জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। আল্লাহ তাআলা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাকৃতিক নিয়মে সরবরাহ করে রেখেছেন। তারপরও অবস্থার আলোকে যদি পানি না পাওয়া যায় বা কেউ অসুস্থ হয়ে পানি ব্যবহারে একেবারে অপারগ হয়, সে সময়ে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ
অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)
,
তায়াম্মুম করা কখন বৈধ?
১- পানির অনুপস্থিতিতে
আল্লাহ তাআলা বলেন, (فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ) {অতঃপর পানি না পাও, তবে তায়াম্মুম করো।}
২- পানি থাকা সত্ত্বেও তা ব্যবহার করতে অপারগ হলে
যেমন অসুস্থ অথবা বৃদ্ধ ব্যক্তি যে নড়াচড়া করতে পারে না এবং তার কাছে এমন ব্যক্তিও নেই যে তাকে অজু করার ব্যাপারে সাহায্য করবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
যেহেতু প্লেনটি বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:৩৫ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে,সুতরাং আপনি যোহরের নামায আগেই পরে নিবেন।
১২-১৫ এর দিকে জোহরের ওয়াক্ত আসে। (এলাকাভেগে কয়েক মিনট কম বেশি হতে পারে।)
★যেহেতু বিকাল ৫টা হতে রাত ১২টা ট্রাঞ্জিট থাইল্যান্ডএ।
সুতরাং আপনি সেখানে আছর,মাগরিব,ঈশার নামাজ আদায় করে নিবেন।
এমতাবস্থায় সেখানে যেহেতু ইস্তেঞ্জা খানা (বাথরুম/ওয়াশরুম) রয়েছে,তাই তায়াম্মুম করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
এক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়,ভালোভাবে রুকু সেজদাহ করার মতো স্পেস পাওয়া গেলে প্লেনের মধ্যেই নামাজ আদায় করতে পারবেন,সমস্যা নেই।
তবে এতটুকু স্পেস না পেলে সেক্ষেত্রে বাহিরে অন্য কোনো স্থানে নামাজ আদায় করে নিবেন।