ওয়া আলাইকুমুস-সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
হাদিসে বর্ণিত
হয়েছে:
আবূ সা’ঈদ
খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
لَا
تُوْطَأُ حَامِلٌ حَتَّى تَضَعَ، وَلَا غَيْرُ ذَاتِ حَمْلٍ حَتَّى تَحِيْضَ
حَيْضَةً.
‘‘কোন গর্ভবতী
বান্দির সাথে সঙ্গম করা যাবে না যতক্ষণ না সে সন্তান প্রসব করে এবং গর্ভবতী নয় এমন
কোন বান্দির সাথেও সঙ্গম করা যাবে না যতক্ষণ না সে একটি ঋতুস্রাব অতিক্রম করে। [তা
হলে সে যে গর্ভবতী নয় তা নিশ্চিত হওয়া যাবে’’।] (আবূ দাউদ ২১৫৭,
সুনানে আবু দাউদ)
রুওয়াইফি’ বিন্ সাবিত আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি
বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
لَا
يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ أَنْ يَّسْقِيَ مَآءَهُ
زَرْعَ غَيْرِهِ، وَلَا يَحِلُّ لِامْرِئٍ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ
أَنْ يَّقَعَ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ السَّبْيِ حَتَّى يَسْتَبْرِئَهَا بِحَيْضَةٍ.
‘‘আল্লাহ্
তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী কোন পুরুষের জন্য হালাল হবে না কোন গর্ভবতী বান্দির সাথে
সঙ্গম করা এবং আল্লাহ্ তা‘আলা ও পরকালে বিশ্বাসী কোন পুরুষের জন্য হালাল হবে না গর্ভবতী
নয় এমন কোন বান্দির সাথে সঙ্গম করা যতক্ষণ না সে একটি ঋতুস্রাব অতিক্রম করে তার গর্ভবতী
না হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়’’। (আবূ দাউদ ২১৫৮)
উপরোক্ত হাদিসের
আলেমগণ আলোকে গর্ভবতী নারীর বিবাহকে হারাম বলেছেন।
তওবার ব্যাপারে
আল্লাহ তাআলা বলেন:
وَالَّذِينَ
لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّـهِ إِلَـٰهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي
حَرَّمَ اللَّـهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ
يَلْقَ أَثَامًا - يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ
فِيهِ مُهَانًا - إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا
فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّـهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّـهُ
غَفُورًا رَّحِيمًا
"বরং
যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের ইবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন সঙ্গত কারণ ব্যতীত
তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে,
তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কিয়ামতের
দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুণ হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। কিন্তু
যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তিত করে
এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে,
সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে
আসে।" (সূরা ফুরকান: ৭০, ৭০ ও ৭১)
মহান আল্লাহ
বলেন,
اَلزَّانِیَۃُ
وَ الزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡهُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّ لَا
تَاۡخُذۡكُمۡ بِهِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰهِ اِنۡ كُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ
بِاللّٰهِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَ لۡیَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ
الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ﴿۲﴾
‘ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারিণী অথবা মুশরিকা নারী
ব্যতীত অন্য কাউকে যেন বিয়ে না করে এবং ব্যভিচারিণীকে ব্যভিচারী অথবা মুশরিক পুরুষ
ব্যতীত কেউ যেন বিয়ে না করে, মুমিনদের জন্য এটা হারাম করা হয়েছে’ (আন-নূর,
২৪/৪)।
গর্ভবতী থাকা
অবস্থায়ও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যায়।
صح نكاح
حبلى من زنا عند الطرفين وعليه الفتوى لدخوليها تحت النص, وفيه أشعار بانه لو نكح
الزانى فانه جائز بالاجماع (مجمع الانهر، كت النكاح، باب المحرمات-1/485، فتح
القدير، فصل فى المحرمات-3/241، الفتاوى الهندية، كتاب النكاح، القسم السادس
المحرمات التى يتعلق بها حق
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ব্যভিচার একটি
মহাপাপ। তাই আপনাদেরকে এই মহাপাপের জন্য তওবা করতে হবে। বিধায়, পূর্বের কৃত গুনাহ থেকে
খালেস অন্তরে তওবা করার কোন বিকল্প নেই।
প্রশ্নেল্লিখিত বিষয়ে ফুকাহায়ে কেরামের
মাঝে মতানৈক্য আছে। ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নিকট এ অবস্থাতে তাদের বিবাহ জায়েয হবে।
সুতরাং আপনাদের বিবাহ সহিহ হয়েছে। তবে সালাফি আলেমদের নিকট উক্ত বিবাহ সহিহ হবে
না।