আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম,
১/বাবা মেয়েকে আল্লাহর কসম দিয়েছে ফোন না ধরার জন্য।কিন্তু দ্বীন শিক্ষাসহ অন্যান্য কাজে ফোন ধরা দরকার।বাবা কসম তোলার জন্য কিছু করবে আশা করা যায় না।এখন ফোন ধরাও জরুরি।মেয়ের কি করণীয়?
২/শায়েখ আহমাদুল্লাহর lecture এ শুনেছিলাম,বাবার ইনকাম হালাল হারাম মিশ্রিত হলে আর কোন খাবার হালাল টাকায় কোন খাবার হারাম টাকায় আলাদা না করতে পারলে প্রয়োজনীয় পরিমাণ নিতে।এটাই তাকওয়ার দাবি।আমি কোনো সময় বুঝতে পারি এটা হয়তো হালাল,এটা হারাম।আবার কোনো সময় পারি না।এজন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাই।তাও দিনে ৩-৪ বার ভাত আর শরীর দুর্বল,মাথা ঘোরে এজন্য দুধ,ডিম খাই।এটা কি ঠিক আছে?
আর ঈদের সময় নুডলস,সেমাই,মিষ্টি এগুলো কোন টাকায় কেনা জানি না বলে তখন এগুলো খাই না।শুধু ভাত,তরকারি খাই।এটাও কি ঠিক আছে?এর জন্য বাবা মা কষ্ট পেলে আমি কি গুনাহগার হবো?
৩/আমি ইনকাম করতে চাই।এর জন্য ভোটার আইডি কার্ড বানানো দরকার।ছবি দেয়া জায়েজ আছে?
৪/ভোটার আইডি কার্ড বানাতে প্রয়োজনীয় অর্থ পরিবার থেকে নিতে পারবো?
৫/পুলিশের চাকরি কনষ্টেবল পোস্টে কোর্টে লেখালেখির কাজ।সেখানে বেতনের পাশাপাশি client এর থেকে টাকা নেয়।client ও আপোসেই দেয়,২০০টাকা হয়তো client প্রতি।হয়তো কোনো সুপারিশ পত্র বা এমন কিছু লিখে স্বাক্ষর করতে হয় এমন।এটা নাকি অনেকটা নিয়ম হয়ে গেছে।এভাবে টাকা নেয়া কি ঘুষ?হালাল হবে না হারাম?
৬/সবসময় প্রায় সাদাস্রাব হয়,এর জন্য তুলা/টিস্যু/কাপড়/প্যাড ইউজের ফতোয়া জেনেছিলাম হানাফি ফিকহ গ্রুপ থেকে।তো কাপড় কয়েক ভাজ করে ইউস করা হয়।কাপড়ের এক পাশে স্রাব লেগে গেল।পরবর্তীতে ভাজ করে কাপড়ের যে পাশটাতে স্রাব লেগেছে সে পাশটা ভাজ করে ভেতরে দিয়ে ভকলো পাশ উপরে দিলে হবে?মানে অযু করে অন্যান্য ইবাদত করা যাবে?না সম্পূর্ণ কাপড়টাই change করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (546,690 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আপনার বাবা কোন শব্দে কসম কেটেছিলেন,কমেন্ট বক্সে বিস্তারিত জানালে ভালো হতো।

(০২)
আপনার বাবার ইনকাম হারাম কিনা,সেই সম্পর্কেই তো আপনি নিশ্চিত নন।

সুতরাং অযথা টেনশন না করার পরামর্শ রইলো। 

(০৩)
ইনকাম যদি আপনার জন্য আতি আবশ্যকীয় জরুরত হয়,সেক্ষেত্রে আপনি ছবি দিতে পারবেন।

