবেন এমন একজন একটি পোস্ট করে তাও আবার ডিলিট করছেন পাছে এই সরকার থাকলে না জানি তার সুপারিশ বাতিল হয় এই ভয়ে। মূল কথা বলি আমি প্রমাণ দেখাতে পারবো তারা নিশ্চুপ থেকে জালিমদের সাহায্য করেছেন।

আমি যখন দ্বীনে প্রবেশ করি তারপর থেকেই শক্তভাবে আল্লাহর রশি আকড়ে ধরে আছি।এখন আমার চাকরির সময়, আমার ক্যারিয়ার পছন্দ করার সময় এসেছে

আমি নিজেও পুলিশ ক্যাডারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি(কিন্ত আমার বোনজামাই যিনি বিমানবাহিনীতে কর্মরত আমাকে বারবার নিষেধ করেছেন ক্যাডার সার্ভিস মানেই বসের কথা শোনা মানে সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না এটার প্রমাণ 40তম প্রশাসন ক্যাডার এর বড় ভাই বলেছেন এবং তিনি রিজাইন দিয়েছেন)

আমার প্রশ্ন হলো এই ক্ষেত্রে আমি কি করবো?

আমি যদি ক্যাডার সার্ভিস এ যায় আমি তো বাধ্য হুকুম শুনতে কেননা আমি সরকারের চাকর আবার জনগণের সেবক।

আমার চাকরি কি তখন হারাম হবে?(প্লিজ এই উত্তর দিবেন না যে আপনি ভাল থাকতে পারবেন চাইলেই কোনো ঘুষ খাওয়া লাগবে না)

আমার পরিচিত প্রশাসন ক্যাডার(যিনি 40 দিনের মাথাই চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন অথচ তিনি খুবই ধার্মিক নন কিন্ত এই ভাইয়ের বন্ধু এবং আমার শিক্ষক তাবলীগ এর বড়ভাই সরকারের গোলামি করেছেন এবং সামনেও করবেন)

আমার ক্যারিয়ার কোন দিকে নেওয়া উচিত ?

নাকি আমি যদি নিশ্চুপ থেকে ক্যাডার সার্ভিস এই জয়েন করি তাহলে আমার ঈমান ঠিক থাকবে?

আর হ্যাঁ আমি বিদেশও সেটেল হতে আগ্রহী নই।
আমার ঈমান বাঁচাতে সাহায্য করুন।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

পূর্বের কিছু ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
বাংলাদেশে পুলিশ বা প্রশাসন ক্যাডারে অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়,তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।

সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য এসব বাহিনীতে  যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন,তাদের জন্য এসব বাহিনী তে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।

শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী করা জায়েয।তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে,বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না।তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪) 

পূর্বের কিছু ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।
হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-
انما الطاعة في المعروف
'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
ক্যাডার সার্ভিস এই জয়েন করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যা নেই। 
,  
তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকতে হবে।
অবৈধ কোনো আদেশ, নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা, মানলে গুনাহ হবে।
,
নামায সহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...