(০৪)
ভোটার আইডি কার্ড বানাতে প্রয়োজনীয় অর্থ পরিবার থেকে নিতে পারবেন।

(০৫)
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

عَن أبي حميد السَّاعِدِيّ: اسْتَعْمَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلًا مِنَ الأزد يُقَال لَهُ ابْن اللتبية الأتبية عَلَى الصَّدَقَةِ فَلَمَّا قَدِمَ قَالَ: هَذَا لَكُمْ وَهَذَا أُهْدِيَ لِي فَخَطَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَحَمِدَ اللَّهَ وَأثْنى عَلَيْهِ وَقَالَ: أَمَّا بَعْدُ فَإِنِّي أَسْتَعْمِلُ رِجَالًا مِنْكُمْ عَلَى أُمُور مِمَّا ولاني الله فَيَأْتِي أحدكُم فَيَقُول: هَذَا لكم وَهَذَا هَدِيَّةٌ أُهْدِيَتْ لِي فَهَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أَبِيهِ أَوْ بَيْتِ أُمِّهِ فَيَنْظُرُ أَيُهْدَى لَهُ أَمْ لَا؟ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَأْخُذُ أَحَدٌ مِنْهُ شَيْئًا إِلَّا جَاءَ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَحْمِلُهُ عَلَى رَقَبَتِهِ إِنْ كَانَ بَعِيرًا لَهُ رُغَاءٌ أَوْ بَقْرًا لَهُ خُوَارٌ أَوْ شَاة تَيْعر ثمَّ رفع يَدَيْهِ حَتَّى رَأينَا عفرتي إِبِطَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَل بلغت» . . قَالَ الْخَطَّابِيُّ: وَفِي قَوْلِهِ: «هَلَّا جَلَسَ فِي بَيْتِ أُمِّهِ أَوْ أَبِيهِ فَيَنْظُرُ أَيُهْدَى إِلَيْهِ أَمْ لَا؟» دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ كُلَّ أَمْرٍ يُتَذَرَّعُ بِهِ إِلَى مَحْظُورٍ فَهُوَ مَحْظُورٌ وَكُلُّ دخل فِي الْعُقُودِ يُنْظَرُ هَلْ يَكُونُ حُكْمُهُ عِنْدَ الِانْفِرَادِ كَحُكْمِهِ عِنْدَ الِاقْتِرَانِ أَمْ لَا؟

আবূ হুমায়দ আস্ সা’ইদী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আযদ গোত্রের ইবনুল লুত্বিয়াহ্ নামক ব্যক্তিকে যাকাত আদায় করার জন্য কর্মকর্তা নিযুক্ত করলেন। সে (যাকাত উসূল করে) মদীনায় ফিরে এসে (মুসলিমদের নিকট) বলতে লাগল, এ পরিমাণ সম্পদ তোমাদের (যাকাত হিসেবে উসূল হয়েছে, তোমরা এর হকদার)। আর এ পরিমাণ সম্পদ তুহফা হিসেবে আমাকে দেয়া হয়েছে (এটা আমার হক)। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এসব কথা শুনে) লোকদের উদ্দেশে হামদ ও সানা পড়ে খুতবাহ্ দিলেন। তিনি (খুতবায়) বললেন, তোমাদের কিছু লোককে আমি ওসব কাজের জন্য নিয়োগ দিয়েছি যেসব কাজের জন্য আল্লাহ আমাকে হাকিম বানিয়েছেন। এখন তোমাদের এক ব্যক্তি এসে বলছে, এটা (যাকাত) তোমাদের জন্য, আর এটা হাদিয়্যাহ্। এ হাদিয়্যাহ্ আমাকে দেয়া হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করো, সে ব্যক্তি তার পিতা অথবা মাতার বাড়ীতে বসে রইল না কেন? তখন সে দেখতো (তুহফা দানকারীরা) তাকে তার বাড়ীতেই তুহফা পৌঁছে দিয়ে যেত কিনা?

ঐ মহান সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন। তোমাদের যে ব্যক্তি যে কোন জিনিস তদ্রূপ করবে তা কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন তার গর্দানের উপর বহন করে নিয়ে আসবে। যদি তা উট হয় তাহলে তার আওয়াজ উটের আওয়াজ হবে। যদি তা গরু হয় তাহলে তার আওয়াজ গরুর আওয়াজ হবে। যদি তা বকরী হয় তাহলে বকরীর আওয়াজ হবে। (অর্থাৎ দুনিয়ায় কোন জিনিস অন্যায়ভাবে গ্রহণ করলে, তা কিয়ামতের দিন তার ঘাড়ে সওয়ার হয়ে কথা বলতে থাকবে)। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দু’ হাত এতো উপরে উঠালেন যে, আমরা তার বগলের নীচের শুভ্রতা দেখতে পেলাম। এরপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমি মানুষের কাছে কি তা পৌঁছে দিয়েছি? হে আল্লাহ! আমি (তোমার কথা) কি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি? 
(বুখারী ৭১৭৪, মুসলিম ১৮৩২, আবূ দাঊদ ২৯৪৬, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ২১৯৬২, আহমাদ ২৩৫৯৮, ইবনু খুযায়মাহ্ ২৩৩৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৬৬৪, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৫৬৮।)

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ’’তাকে জিজ্ঞেস করো, সে ব্যক্তি তার পিতা-মাতার বাড়ীতে বসে থাকল না কেন? তখন সে দেখত তুহফা তার বাড়ীতে পৌঁছে দিয়ে যায় কিনা?’’ এ সম্পর্কে খাত্ত্বাবী (রহঃ) বলেন, এ বাণী এ কথারই দলীল যে, কোন হারাম কাজের জন্য যে জিনিসকে উপায় বা ওয়াসিলা বানানো হয় সে উপায়ে বা ওয়াসিলাও হারাম। আরো বলা যায়, কোন একটি ব্যাপারকে অন্য কোন ব্যাপারের সাথে (যেমন- বেচাকেনা, বিয়ে-শাদী ইত্যাদি) সম্পর্কিত করলে দেখতে হবে, সে ব্যাপারগুলোর কোন পৃথক পৃথক হুকুম এদের এক সাথে সম্পর্কিত হুকুমের সদৃশ কি-না। হলে তা জায়িয। আর না হলে না জায়িয। 
(মিশকাত ১৭৭৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এভাবে টাকা নেয়া ঘুষ। বিধায় তাহা হালাল হবেনা বরং তাহা হারাম।

(০৬)
সম্পূর্ণ কাপড়টাই change করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম, 
উস্তাদ,কথাটা এমন ছিল,তুই এই ফোন আর ধরবি না আল্লাহর কসম।
##আর ৪নং প্রশ্নের যে উত্তর দিয়েছেন মানে হারাম ইনকাম।ঐটাই আমার বাবার ইনকাম।মানে হালাল বেতন +ঐ হারাম।আর আমি ২নং প্রশ্নে দেয়া বর্ণণা অনুযায়ী চলি।ইলম অর্জন করি বলে ভয় হয় যদি হারাম গিযার জন্য ইলম অ্র্জনের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হই আবার বাড়াবাড়ি হয় যদি এটা তাহলেও তো বাবা মার কষ্টের জন্য গুনাহ হবে।স্পষ্ট করে বুঝাতে পারি নি হয়তো, এভাবেই কি খাবো?ঈদের সময় ওগুলো খাবো?দয়া করে উস্তাদ কিছু মনে করবেন না।এই বিষয়টি নিয়ে খুব পেরেশানে থাকি।
আর একটা প্রশ্ন,,,,
আমি প্রতিদিন নির্দিষ্ট এতবার ইস্তেগফার করব বলে ঠিক করেছিলাম আল্লাহর কসম দিয়ে।যাতে বাদ না পড়ে।কিন্তু ২ দিন ঘুমের জন্য পড়া হয় নি।এখন এর কাফফারা কি?
by (546,690 points)
(০১)
এটা ভঙ্গ করলে কাফফারা আবশ্যক হবেনা।

(০২)
আপনি যেহেতু মুখে উচ্চারণ করে আল্লাহর নামে কসম করেছিলেন যে প্রতিদিন নির্দিষ্ট এতবার ইস্তেগফার পাঠ করবেন।

২ দিন ঘুমের কারনে পড়া হয়নি।
 সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে কসম ভঙ্গের কাফফারা আদায় করতে হবে।
by (546,690 points)

কসম ভঙ্গের কাফফারা সংক্রান্ত জানুনঃ- 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...